
কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লার মুরাদনগরের কড়ইবাড়ি গ্রামে দুই সন্তানসহ নারীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আটজনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার আমলি আদালত-১১ এর বিচারক মমিনুল হক এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. সাদেকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আসামিরা হলেন, কড়ইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া (৫৫), রবিউল আওয়াল (৫৫), আতিকুর রহমান (৪২), মো. বায়েজ মাস্টার (৪৩), দুলাল (৪৫), আকাশ (২৪), মো. সবির আহমেদ (৪৮) ও মো. নাজিমউদ্দীন বাবুল (৫৬)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নয়ন কুমার চক্রবর্তী বলেন, দেশব্যাপী আলোচিত কুমিল্লার মুরাদনগরের দুই সন্তানসহ নারীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৮ আসামির গত ৭ জুলাই বিকেলে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ওই আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। কুমিল্লার আমলি আদালত-১১ এর বিচারক মমিনুল হক শুনানি শেষে প্রত্যেক আসামির তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তিনি আরও বলেন, রিমান্ডে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যে বাকি অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে ও ঘটনার নেপথ্যে কারা ছিল, উদ্দেশ্য কী, সব পরিকল্পনা বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছি। প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এর আগে বাঙ্গরা থানায় দায়েরকৃত হত্যা মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনায় গত ৭ জুলাই বিকেলে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। এর আগে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন বাঙ্গরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের। গত ৩ জুলাই সকালে উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে ‘মব’ সৃষ্টি করে মা, মেয়ে ও ছেলেসহ একই পরিবারের তিনজনকে হত্যা করা হয়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন কড়ইবাড়ি গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা বেগম ওরফে রুবি (৫৩), তার ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও মেয়ে তাসপিয়া আক্তার ওরফে জোনাকি (২৯)। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন রোকসানার আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (২৭)। হত্যার ঘটনায় শুক্রবার গভীর রাতে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন নিহত রোকসানার বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে স্থানীয় আকুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহকে। এরই মধ্যে এ মামলায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।