কারখানা দেখিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে মালিকরা পালিয়েছে- শ্রম উপদেষ্টা

আপলোড সময় : ২০-০৭-২০২৫ ০৫:০০:৫৩ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২০-০৭-২০২৫ ০৫:০০:৫৩ অপরাহ্ন
অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, এদেশের অনেক কারখানা মালিক আছে যারা দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। পালিয়ে গিয়ে মাসের পর মাস বিদেশে রয়েছে, টাকা কোথা থেকে দেবে। কারখানা দেখিয়ে দেশের ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে তারা চলে গেছে। তারা শ্রমিকদের কথা চিন্তাও করেনি। সেটা এখন আমাদের চিন্তা করতে হচ্ছে। গতকাল শনিবার বিকেলে সাভার পৌর এলাকার গেন্ডা বালুর মাঠে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ-২০২৫’ পালন উপলক্ষ্যে শহীদদের স্মরণে শ্রমিক সমাবেশ-১ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। কারখানা মালিকদের ব্যাংক ঋণ দেওয়া প্রসঙ্গে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, একটা ব্যাংক থেকে ৩৭ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। তাহলে সেই ইন্ডাস্ট্রি চলবে কীভাবে? ৭-৫-১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ। যাকেই ধরি, যেই ব্যাংককেই ধরি সর্বনিম্ন এক হাজার কোটি টাকার নিচে কারো দেনা নাই। ব্যাংক যেহেতু নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে, ব্যাংক আর নতুন করে টাকা দিচ্ছে না। তাদের জয়গা জমি বিক্রি করে চেষ্টা করছি টাকার যোগান দিতে। কয়েক জনকে আমি পুলিশের কাছে পাঠিয়েছি। ইতোমধ্যে তাদের জায়গা-জমি বিক্রি করার মতো অবস্থা হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশে কখনো এমনটা হয়নি। বন্ধ কারখানা নিয়ে তিনি বলেন, যেগুলো বন্ধ হয়েছে বা যেগুলো খারাপ অবস্থায় আছে সেগুলো বিজিএমইএর মেম্বার। তাদেরকে বলতে হবে বিজিএমইএ কী করবে। এতো দিন বিজিএমইএ ছিল না। এই জন্য শ্রম মন্ত্রণালয় এটার সঙ্গে জড়িত ছিল। যেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, সেগুলোকে পরিচালিত করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যেমন ধরুণ বেক্সিমকো পরিচালনার জন্য বিদেশি কিছু সংস্থা বাংলাদেশে আছে। এর মধ্যে তারা হয়তো আলোচনা করে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তারা যদি অনুকূলে থাকে, তারা কারখানাটি পরিচালনা করবে। শ্রমিকদের উদ্দেশ করে উপদেষ্টা বলেন, যারা বেকার হয়ে গেছে তাদের টাকা-পয়সা দেওয়া হয়েছে। কোনো শ্রমিককে বেকার করা আমার কাজ না। একটা শ্রমিক যদি কাজ না পায়, সে তো একা নয়। তার সঙ্গে তার পরিবার জড়িত, তার বাচ্চারা জড়িত তার স্ত্রী জড়িত। আমরা চেষ্টা করছি তারা যাতে কোনো ভাবেই বেকার না হয়। এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদসহ স্থানীয় প্রশাসন এবং শতাধিক শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net