
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে বেশিরভাগ যাত্রীছাউনি এখন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গাড়ি রাখার স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কোনো কোনো ছাউনির চাল খুলে নিয়ে গেছেন স্থানীয়রা। ফলে রোদ-বৃষ্টিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতের পর চৌদ্দগ্রামের অংশে যাত্রীদের গণপরিবহনে ওঠানামার জন্য দুই পাশে যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হয়। জেলার দাউদকান্দি থেকে উপজেলার চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত ১০৪ কিলোমিটারের মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম অংশেই রয়েছে ৪৪ কিলোমিটার। মহাসড়কটির ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী লেনে ১২টি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চৌদ্দগ্রামের লালবাগ রাস্তার মাথা, মিয়ার বাজার, নোয়াবাজার, ছুপুয়া, দৌলবাড়ি, সৈয়দপুর, নাটাপাড়া, উপজেলা সদরের চৌদ্দগ্রাম সরকারি হাসপাতালের সামনে, বাতিসা বাজার ও বাতিসা নতুন সড়কে, চিওড়া, জগন্নাথদিঘি ও পদুয়া রাস্তার মাথা ছাউনিগুলো নির্মাণ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মিয়া বাজার যাত্রীছাউনির সমনে স্থানীয় মাইক্রোবাসচালকরা অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছেন। ফলে সেখানে যাত্রীবাহী কোনো বাস দাঁড়াতে পারছে না। চৌদ্দগ্রাম সরকারি হাসপাতালের সামনে ছাউনিটি ইট-বালু ব্যবসায়ীদের দখলে। ছাউনিটির পেছনের পার্টিশান খুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। বাতিসা নতুন সড়কের ছাউটি দখল করে রেখেছেন এক মুদিদোকানি। আর পুরাতন সড়কের ছাউনিটি হোটেল ব্যবসায়ীদের দখলে। চিওড়া ছাউনিটি অসাধু ব্যবসায়ীরা দখল করে পান-সিগারেটের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। পদুয়া রাস্তার মাথায় ছাউনিটির চাল উধাও হয়ে গেছে। ফলে লোহাতে মরিচা ধরে সেখানেও যাত্রীদের বসার মতো অবস্থা নেই।
মহাসড়কে নিয়মিত চলাচলকারী অন্তত ১৫ জন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাউনিগুলো মূল বাসস্ট্যান্ড থেকে কিছু দূরে স্থাপন করায় যাত্রীরা ব্যবহার করতে পারছেন না। এ কারণে ছাউনিগুলো যাত্রীরা কম ব্যবহার করেন। সরেজমিন পরিদর্শন না করে ছাউনিগুলো নির্মাণ করায় দখল হয়েছে বলে মনে করছেন যাত্রীরা। তারা বলছেন, কর্তৃপক্ষ ছাউনিগুলো ব্যবহার উপযোগী করতে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিলে যাত্রীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন।
কুমিল্লা-ফেনী রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসের চালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ?আমরা চাইলেও যাত্রীছাউনির সামনে গাড়ি দাঁড় করাতে পারি না। যাত্রীরাও ছাউনি থেকে দূরে দাঁড়ায়। ফলে আমাদের বাধ্য হয়ে যাত্রীদের কাছে গিয়ে গাড়ি থামাতে হয়। অন্যথায় তারা আমাদের গাড়িতে ওঠে না।
চৌদ্দগ্রামের একটি স্কুলের শিক্ষিকা নার্গিস সুলতানা বলেন, প্রতিদিন কুমিল্লা থেকে আসা-যাওয়া করি। সড়কের পাশে যাত্রীছাউনি দেখি কিন্তু কখনো সেখানে বাস দাঁড়াতে দেখিনি। যাত্রী ওঠানামা করে মহাসড়কের মধ্যেই। ফলে রোদ-বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। পদুয়া রাস্তার মাথায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন টিপু আহমেদ। তিনি বলেন, যাত্রীছাউনির কাছে বাস থামানোর কথা সাইনবোর্ডে লেখা থাকলেও চালকরা তা মানছেন না। ফলে ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক মধ্যেই যাত্রী ওঠানামা করে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, যাত্রীছাউনিগুলোর বেহাল হওয়ার বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। মিয়া বাজারে যে যাত্রীছাউনিটি রয়েছে, সেটি যাত্রীদের ব্যবহারের উপযোগী করা হচ্ছে। জেলা পরিষদের সহযোগিতা পেলে বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে দখলমুক্ত ও মেরামত করা হবে।
