ঢাকা , বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
কেরানীগঞ্জ-৩: পলকে থামানো মানে তৃণমূলকে থামানো এবার ভূতের চরিত্রে দেখা যাবে রাশমিকাকে পুরুষদের প্রতি যে অনুরোধ করলেন তামান্না আইনি জটিলতায় জড়ালেন সুহানা যদি অপরাধী হতাম তাহলে চুপচাপ থাকতাম: জয় ভক্ত অটোগ্রাফ চাওয়ায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন ফারিয়া ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করাতে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন অপু-শাকিব নিজের অভিনীত সিনেমা দেখে আবেগে কেঁদে দিলেন ‘দ্য রক’ জটিল রোগে ভুগছেন জাংকুক সরকারের ওপর চাপ বেড়েছে ঋণ পরিশোধের কোনো ব্লেম নিতে রাজি নই শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করবো-সিইসি ফরিদপুরের সালথায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা: স্বামী আটক ছড়িয়ে পড়া গুজবে কান না দিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সেনাপ্রধানের আহ্বান অন্তর্বর্তী সরকার কি পথ হারিয়েছে প্রশ্ন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত ডাকসু নির্বাচনে বাধা নেই তিন প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা সবারই প্রতিশ্রুতি নারীবান্ধব ক্যাম্পাস ডাকসু নিয়ে কোনো ধরনের টালবাহানা চলবে না : ছাত্রদল হলত্যাগের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে বাকৃবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন প্রভাব: চ্যালেঞ্জ ও অনিশ্চয়তা ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়ালো

সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে ফুটপাতে বছরের পর বছর দিন কাটে যাদের

  • আপলোড সময় : ০২-০৫-২০২৫ ০৭:৪০:৫৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০২-০৫-২০২৫ ০৭:৪০:৫৪ অপরাহ্ন
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে ফুটপাতে বছরের পর বছর দিন কাটে যাদের
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
কাকডাকা ভোরে ঘুম ভাঙে তাদের। কখনও একবেলা কখনও বা না খেয়ে দিন কাটায় এরা। কনকনে ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা আর ঝড়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে এরা প্রতিনিয়ত। নরম বিছানা আর লেপ তোষক মুড়ি দিয়ে ঘুমানো এদের কাছে আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতোই। যা বাস্তবে ওদের কাছে কল্পনা মাত্র। সৈয়দপুর শহরের রেলওয়ে স্টেশনের প্লাট ফরমের পরিত্যক্ত ভাঙ্গা ঘরের খোলা আকাশের নীচে কিছু ভাসমান পরিবারের অবস্থা।
রেললাইন ফুটপাত, স্টেশনের ভাঙা পরিত্যক্ত ঘর এবং লাইনে পড়ে থাকা রেলের বগিতে দেখা মেলে এদের। এরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চলে এসেছে সৈয়দপুর শহরে। এরা সবাই নিঃস্ব ভুমিহীন। কারো কারো ঘরবাড়ী এবং বংশ পরিচয়ও নেই। গত মঙ্গলবার সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্লাট ফরমের ভাঙ্গা চূড়া ঘরে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে দেখা যায় জামাল শাহের পরিবার। বাড়ী কুড়িগ্রাম জেলার নদীর চর এলাকায়। বন্যায় ভেসে গেছে তার জীবন চিত্র। বয়স ৫৪ বছর। স্ত্রী অনেক আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। সন্তান থেকেও নেই তার। বছরের পর বছর এভাবে বসবাস করছে খোলা আকাশে। সারা দিন ভিক্ষে করে শহরে। রাতে থাকে স্টেশনের ফুটপাতে। কখনও খায় কখনও বা না খেয়ে দিন কাটে তার।
বর্তমানে রেলওয়ে ষ্টেশনেই তার স্থায়ী ঠিকানা। জামাল শাহের মত ফুটপাতে দেখা মেলে জরিনা বেগম, কাল্টি বেগম, নছিমন বিবি, সাবানাসহ অনেকের। এদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে গড়াবে। এদের বাড়ি, ডিমলা, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম চর এলাকায়। যশোর থেকে এসেছেন আকলিমা বেগম। বয়স প্রায় ৬০ বছর হবে জানালেন। বাড়ীতে তার সবেই আছে। তবে কেউ তাকে দেখতে পারে না। ৪ বছর থেকে আছেন সৈয়দপুর রেল স্টেশনের প্লাট ফরমে। বাড়ীর কেউ তার খবর নেয় না। তিনি বলেন, আমি এখানে খুব ভাল আছি। নিঃস্ব হয়ে সর্বস্ব হারিয়ে আজ এরা ভাসমান মানুষ। এদের নির্দিষ্ট কোন কাজকর্ম নেই। যখন যে কাজ পায় তখন তাই করে। তবে চুরি, ছিনতাইয়ের মত জঘন্য কাজের সাথে তারা জড়িত নয় বলে জানায়। স্টেশনের সাথে এদের বসবাস। রান্না, গোসল সবই সারতে হয় খোলা আকাশে।
কিন্তু তার পরেও এরা হাসিখুশী, এদের জীবনে হাজার দুঃখ কষ্ট লুকিয়ে থাকলেও এরা যেন দুঃখহীন। এদের একেক জনের জীবন এক একটি ইতিহাস। শীত নিবারণে এরা কাগজের টুকরা জ্বালিয়ে আগুনের তাপ নেয়। এদের পাশে যেন দাঁড়াবার কেউ নেই। সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে এরা বঞ্চিত। অথচ সরকারী সুযোগ সুবিধা এদেরই পাওয়ার কথা। তাই এদের দিকে নজর দেয়া প্রয়োজন আমাদের সকলের।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য