দীর্ঘ বিরতির পর আবারও অলিম্পিক মঞ্চে ফিরছে ক্রিকেট। তবে এই প্রত্যাবর্তনটা সবাইকে নিয়ে হচ্ছে না। বরং অনেক বড় দলকে ছাড়াই সাজানো হচ্ছে অলিম্পিক ক্রিকেটের ছক। ২০২৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে বসতে যাওয়া এই বৈশ্বিক ক্রীড়াযজ্ঞে ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবে মাত্র ছয়টি দেশ। তার মধ্যে স্বাগতিক হিসেবে একমাত্র নিশ্চিত দল যুক্তরাষ্ট্র। বাকি পাঁচটি দেশের জায়গা নির্ধারিত হবে ভিন্ন নিয়মে। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি জানিয়েছে, অঞ্চলভিত্তিক র্যাঙ্কিং অনুযায়ী চারটি দল পাবে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ। এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা ও ওসেনিয়া থেকে একটি করে। বাকি একটি টিকিট নির্ধারিত হবে বাছাইপর্বের মাধ্যমে। এই নিয়মে সবচেয়ে বেশি চাপে পড়েছে এশিয়ার দেশগুলো। কারণ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ; সবকটি শক্তিশালী দল হলেও জায়গা মিলবে কেবল একটির। অর্থাৎ বাকি দলগুলোকে লড়তে হবে কঠিন বাছাইপর্বে, সেখানেও সুযোগ মিলবে মাত্র একটি দলের। বিশেষ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। একাধিক দ্বীপ নিয়ে গঠিত দলটি কোনো নির্দিষ্ট রাষ্ট্র নয়, ফলে অলিম্পিকে তারা আলাদা দেশের প্রতিনিধিত্ব না করলে সরাসরি অংশ নিতে পারবে না। তাদেরও যেতে হবে বাছাইয়ের পথেই। নারী ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও থাকছে ভিন্নতা। তাদের অলিম্পিক অংশগ্রহণ নির্ধারিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পারফরম্যান্সের ওপর। তবে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের নারী দল আদৌ অংশ নিতে পারবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। অলিম্পিক ক্রিকেট শুরু হবে ২০২৮ সালের ১২ জুলাই, ক্যালিফোর্নিয়ার পোমোনা শহরের ফেয়ারগ্রাউন্ডস স্টেডিয়ামে। পদক নির্ধারিত হবে ২০ ও ২৯ জুলাইয়ের ম্যাচে।