হাসপাতালের বারান্দায় জন্ম দুই নবজাতকের একজনের মৃত্যু

আপলোড সময় : ০৪-০৭-২০২৫ ০২:১৬:৫৪ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৪-০৭-২০২৫ ০২:১৬:৫৪ অপরাহ্ন
সিলেট প্রতিনিধি
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দায় সন্তান প্রসব করেছেন দুই নারী। পরে তাদের মধ্যে এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে অনেকেই হাসপাতাল কর্তৃপরে সমালোচনা করেছেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, চিকিৎসক-নার্সদের ডাকাডাকি করলেও তারা পাত্তা দেননি। এক পর্যায়ে গাইনি বিভাগের বারান্দাতেই সন্তান প্রসব করেন দুই নারী। ভুক্তভোগী ও প্রত্যদর্শীরা জানান, গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় লেবার ওয়ার্ডে প্রসব ব্যথা নিয়ে আসেন কোম্পানীগঞ্জের বাসিন্দা সুমি বেগম (১৯) এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলার সুপ্রিতা রানী দাস (২৫) নামে দুই প্রসূতি। স্বজনরা দুপুর ২টার দিকে ওসমানী হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে নিয়ে যান তাদের। ওয়ার্ডে শয্যা সংকট থাকায় তাদের বারান্দায় বসিয়ে রাখা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রসব বেদনা উঠলে বারবার জানানো হলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সদের প থেকে সাড়া মেলেনি। এক পর্যায়ে প্রথমে সুমি বেগম বারান্দায় সন্তান প্রসব করেন। এর ১০ মিনিট পর সুপ্রিতা রানী দাসও বারান্দাতেই সন্তান প্রসব করেন। এসময় সেখানে থাকা রোগীর স্বজনরা তাদের পরণের কাপড় দিয়ে প্রসূতির আশপাশ ঘেরাও করে সহযোগিতা করেন। প্রসবের কিছুণ পর এক নারী চিকিৎসক এসে তাদের ওয়ার্ডের ভেতরে নিয়ে যান। পরে সুমি বেগমের নবজাতকটি মারা যায়। ভুক্তভোগী প্রসূতি সুমি বেগম বলেন, আমার গর্ভকালীন সময় ৫ মাস। হঠাৎ প্রসব ব্যথা উঠলে আমার স্বজনরা ডাক্তার-নার্সদের অনেক অনুরোধ করেন আসার জন্য। কিন্তু তারা ডাকে কেউ সাড়া দেননি। এক পর্যায়ে হাসপাতালের বারান্দাতেই বাচ্চা জন্ম হয়। তিনি আরও বলেন, বাচ্চা জন্মের পর একজন নার্স আমাকে কেবিনে নিয়ে যান। পরে শুনি বাচ্চাটা মারা গেছে। ডাক্তাররা যদি সঠিক সময়ে আমার চিকিৎসা করতেন তাহলে নবজাতকটি এভাবে মারা যেতো না। এ বিষয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, এখানে চিকিৎসকের কোনো অবহেলা হয়নি। প্রথমত তিনি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। লেবার ওয়ার্ডে প্রতিদিন শতাধিক রোগী আসেন। এখানে কাজ করার জন্য আমাদের তিনটা ডেস্ক রয়েছে। কিন্তু এই ঘটনাটি অনাকাক্সিক্ষত। প্রসব ব্যথা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চা জন্ম হয়।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net