
সিলেটের জ্যাফলং-এ অবৈধভাবে নদী থেকে প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রতিদিন রাতের আঁধারে শত শত কার্গো দিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলন করছে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা। অবৈধভাবে নন্দী থেকে বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধের বাদিতে বিগত এক বছর ধরে প্রতিবাদ করে আসছে স্থানীয় এলাকাবাসী। কিন্তু দুর্বৃত্তরা এতই শক্তিশালি যে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবাধে বালু ও পাথর উত্তোলন করে আসছে। এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা, পরিবেশ মন্ত্রণালয়, নদী কমিশনের চেয়ারম্যান, স্থানীয় জেলা প্রশাসক ,থানা নির্বাহী কর্মকর্তাদের শুরু করে সবার কাছে একাধিক বার অভিযোগ দেয়া সত্ত্বেও অদ্য পর্যন্ত বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়নি। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ৩য় তলায় আকরাম খা হল মিলায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন নদী ও পরিবেশ বাচাও আন্দোলনের গোয়াইঘাট থানা আহ্বায়ক আজমল হোসেন।লিখিত অভিযোগে আজমল হোসেন জানান, জীব ও বৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষার্থে এলাকার সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং সাধারণ জনগণ একত্রিত হয়ে নদী ও পরিবেশ জীব বৈচিত্র রক্ষার্থে বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন, সিলেট এ একাধিক বার সংবাদিক সম্মেলনসহ প্রশাসনের সকল স্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী।
প্রতিদিন এই গোয়াইঘাট নদী থেকে কোটি কোট টাকার বালু ও পাথর উত্তোলন করা হয়। আর এর বিনিময়ে জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে থানা ভারপ্রাপ্ত অফিসার সবাই ভাগ পান। গোয়াইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও থানা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো জানান, বিগত সরকারের দোসর কামরুল ইসলাম চৌধুরী, স্টেলিন তারিয়াং, জিয়ারত খান, জাহিদ খান, সুহেল আজিজ, সাত্তার, বুলবুল, বদরুল ও খায়রুলসহ শতাধিক বিএনপি নামধারী নেতারা এই অবৈধ বালু উপায় উত্তোলনের সাথে জড়িত। এই অবৈধ কর্মকাণ্ডে বাধ্য দেয়ার কারণে প্রশাসনের সহযোগিতায় দুর্বৃত্তরা তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করছে। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তার পরিবারের লোকজনকে হয়রানী করছে।গত কিছু দিন আগে দুই পরিবেশ বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান ও বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির গোয়াইঘাট এলাকায় পরিদর্শন করতে দুর্বৃত্তরা তাদের গাড়ি বহরে বাধা দেন এবং তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় দুই উপদেষ্টা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে আসতে বাধ্য হন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে জড়িত ব্যক্তিদের পুলিশ এখন ও গ্রেফতার করতে পারেনি। কেবল মাত্র এলাকার নীরহ মানুষদের ধরে ঐ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে। অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলনের বন্ধের দাবিতে আরো কঠোর কর্মসূচি দিচ্ছে নদী ও পরিবেশ বাচাও আন্দোলনকারীরা।