২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলকেই নির্দিষ্ট অংকের প্রাইজমানি দিয়েছিল আইসিসি। নিয়ম অনুযায়ী, ওমান ক্রিকেট বোর্ডও (ওসি) সেই বরাদ্দের অর্থ পেয়েছে। কিন্তু ক্রিকেটারদের প্রাপ্য অর্থ বুঝিয়ে দেয়নি সংস্থাটি। অবশেষে প্রায় এক বছর পর ক্রিকেটারদের সেই পাওনা অর্থ পরিশোধ করতে রাজি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির এই বোর্ড। গতকাল সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ওমান ক্রিকেট জানিয়েছে, ২ লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার আগামী জুলাইয়ের মধ্যে স্কোয়াডের খেলোয়াড় ও সহায়ক কর্মীদের মাঝে বিতরণ করা হবে। এর আগে এই মাসের শুরুতে ক্রিকেট-বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো এক প্রতিবেদনে বলেছে, ওমানের খেলোয়াড়েরা এখন পর্যন্ত পাওনা অর্থ পায়নি। যদিও বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২৪ সালের জুনে, যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবিয়ানে। আইসিসির সঙ্গে অংশগ্রহণকারী বোর্ডগুলোর স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বলা আছে, আইসিসির কাছ থেকে পুরস্কার অর্থ পাওয়ার ২১ দিনের মধ্যে তা খেলোয়াড়দের মধ্যে বিতরণ করতে হবে। ওমান ক্রিকেটকেও সময় মতো অর্থ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল আইসিসি। কিন্তু ওমান ক্রিকেট বোর্ড বিবৃতিতে দাবি করেছে, এই অর্থ বিতরণে দেরি হয়েছে প্রক্রিয়াগত কারণে, যা আইসিসির কাছ থেকে টুর্নামেন্ট পরবর্তী আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যার ওপর নির্ভরশীল। এদিকে ওমানের খেলোয়াড়েরা বিশ্বকাপের কিছুদিন পরেই অর্থ না পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। এরপর গত অক্টোবর মাসে ইমার্জিং এশিয়া কাপ চলাকালীন এই সংকট সবচেয়ে জটিল আকার ধারণ করে। ওমানের খেলোয়াড়েরা সম্মিলিতভাবে প্রতিক্রিয়া জানান এবং খেলা থেকে বিরত থাকার হুমকি দেন এবং মাত্র একদিন আগে টুর্নামেন্ট থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। পরবর্তীতে বিদ্রোহী ১৫ সদস্যের স্কোয়াডের ১১ জনের কেন্দ্রীয় চুক্তি স্থগিত করা হয় এবং তাদের বেশিরভাগকেই ওমান ছেড়ে চলে যেতে হয়। উপসাগরীয় দেশগুলোর সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, সেই দেশে বসবাস করতে হলে যেকোনো কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয়। বোর্ড ক্ষুদ্ধ হওয়ায় অনেক ক্রিকেটারের চাকরি বাতিল করে দেওয়া হয়। ফলে তারা কর্মসংস্থানহীন হয়ে পড়েন। এবং তাদেরকে দেশ ছাড়তে হয়।