সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ

আধুনিক প্রযুক্তিতে অধিক পরিমাণ মাছ শিকার করছে ভারতের জেলেরা

আপলোড সময় : ১৪-০৮-২০২৫ ১১:২৪:৩৯ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ১৪-০৮-২০২৫ ১১:২৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
* ফ্যাসিস্ট সরকার ভারতের জেলেদের সুবিধা দেয় * গভীর সুমদ্র থেকে জেলেদের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা ফ্যাসিস্ট সরকার ভারতের জেলেদের সুবিদা দেওয়ার জন্য গভীর সুমদ্র থেকে বাংলাদেশী জেলেদের মাছ আহরণে বিরত রেখেছিল। যাতে ভারতের জেলেরা আমাদের সুমদ্র সীমানা থেকে অধিক পরিমাণে মৎস্য আহরণ করতে পারে। গতকাল বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন ক্র্যাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আর্টিসাল ও মেকানাইজ ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. মাসুম এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আ. সুক্কুর আলীসহ সদস্যগণ। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে গভীর সমুদ্রে আধুনিক পদ্ধতিতে মৎসহ আহরণের মৎস্য অধিদফতর এবং মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় আবেদন করে আসছিল আমরা গভীর সমুদ্রে ৪০ মিটার গভীরে মৎস্য শিকারের অনুমতি চাওয়া সত্ত্বেও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের মাছ ধরার ট্রলারগুলো সমুদ্রে মৎস্য শিকারের ফিটনেস থাকা সত্ত্বেও আইনের যাতাকলে আমাদের আটকিয়ে রাখা হয়েছে। অথচ প্রধান উপদেষ্টা গভীর সাগরে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে অধিক পরিমাণ মৎস্য আহরণের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। আমরা ভারতের জেলেদের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছি। তারপরও মৎস্য অধিদফতর নৌবাহিনী ও কোষগার্ড কোন আশানুরুপ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আমাদের দেশে অধিক পরিমাণ মাছের প্রজনন হয়ে থাকে যা বেড়ে উঠে আমাদের সমুদ্র সীমানায়। কিন্তু ভারতীয় জেলেরা আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের সীমানার ভেতর থেকে অধিক পরিমাণ মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে মৎস আহরণে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছি। আমাদের বঙ্গোপসাগরে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গমিটার সমুদ্রসীমায় ৩৭৩ প্রজাতির মাছ রয়েছে। কিন্তু আমরা মাত্র ৩০ প্রজাতির মাছ শিকার করতে পারছি। উন্নত প্রযুক্তির অভাবে বাকী ৩৪৩ প্রজাতির মাছ শিকার করা যাচ্ছে না। অথচ বিদেশী জেলেরা জিপিএস, সোনার, রাডার, নেভিগেশন চার্ট, ইকো সাউন্ডার, ফিস ফাইন্ডার, মেরিন ডেটা ব্যাংকেতর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে। সেখানে আমরা এখনো প্রথাগত কাঠের ট্রলার ও ম্যানুয়াল জাল ব্যবহার করছি। ফলে আমরা আধুনিক প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত। একজন্য আধুনিক প্রযুক্তিতে গভীর সাগরে মাছ আহরণের জন্য আমরা অনুমতি দাবি করছি। গভীর সাগরে জেলেদের মাছ শিকারের অনুমতি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা করলে দেশের জেলে ও মৎস ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে, আর দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল হবে এবং দেশের জেলেরা মাছ শিকার করে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করবে। আর ভারতসহ প্রতিবেশী দেশের জেলেদের প্রভাব গভীর সাগরে কমে আসবে। গভীর সাগর থেকে অধিক পরিমাণ মৎস্য আহরণ করতে পারলে দেশের বাজারে মাছের সরবরাহ বেড়ে যাবে। এতে সাধারণ মানুষ ন্যায্য মূল্যে মাছ ক্রয় করে খেতে পারবেন। এবিষয়টি প্রধান উপদেষ্টা ও মৎস উপদেষ্টার দৃষ্টি আর্কষণ করছেন বাংলাদেশ আর্টিসাল ও মেকানাইজ ট্রলার মালিক সমিতি।

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net