* দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদে একমত নয় রাজনৈতিক দলগুলো * মহাজোটের ২ শরিককে আমন্ত্রণ, ক্ষোভ ঝাড়লেন নুর ও ইরান * আসন বিন্যাসে ‘বৈষম্য’, পেছনে গিয়ে বসলেন ‘অসন্তুষ্ট’ নেতারা * স্থানীয় নির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চায় জামায়াত ডা. তাহের

আলোচনায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন

আপলোড সময় : ২০-০৬-২০২৫ ০৩:২৬:৩৮ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২০-০৬-২০২৫ ০৩:২৬:৩৮ অপরাহ্ন
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কিভাবে হবে তা নিয়ে বৈঠকে একমত হয়েছেন সবাই। তবে সংসদের দ্বিকক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে এখনো একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। এটা নিয়ে আগামী রোববার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অধিবেশনে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এদিন মহাজোটের ২ শরিককে আমন্ত্রণ, ক্ষোভ ঝাড়লেন নুর ও ইরান। এদিন বৈঠকে আসন বিন্যাসে ‘বৈষম্য’ দেখা দেয়ায় পেছনে গিয়ে বসলেন ‘অসন্তুষ্ট’ নেতারা। গতকাল বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের মুলতবি অধিবেশনে দুপুরের বিরতির পর আলোচনায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সংলাপ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংসদের উচ্চকক্ষ ১০০ সদস্যের বিষয়ে দলগুলো একমত হয়েছে। তবে উচ্চকক্ষের নাম নিয়েও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন দুপুরের আলোচনায় এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি, গণঅধিকার পরিষদসহ অধিকাংশ দল সংখ্যানুপাতিকে উচ্চকক্ষের পক্ষে মত দিয়েছে। জামায়াত উভয়কক্ষকে সংখ্যানুপাতিক করার পক্ষে। আর বিএনপি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট, এনডিএম নিম্নকক্ষের আসন অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসনে নির্বাচনের পক্ষে।
রাজনৈতিক দলগুলো কিছু বিষয়ে একমত হতে পারলেও এখনো অনেক বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে। এদিন বৈঠকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া কেমন হবে এদিন তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কিভাবে হবে তা চূড়ান্ত না হলেও বর্তমান বিধান পরিবর্তনে সবাই একমত হয়েছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনায় সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল স্মরণ করিয়ে দেয় এর সঙ্গে পার্লামেন্টের দ্বিকক্ষ জড়িত। রাষ্ট্রপতি কিভাবে নির্বাচিত হবেন, সেক্ষেত্রে উচ্চকক্ষ কিভাবে হবে তার পেছনে আমরা দ্বিকক্ষ পার্লামেন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি। সংবিধানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের যে বিধান আছে, ৪৮ এর ১ অনুচ্ছেদ আছে, এই অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। পরিবর্তিত, সংশোধিত ও সংস্কারের বিষয়টি আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করব। তিনি আরও বলেন, আমাদের আলোচনায় বিভিন্ন রকম মত থাকলেও আলোচনাটি অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে হচ্ছে। প্রত্যেকেই মতামত দিচ্ছে। আজকে আমরা সবাই একমত হয়েছি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের যে পদ্ধতি রয়েছে তা পরিবর্তন হওয়া দরকার। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল নিয়ে আলী রিয়াজ বলেন, দুই মেয়াদের বেশি একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কয়েকটি দল একই ব্যক্তি দুইবার প্রধানমন্ত্রী থাকার বিষয়টি বিবেচনা করার কথা বলেছে। অন্যান্য আরও কিছু প্রস্তাবও এসেছে। আমরা এই আলোচনা অব্যাহত রাখব এবং আগামী রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় আবার আলোচনা শুরু করব। আমরা আশা করব এ সপ্তাহে যেসব বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে, সেগুলো প্রথমে আলোচনা করব। দ্বিকক্ষ আইনসভা নিয়ে সবাই একমত হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। ১০০ সদস্য বিশিষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রেও একমত হয়েছে। তার মানে এই নয় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে আরও সংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে, যেগুলো ঐকমত্য হলে পরে জানানো হবে। কিন্তু যেগুলো একমত হবে না তার ভবিষ্যৎ কী হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী অনেকগুলো বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব। সব বিষয়ে আমরা একমত হতে পারব না সেটা আগেও বলেছি। তারপরও যেগুলো উল্লেখযোগ্য বিষয়ে একমত হতে পারব না, সেগুলো আমরা ইতিবাচকভাবে তুলে ধরব। আমরা আশা করব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আমরা একমত হতে পারব।
জাতীয় ঐকত্য কমিশনের বৈঠকে আসন বিন্যাস নিয়ে ‘বৈষম্যের’ প্রতিবাদ জানিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ১২ দলীয় জোটসহ কয়েকটি দলের নেতারা পেছনের সারিতে গিয়ে বসেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের চতুর্থ দিনের মুলতবি বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে নেতাদের জন্য নির্ধারিত আসনে বসেননি বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ১২ দলীয় জোটের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, মুখপাত্র শাহদাত হোসেন সেলিমসহ বেশ কটি দলের নেতারা এ প্রতিবাদে অংশ নেন।
বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন সেলিম মোবাইল ফোনে বলেন, আসন বিন্যাস নিয়ে আমরাসহ বাম জোটের নেতারা অসন্তুষ্ট হয়ে নির্ধারিত আসনে না বসে পেছনের সারিতে বসেছেন। আমিও নেতাদের নিয়ে পেছনের সারিতে বসেছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, আমরা আসন বিন্যাসের ক্ষেত্রে প্রথম দিন থেকেই বৈষম্য দেখছি। ইচ্ছে মত আসন বিন্যাস করা হয়েছে। অনেক দলের একাধিক নেতা প্রথম সারিতে বসলেও অনেক দলের প্রধান নেতাকে দ্বিতীয় সারিতে আসনে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন আসন পরিবর্তন করা হচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ জানাতে ও বিতর্ক এড়াতে আজ আমরা শেষ সারিতে বসেছি। ওই আসনে বসেই আমরা আমাদের কথা বলেছি। ঐক্যমত্য কমিশন আগামীতে কী করে তারা তা দেখার অপেক্ষায় থাকার কথা বলেছেন এই নেতা। তিনি বলেন, ঐক্যমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে শুরুতে এসব নেতৃবৃন্দকে তাদের নির্ধারিত আসনে বসার অনুরোধ করলেও তারা নির্ধারিত আসনে বসেননি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে ১৪ দলীয় মহাজোটের দুই শরিক দলকে আমন্ত্রণ জানানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর ও বাংলাদেশের লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইবেন নূর, আর আগামীতে এমনটি হলে ওয়াকআউট করার হুমকি দিয়েছেন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের চতুর্থ দিনের সংলাপের  মাঝে সাংবাদিকদের আলাদা ব্রিফিংয়ে একই সুরে কথা বলেন এই দুই নেতা। এ বিষয়ে প্রথমে প্রশ্ন তোলেন বাংলাদেশের লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের দুই শরিক বাংলাদেশ জাসদ ও জাকের পার্টিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তিনি বলেন, এটি জুলাই আকাঙ্ক্ষার প্রতি কুঠারাঘাত। আগামীতে এসব দলকে আমন্ত্রণ জানালে আমরা সংলাপ বয়কট করবো। এর পরপরই ব্রিফিংয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন, সংলাপে ফাসিবাদের দোসর দুটি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটি জুলাইয়ের চেতনার প্রতি সুস্পষ্ট অবমাননা। আমরা এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইবো। তিনি বলেন, সংলাপে দুই-একটি দলকে প্রাধান্য দিচ্ছে ঐকমত্য কমিশন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে পরিবর্তন চায় বেশিরভাগ দল। এতে উচ্চ কক্ষ ও নিম্ন কক্ষের সদস্যদের গোপন ভোটে নির্বাচনের বিষয়ে মত দিয়েছে কোনও কোনও দল। আবার ভোটার হিসেবে সিটি মেয়র, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদকেও অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে কেউ কেউ। গণঅধিকার পরিষদও এমনটি চায় বলে জানান দেন নূর।
জাতীয় নির্বচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এমনটি জানিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। এছাড়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় জামায়াত একমত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ডা. তাহের বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন মতামত দিয়েছে। নীতিগতভাবে এক্সটেন্ড ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে জামায়াত। তিনি বলেন, সংসদের প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষ বাস্তবায়ন হলে নিম্নকক্ষের ৩০০ জন এবং উচ্চকক্ষের ১০০ জন সংসদ সদস্যের গোপন ব্যালটে নির্বাচিত হবেন রাষ্ট্রপতি। আবার স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের এতে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছি। এর মধ্যে থাকবেন ৬৪ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ১২ সিটি মেয়র। আবার ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ স্থানীয় সরকারের ৭০ হাজার প্রতিনিধিও ভোট দিতে পারবেন। তিনি বলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই এ পদ্ধতির পক্ষে। জামায়াত এ প্রস্তাবে খুশি। কারণ জামায়াতের অভ্যন্তরীণ সব ভোট হয় গোপন ব্যালটে।
বৈঠকে বিএনপি প্রতিনিধিদল তিন সদস্যের একটি টিম নিয়ে অংশ নেয়। তারা হচ্ছে-স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান। অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদওয়ান আহমেদ, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদউজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন রাজি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
এরআগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের মুলতবি অধিবেশন শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এ অধিবেশনে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ ৩০টি দল অংশ নিয়েছে। যার মধ্যে দুটি রাজনৈতিক জোট রয়েছে। এতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি এবং নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের মুলতবি অধিবেশন শুরু হয়। ওইদিন সংবিধান ৭০ অনুচ্ছেদ এবং সংসদীয় কমিটির সভাপতি পদে মনোনয়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়। তবে বুধবারের আলোচনায় জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হলেও কোনো ঐকমত্য হয়নি দলগুলোর মধ্যে। যার মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আজ আলোচনা শুরু হয়েছে। এনসিসি নিয়ে আগামী সপ্তাহে আলোচনা হবে বলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল, জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি, এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net