
মার্কিন অভিনেতা ম্যালকম-জামাল ওয়ার্নার আর নেই। পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়ে কোস্টারিকার সমুদ্রসৈকতে সাঁতার কাটার সময় হঠাৎ স্রোতের টানে গভীর সমুদ্রের দিকে ভেসে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন এই অভিনেতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। স্থানীয় সময় গত রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে ক্যারিবীয় উপকূলের লিমোন প্রদেশের কাহুইতা শহরের প্লায়া গ্রান্দে সৈকতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রয়টার্স জানায়, ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চালালেও ব্যর্থ হন। পরে কোস্টারিকার রেড ক্রসের সদস্যরা এসে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। দেশটির বিচার বিভাগীয় তদন্ত সংস্থা (ওআইজি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
শৈশবে অভিনয় শুরু করা ওয়ার্নার নব্বইয়ের দশকে টিভি দর্শকদের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন ‘দ্য কসবি শো’-তে থিওডোর হাক্সটেবল চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। মাত্র ৯ বছর বয়সে অভিনয় শুরু করা এই অভিনেতা কৈশোরে টেলিভিশন শো ‘ফেম’-এও অংশ নেন। কিন্তু তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দেয় ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত সম্প্রচারিত “দ্য কসবি শো”। এই সিরিজে তিনি হিথক্লিফ ও ক্লেয়ার হাক্সটেবলের একমাত্র ছেলের ভূমিকায় অভিনয় করেন। সিরিজটি মধ্যবিত্ত কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারের জীবনের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছিল, যা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।
ওয়ার্নারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অভিনেতা ও সিরিজটির নির্মাতা বিল কসবি। তিনি বলেন, “খবরটা শুনে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। প্রথমেই আমার মনে পড়ল তাঁর মায়ের কথা-যিনি তাঁর জন্য কত কষ্ট করেছেন, অসাধারণভাবে তাঁকে বড় করেছেন।”
‘দ্য কসবি শো’ নিয়ে গর্ব ছিল ওয়ার্নারের। একাধিক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, “শুরুর দিকে অনেকেই বলত, এই শো বাস্তবসম্মত নয়, কৃষ্ণাঙ্গ পরিবার এমন হয় না। অথচ আমরা হাজারে হাজারে চিঠি পেতাম-মানুষ বলত, এই শোর জন্য ধন্যবাদ।”
চলচ্চিত্রের পাশাপাশি মিউজিক ভিডিও ও টেলিভিশন শোর পরিচালনাও করেছেন ওয়ার্নার। দীর্ঘ ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি অভিনয় দক্ষতার পাশাপাশি কণ্ঠশিল্পী ও কবি হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ১৯৮৬ সালে ‘দ্য কসবি শো’-তে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি প্রাইমটাইম এমি অ্যাওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
একজন প্রতিভাবান অভিনেতার এমন আকস্মিক প্রয়াণে তাঁর ভক্ত ও সহকর্মীরা শোকাহত। কোস্টারিকার শান্ত নীল জলে ভেসে থাকা জীবনের শেষ মুহূর্তে ওয়ার্নার রেখে গেলেন তাঁর দীর্ঘ অভিনয়জীবনের অসংখ্য স্মরণীয় মুহূর্ত।
রয়টার্স জানায়, ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চালালেও ব্যর্থ হন। পরে কোস্টারিকার রেড ক্রসের সদস্যরা এসে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। দেশটির বিচার বিভাগীয় তদন্ত সংস্থা (ওআইজি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
শৈশবে অভিনয় শুরু করা ওয়ার্নার নব্বইয়ের দশকে টিভি দর্শকদের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন ‘দ্য কসবি শো’-তে থিওডোর হাক্সটেবল চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। মাত্র ৯ বছর বয়সে অভিনয় শুরু করা এই অভিনেতা কৈশোরে টেলিভিশন শো ‘ফেম’-এও অংশ নেন। কিন্তু তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দেয় ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত সম্প্রচারিত “দ্য কসবি শো”। এই সিরিজে তিনি হিথক্লিফ ও ক্লেয়ার হাক্সটেবলের একমাত্র ছেলের ভূমিকায় অভিনয় করেন। সিরিজটি মধ্যবিত্ত কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারের জীবনের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছিল, যা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।
ওয়ার্নারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অভিনেতা ও সিরিজটির নির্মাতা বিল কসবি। তিনি বলেন, “খবরটা শুনে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। প্রথমেই আমার মনে পড়ল তাঁর মায়ের কথা-যিনি তাঁর জন্য কত কষ্ট করেছেন, অসাধারণভাবে তাঁকে বড় করেছেন।”
‘দ্য কসবি শো’ নিয়ে গর্ব ছিল ওয়ার্নারের। একাধিক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, “শুরুর দিকে অনেকেই বলত, এই শো বাস্তবসম্মত নয়, কৃষ্ণাঙ্গ পরিবার এমন হয় না। অথচ আমরা হাজারে হাজারে চিঠি পেতাম-মানুষ বলত, এই শোর জন্য ধন্যবাদ।”
চলচ্চিত্রের পাশাপাশি মিউজিক ভিডিও ও টেলিভিশন শোর পরিচালনাও করেছেন ওয়ার্নার। দীর্ঘ ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি অভিনয় দক্ষতার পাশাপাশি কণ্ঠশিল্পী ও কবি হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ১৯৮৬ সালে ‘দ্য কসবি শো’-তে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি প্রাইমটাইম এমি অ্যাওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
একজন প্রতিভাবান অভিনেতার এমন আকস্মিক প্রয়াণে তাঁর ভক্ত ও সহকর্মীরা শোকাহত। কোস্টারিকার শান্ত নীল জলে ভেসে থাকা জীবনের শেষ মুহূর্তে ওয়ার্নার রেখে গেলেন তাঁর দীর্ঘ অভিনয়জীবনের অসংখ্য স্মরণীয় মুহূর্ত।