
ইরানে ইসরায়েলি বিমান হামলা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে যখন ইউরোপীয় কূটনীতিকরা জোর আহ্বান জানাচ্ছেন, ঠিক সেই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দিলেন- তিনি ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলবেন না। খবর আল-জাজিরার।
হামলা কমিয়ে আনা ও আলোচনার পথ খুলে দেয়ার বিষয়ে ইউরোপীয় নেতাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইসরায়েলকে চাপ দেবেন কি না সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ইসরাইল এখন জিতছে এবং তারা খুব ভালো করছে। তাই জয়ী পক্ষকে এমন অবস্থায় কিছু বলা কঠিন। অর্থাৎ, তিনি ইরানে ইসরায়েলের চলমান হামলা বন্ধের জন্য কোনো হস্তক্ষেপ করবেন না। প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন থেকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। জবাবে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পালটা হামলা অব্যাহত রেখেছে তেহরান। পালটাপালটি এ হামলায় উভয় দেশের বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবন আর কৌশল বিশ্লেষণ করলে বারবার ভেসে উঠে একই চিত্র। বিপদে পড়লেই তার মুখে শোনা যায় সেই পরিচিত সময়সীমা-‘দুই সপ্তাহ’। এ যেন ট্রাম্পের এক আজব দাওয়াই। যা তিনি ব্যবহার করেন যুদ্ধ, শান্তি, কূটনীতি, বাণিজ্য, স্বাস্থ্যনীতি বা যে কোনো বড় সংকটে ‘সময় কিনতে’। কখনো রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত, কখনো ইরান ইস্যুতে যুদ্ধের সিদ্ধান্ত, কখনো আবার অভ্যন্তরীণ নীতির বড় ঘোষণা-সব ক্ষেত্রেই তার এই ‘দুই সপ্তাহ’ নীতি অনেকটা রাজনীতির ভেলকিবাজি। যা দিয়ে তিনি গণমাধ্যম, জনগণ আর আন্তর্জাতিক মহলকে একটুখানি থমকে দেন। তারপর নিজের মতো পালটা খেলা খেলতে থাকেন আবারও।