
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চলমান অস্থিরতা ও আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সংস্থার চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে ব্যাচভিত্তিক সাক্ষাতে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং আগামীর জন্য শৃঙ্খলার পথে ফেরার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এনবিআরের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ক্ষমা চাওয়া কর্মকর্তাদের অনেকেই পূর্বে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দেখা করা ব্যাচগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— ৪০, ৩৮, ৩৩, ৩১, ৩০, ২৯ ও ২৮তম ব্যাচ। তারা মাঠ প্রশাসনে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সম্মিলিতভাবে এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া, সদ্য পদোন্নতি পাওয়া প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তাও চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি, দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন। রাজস্ব আদায়ে যেন কোনও ঘাটতি না ঘটে, সেদিকে বিশেষ মনোযোগ দিন। এর আগের দিন গত সোমবারও কয়েকজন কর্মকর্তা এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে সরকার একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ নামে দুটি নতুন বিভাগ গঠন করে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলম বিরতি ও ‘কমপ্লিট শাটডাউন’সহ নানা কর্মসূচি পালন করে। পরবর্তীতে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতাদের অনুরোধ ও অর্থনৈতিক স্বার্থে আন্দোলন প্রত্যাহার করে ‘সংস্কার ঐক্য পরিষদ’। তবে এরপরেই কয়েকজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসরের পাশাপাশি ডজনখানেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান শুরুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে এনবিআরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ধরনের চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গত সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকা কাস্টমস ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, প্রত্যেকে যদি দায়িত্বশীল আচরণ করে, তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে কেউ কেউ বড় ধরনের সীমা লঙ্ঘন করেছেন সেসব বিষয়ে আলাদাভাবে বিবেচনা করা হবে। তিনি আরও বলেন, আতঙ্ক বা অনিশ্চয়তা রাজস্ব আহরণে ব্যাঘাত ঘটাবে না। আমাদের কর্মকর্তারা অতীতেও চাপের মধ্যেও কাজ করেছেন, এখনও করবেন। সব ঠিক হয়ে যাবে।
বিশ্লেষকদের মতে, ক্ষমা প্রার্থনার ঘটনাটি এনবিআরের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটি ইতিবাচক বার্তা দিতে পারে। তবে এটি কতটা টেকসই হয়, তা নির্ভর করবে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ ও সংশ্লিষ্টদের আচরণগত পরিবর্তনের ওপর।
এনবিআরের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ক্ষমা চাওয়া কর্মকর্তাদের অনেকেই পূর্বে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দেখা করা ব্যাচগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— ৪০, ৩৮, ৩৩, ৩১, ৩০, ২৯ ও ২৮তম ব্যাচ। তারা মাঠ প্রশাসনে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সম্মিলিতভাবে এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া, সদ্য পদোন্নতি পাওয়া প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তাও চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি, দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন। রাজস্ব আদায়ে যেন কোনও ঘাটতি না ঘটে, সেদিকে বিশেষ মনোযোগ দিন। এর আগের দিন গত সোমবারও কয়েকজন কর্মকর্তা এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে সরকার একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ নামে দুটি নতুন বিভাগ গঠন করে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলম বিরতি ও ‘কমপ্লিট শাটডাউন’সহ নানা কর্মসূচি পালন করে। পরবর্তীতে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতাদের অনুরোধ ও অর্থনৈতিক স্বার্থে আন্দোলন প্রত্যাহার করে ‘সংস্কার ঐক্য পরিষদ’। তবে এরপরেই কয়েকজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসরের পাশাপাশি ডজনখানেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান শুরুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে এনবিআরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ধরনের চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গত সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকা কাস্টমস ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, প্রত্যেকে যদি দায়িত্বশীল আচরণ করে, তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে কেউ কেউ বড় ধরনের সীমা লঙ্ঘন করেছেন সেসব বিষয়ে আলাদাভাবে বিবেচনা করা হবে। তিনি আরও বলেন, আতঙ্ক বা অনিশ্চয়তা রাজস্ব আহরণে ব্যাঘাত ঘটাবে না। আমাদের কর্মকর্তারা অতীতেও চাপের মধ্যেও কাজ করেছেন, এখনও করবেন। সব ঠিক হয়ে যাবে।
বিশ্লেষকদের মতে, ক্ষমা প্রার্থনার ঘটনাটি এনবিআরের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটি ইতিবাচক বার্তা দিতে পারে। তবে এটি কতটা টেকসই হয়, তা নির্ভর করবে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ ও সংশ্লিষ্টদের আচরণগত পরিবর্তনের ওপর।