ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫ , ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
অন্তর্বর্তী সরকার এত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে পারবে না-শিক্ষা উপদেষ্টা দাবি আদায়ে এক মাসের আল্টিমেটাম শিক্ষকদের ফরিদপুরের কানাইপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ১৫ জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ -প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা আ’লীগকে নির্বাচনে ফেরাতে চাইলে আবারও অভ্যুত্থান সর্বনাশ ডেকে আনছে তামাক শেখ হাসিনা-রেহানা টিউলিপের তিন মামলায় বাদীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ডাকসু নির্বাচন নিয়ে অমনোযোগী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কাফনের কাপড় পরে বস্তিবাসীদের অবস্থান পাথর লুটে প্রশাসনের দায় আছে কিনা খতিয়ে দেখবে দুদক রাজস্ব ঘাটতি না কমলেও শুল্কছাড়ে উদার সরকার ধর্মভিত্তিক একটি দল বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে-রিজভী জিএম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার কৃষি খাতকে দখলে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র, শঙ্কা প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না-অর্থ উপদেষ্টা প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধনে কানাডা যাচ্ছেন সিইসি পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতার নাভিশ্বাস বকশীগঞ্জের সাবেক মেয়র উত্তরা থেকে গ্রেফতার বরিশাল মেডিকেলের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা স্বাস্থ্যের ডিজির
সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ

আধুনিক প্রযুক্তিতে অধিক পরিমাণ মাছ শিকার করছে ভারতের জেলেরা

  • আপলোড সময় : ১৪-০৮-২০২৫ ১১:২৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০৮-২০২৫ ১১:২৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
আধুনিক প্রযুক্তিতে অধিক পরিমাণ মাছ শিকার করছে ভারতের জেলেরা
* ফ্যাসিস্ট সরকার ভারতের জেলেদের সুবিধা দেয় * গভীর সুমদ্র থেকে জেলেদের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা ফ্যাসিস্ট সরকার ভারতের জেলেদের সুবিদা দেওয়ার জন্য গভীর সুমদ্র থেকে বাংলাদেশী জেলেদের মাছ আহরণে বিরত রেখেছিল। যাতে ভারতের জেলেরা আমাদের সুমদ্র সীমানা থেকে অধিক পরিমাণে মৎস্য আহরণ করতে পারে। গতকাল বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন ক্র্যাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আর্টিসাল ও মেকানাইজ ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. মাসুম এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আ. সুক্কুর আলীসহ সদস্যগণ। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে গভীর সমুদ্রে আধুনিক পদ্ধতিতে মৎসহ আহরণের মৎস্য অধিদফতর এবং মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় আবেদন করে আসছিল আমরা গভীর সমুদ্রে ৪০ মিটার গভীরে মৎস্য শিকারের অনুমতি চাওয়া সত্ত্বেও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের মাছ ধরার ট্রলারগুলো সমুদ্রে মৎস্য শিকারের ফিটনেস থাকা সত্ত্বেও আইনের যাতাকলে আমাদের আটকিয়ে রাখা হয়েছে। অথচ প্রধান উপদেষ্টা গভীর সাগরে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে অধিক পরিমাণ মৎস্য আহরণের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। আমরা ভারতের জেলেদের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছি। তারপরও মৎস্য অধিদফতর নৌবাহিনী ও কোষগার্ড কোন আশানুরুপ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আমাদের দেশে অধিক পরিমাণ মাছের প্রজনন হয়ে থাকে যা বেড়ে উঠে আমাদের সমুদ্র সীমানায়। কিন্তু ভারতীয় জেলেরা আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের সীমানার ভেতর থেকে অধিক পরিমাণ মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে মৎস আহরণে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছি। আমাদের বঙ্গোপসাগরে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গমিটার সমুদ্রসীমায় ৩৭৩ প্রজাতির মাছ রয়েছে। কিন্তু আমরা মাত্র ৩০ প্রজাতির মাছ শিকার করতে পারছি। উন্নত প্রযুক্তির অভাবে বাকী ৩৪৩ প্রজাতির মাছ শিকার করা যাচ্ছে না। অথচ বিদেশী জেলেরা জিপিএস, সোনার, রাডার, নেভিগেশন চার্ট, ইকো সাউন্ডার, ফিস ফাইন্ডার, মেরিন ডেটা ব্যাংকেতর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে। সেখানে আমরা এখনো প্রথাগত কাঠের ট্রলার ও ম্যানুয়াল জাল ব্যবহার করছি। ফলে আমরা আধুনিক প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত। একজন্য আধুনিক প্রযুক্তিতে গভীর সাগরে মাছ আহরণের জন্য আমরা অনুমতি দাবি করছি। গভীর সাগরে জেলেদের মাছ শিকারের অনুমতি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা করলে দেশের জেলে ও মৎস ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে, আর দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল হবে এবং দেশের জেলেরা মাছ শিকার করে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করবে। আর ভারতসহ প্রতিবেশী দেশের জেলেদের প্রভাব গভীর সাগরে কমে আসবে। গভীর সাগর থেকে অধিক পরিমাণ মৎস্য আহরণ করতে পারলে দেশের বাজারে মাছের সরবরাহ বেড়ে যাবে। এতে সাধারণ মানুষ ন্যায্য মূল্যে মাছ ক্রয় করে খেতে পারবেন। এবিষয়টি প্রধান উপদেষ্টা ও মৎস উপদেষ্টার দৃষ্টি আর্কষণ করছেন বাংলাদেশ আর্টিসাল ও মেকানাইজ ট্রলার মালিক সমিতি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স