হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্কারলেট জোহানসন। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তিনি যে চরিত্রগুলো পেতেন তার অধিকাংশই পুরুষের বিনোদনের জন্য আবর্তিত হতো। চরিত্রগুলোর মুল কাজই ছিল পুরুষদের আকর্ষণ করা। তবে এখন সময় বদলেছে বলেও জানান তিনি। নারীদের জন্য চরিত্রের পরিসরও অনেকটা বিস্তৃত হয়েছে, দাবি অভিনেত্রীর। দ্য টাইমস অব লন্ডনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্কারলেট বলেন, ‘আমি যখন অভিনয়ে আসি, তখন আমাকে যে চরিত্রগুলো অফার করা হতো সেগুলোর অধিকাংশই ঘুরপাক খেত ‘পুরুষদের দৃষ্টিতে আকর্ষণীয়’ হয়ে ওঠা নিয়ে। সেই চরিত্রগুলোর স্বপ্ন, অভিপ্রায় বা কাহিনি সবই মূলত পুরুষ চরিত্রকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠত।’ ‘বার্তা বদলেছে। এখন অনেক বেশি নারী রোল মডেল রয়েছেন। নারীরা দৃশ্যমান শক্তিশালী অবস্থানে আছেন। আমি এমন বহু চরিত্রে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি যারা শুধু আকর্ষণীয় না হয়ে বার্তা দিয়েছে, নারীকে বিকশিত করেছে। এখন আর আগের মতো শুধু পুরুষ-নির্ভর চরিত্র পাই না। কিছু একটা বদলেছে’-যোগ করেন অভিনেত্রী। এই প্রথম নয়, স্কারলেট এর আগেও হলিউডে নারীর উপস্থাপন নিয়ে কথা বলেছেন। ২০২২ সালে তিনি বলেছিলেন, খুব অল্প বয়সেই শিল্পে তিনি ‘হাইপারসেক্সুয়ালাইজড’ হয়ে পড়েছিলেন। অর্থাৎ ইচ্ছের বাইরে অতিমাত্রায় যৌন আকর্ষণের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপিত হতেন তিনি। ‘অ্যাভেঞ্জার্স’ খ্যাত এই তারকার ভাষ্য, ‘আমি যেন একটা অবজেক্ট হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল, মানুষ হয়তো ভাবছে আমি ৪০ বছর বয়সী! সেই আকর্ষণ ধীরে ধীরে আমার জন্য বোঝা হয়ে উঠেছিল। আমি নিজের পছন্দমতো চরিত্র পাচ্ছিলাম না। একঘেঁয়ে একটি ঘরে আটকে পড়েছিলাম।’ স্কারলেটের অভিজ্ঞতা হলিউডে দীর্ঘদিনের নারী চরিত্র নির্বাচনের ধারা ও পুরুষ-নির্ভর চিত্রনাট্যের বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলে। তবে তার মতে, এখনকার তরুণী অভিনেত্রীরা পাচ্ছেন শক্তিশালী, বৈচিত্র্যময় ও আত্মনির্ভরশীল চরিত্রে কাজ করার সুযোগ। এটি হলিউডে নারীদের জন্য পরিবেশ ও কাজের পরিবর্তনেরই ইঙ্গিত।