গাজায় একদিনে আরও শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করলো ইসরায়েল

আপলোড সময় : ২০-০৭-২০২৫ ১১:০৬:৫৪ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২০-০৭-২০২৫ ১১:০৬:৫৪ অপরাহ্ন
গাজায় একদিনে আরও শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। শনিবার আরও কমপক্ষে ১১৬ ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩৮ জন রাফার ত্রাণকেন্দ্রে খাবারের জন্য অপেক্ষা করছিল। খবর আল জাজিরার।
গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালে ৩৫ দিনের এক শিশুসহ আরও দুই ফিলিস্তিনি অপুষ্টিতে মারা গেছে। এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, মার্কিন করদাতাদের সরবরাহকৃত কোটি কোটি টাকার অস্ত্র এবং সহায়তার মাধ্যমে গাজায় জোরপূর্বক ফিলিস্তিনিদের অনাহারে রাখায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি মুসলিম গোষ্ঠী। এদিকে তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ মিছিল করেছে। তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এবং গাজায় অবশিষ্ট প্রায় ৫০ জন জিম্মিকে ফিরিয়ে আনার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নতুন নির্দেশ জারি করেছে। সেখানে আগে থেকেই হাজার হাজার গাজাবাসী আশ্রয় নিয়েছে। এই এলাকায় এখন পর্যন্ত সামরিক অভিযান চালায়নি ইসরায়েল। এ নির্দেশনার ফলে সেখানে ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবারের মধ্যে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই এলাকায় এখনো ৫০ জনের মতো জিম্মি জীবিত অবস্থায় থাকতে পারেন। এদিকে আল-শিফা হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উত্তর গাজায় জাতিসংঘের সহায়তা ট্রাকের জন্য অপেক্ষারত মানুষের ওপর ইসরায়েলি গুলিতে অন্তত ৩০ জন নিহত ও বহু আহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক করে বলেছে, শত শত মানুষ অনাহারে মৃত্যুর মুখে, অনেকেই মারাত্মক দুর্বলতা ও মাথা ঘোরার উপসর্গে হাসপাতালে ভিড় করছেন। মন্ত্রণালয় জানায়, অসুস্থদের শরীর দিন দিন ক্ষীণ হয়ে আসছে, তারা চরমভাবে মৃত্যুর ঝুঁকিতে। জাতিসংঘও বলেছে, গাজার মানুষ অভূতপূর্বভাবে অনাহারে ভুগছে এবং জরুরিভিত্তিতে ত্রাণ প্রবাহ বাড়ানো দরকার। ইসরায়েলি বাহিনী দেইর আল-বালাহর দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে কয়েকটি এলাকায় আকাশ থেকে লিফলেট ফেলে মানুষকে দক্ষিণে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, সেনাবাহিনী চরম শক্তি প্রয়োগ করে শত্রুর ক্ষমতা এবং সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করা হচ্ছে। তবে এই নির্দেশনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জিম্মিদের পরিবার। তাদের প্রশ্ন, এই সিদ্ধান্ত আমাদের প্রিয়জনদের জীবনের বিনিময়ে নেওয়া হচ্ছে না তো? অনেক পর্যবেক্ষক মনে করছেন, দেইর আল-বালাহে হামলার হুমকি হয়তো হামাসকে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় আরও ছাড় দিতে চাপ সৃষ্টির কৌশল হতে পারে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় দখলদার বাহিনীর আগ্রাসনে ৫৮ হাজার ৭৬৫ জন নিহত এবং ১ লাখ ৪০ হাজার ৪৮৫ জন আহত হয়েছে।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net