ঢাকা , শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ , ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আমতলীতে শহিদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকীতে সেচ্ছায় রক্তদান ও আলেচনা সভা মগবাজারে কুপিয়ে ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ ২ জুন বাজেট ঘোষণা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত বাংলাদেশের জন্য জাপান গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার : প্রেস সচিব বাড়ছে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা সরকারের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন দেয়া সম্ভব -তারেক রহমান দেশে গণতন্ত্রের নিরাপদ যাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে : খালেদা জিয়া নির্বাচন ইস্যুতে এনসিপির সমালোচনায় ববি হাজ্জাজ আনু মুহাম্মদের স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুলের বিস্ময় প্রকাশ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ উত্তাল নগর ভবনে পা রাখলেন ইশরাক আরও উজ্জীবিত আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ে কর্মচারীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা প্রশাসনে ১০ মাসেও ফেরেনি শৃঙ্খলা ভারী বৃষ্টিতে বন্যার শঙ্কা শেখ হাসিনার আমলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে একসঙ্গে কাজ করবে সরকার, ইসি ও জাতিসংঘ মিডিয়ার হেডলাইন দেখে মন্তব্য করা যায় না-ইশরাক ইস্যুতে সিইসি নানামুখী চাপে দেশের অর্থনীতি

কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য অভিভাবকদের সচেতন  হতে হবে

  • আপলোড সময় : ২৮-০২-২০২৪ ০৬:৫৭:৪৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-০২-২০২৪ ০৬:৫৭:৪৬ অপরাহ্ন
কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য অভিভাবকদের সচেতন  হতে হবে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য অভিভাবকদের সচেতন  হতে হবে
রাজধানীসহ সারা দেশে দীর্ঘদিন ধরে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা চললেও এদের বিরুদ্ধে কার্যত তেমন শক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে এদের তৎপরতা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। জানা যায়, ঢাকার বিভিন্ন থানায় কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ৬২টি মামলা দায়ের হলেও একটিরও বিচারকাজ শেষ হয়নি। জানা গেছে, এসব মামলার অধিকাংশই দায়ের করা হয় ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, জমি দখলে সহায়তা, উত্ত্যক্ত করা, যৌন হয়রানি, হামলা, মারধরসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে। এখনো এসব মামলার কোনোটি সাক্ষ্যগ্রহণ আবার কোনোটি যুক্তিতর্ক পর্যায়ে রয়েছে। আইনজীবীদের মতে, সাক্ষী হাজির করা পুলিশের কাজ। যেগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই, সেসব অপরাধে সাক্ষী জোগাড়ে পুলিশের গাফিলতি আছে। পুলিশের ঢিলেঢালা মনোভাবের কারণে সাক্ষী হাজির হয় না এবং মামলায় দীর্ঘসূত্রতা হয়। যদিও এ বিষয়ে পুলিশের দাবি, সাক্ষ্যগ্রহণের তৎপরতা আগের তুলনায় বেড়েছে, কিন্তু আদালতে মামলার শুনানি শেষে রায় দিতে দীর্ঘ সময় লাগে। এর কারণ হচ্ছে, মামলা লাখ লাখ, কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা কম। ফলে মামলার বিচার শেষ হচ্ছে না। অভিযোগ আর পালটা-অভিযোগ যাই থাকুক; বাস্তবতা হচ্ছে, বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ হচ্ছে, ফলে শাস্তি নিশ্চিত হচ্ছে না। মাঝে, বিচারকার্য চলাকালে কোনো কোনো অপরাধী জামিনে বেরিয়ে পুনরায় দুষ্কর্মে লিপ্ত হচ্ছে। কাজেই বিচারকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার করতে হবে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তবে একইসঙ্গে প্রয়োজন সমস্যার গোড়ায় পৌঁছানো এবং প্রতিকারের ব্যবস্থা করা। কিশোর গ্যাং কেন, কী কারণে ও কীভাবে গড়ে উঠেছে- এসবের মূলে যেতে হবে। অভিযোগ আছে, এদের পেছনে আসল গডফাদার হিসাবে থাকে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। রাজনৈতিক দলের মিছিল-মিটিংয়ে লোক জোগান দেওয়াসহ এলাকায় দলীয় আধিপত্য বিস্তারে ‘কিশোর গ্যাং’কে ব্যবহার করে ‘বুড়ো গ্যাং’। প্রথাগত প্রক্রিয়ার পরিবর্তে এ অপরাধ নির্মূলে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হবে। তাদের গ্রেপ্তার করে জেলে আলাদাভাবে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
বস্তুত সমাজের ভেতর থেকেই বিপথগামী কিশোরদের সংশোধনের উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি প্রত্যেক অভিভাবককে তাদের সন্তানের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। খেলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে কিশোরদের যুক্ত রাখা হলে অপরাধে জড়ানো থেকে তারা বিরত থাকবে। কিশোর অপরাধ নির্মূলে সবার আগে প্রয়োজন নজরদারি। এ ক্ষেত্রে পরিবার, সমাজ তথা রাষ্ট্রকেই ভূমিকা রাখতে হবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স