কুমিল্লা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী বলেন, আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতের পর চৌদ্দগ্রামের অংশে যাত্রীদের গণপরিবহনে ওঠানামার জন্য দুই পাশে যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হয়। জেলার দাউদকান্দি থেকে উপজেলার চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত ১০৪ কিলোমিটারের মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম অংশেই রয়েছে ৪৪ কিলোমিটার। মহাসড়কটির ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী লেনে ১২টি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চৌদ্দগ্রামের লালবাগ রাস্তার মাথা, মিয়ার বাজার, নোয়াবাজার, ছুপুয়া, দৌলবাড়ি, সৈয়দপুর, নাটাপাড়া, উপজেলা সদরের চৌদ্দগ্রাম সরকারি হাসপাতালের সামনে, বাতিসা বাজার ও বাতিসা নতুন সড়কে, চিওড়া, জগন্নাথদিঘি ও পদুয়া রাস্তার মাথা ছাউনিগুলো নির্মাণ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মিয়া বাজার যাত্রীছাউনির সমনে স্থানীয় মাইক্রোবাসচালকরা অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছেন। ফলে সেখানে যাত্রীবাহী কোনো বাস দাঁড়াতে পারছে না। চৌদ্দগ্রাম সরকারি হাসপাতালের সামনে ছাউনিটি ইট-বালু ব্যবসায়ীদের দখলে। ছাউনিটির পেছনের পার্টিশান খুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। বাতিসা নতুন সড়কের ছাউটি দখল করে রেখেছেন এক মুদিদোকানি। আর পুরাতন সড়কের ছাউনিটি হোটেল ব্যবসায়ীদের দখলে। চিওড়া ছাউনিটি অসাধু ব্যবসায়ীরা দখল করে পান-সিগারেটের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। পদুয়া রাস্তার মাথায় ছাউনিটির চাল উধাও হয়ে গেছে। ফলে লোহাতে মরিচা ধরে সেখানেও যাত্রীদের বসার মতো অবস্থা নেই।
মহাসড়কে নিয়মিত চলাচলকারী অন্তত ১৫ জন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাউনিগুলো মূল বাসস্ট্যান্ড থেকে কিছু দূরে স্থাপন করায় যাত্রীরা ব্যবহার করতে পারছেন না। এ কারণে ছাউনিগুলো যাত্রীরা কম ব্যবহার করেন। সরেজমিন পরিদর্শন না করে ছাউনিগুলো নির্মাণ করায় দখল হয়েছে বলে মনে করছেন যাত্রীরা। তারা বলছেন, কর্তৃপক্ষ ছাউনিগুলো ব্যবহার উপযোগী করতে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিলে যাত্রীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন।
কুমিল্লা-ফেনী রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসের চালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ?আমরা চাইলেও যাত্রীছাউনির সামনে গাড়ি দাঁড় করাতে পারি না। যাত্রীরাও ছাউনি থেকে দূরে দাঁড়ায়। ফলে আমাদের বাধ্য হয়ে যাত্রীদের কাছে গিয়ে গাড়ি থামাতে হয়। অন্যথায় তারা আমাদের গাড়িতে ওঠে না।
চৌদ্দগ্রামের একটি স্কুলের শিক্ষিকা নার্গিস সুলতানা বলেন, প্রতিদিন কুমিল্লা থেকে আসা-যাওয়া করি। সড়কের পাশে যাত্রীছাউনি দেখি কিন্তু কখনো সেখানে বাস দাঁড়াতে দেখিনি। যাত্রী ওঠানামা করে মহাসড়কের মধ্যেই। ফলে রোদ-বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। পদুয়া রাস্তার মাথায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন টিপু আহমেদ। তিনি বলেন, যাত্রীছাউনির কাছে বাস থামানোর কথা সাইনবোর্ডে লেখা থাকলেও চালকরা তা মানছেন না। ফলে ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক মধ্যেই যাত্রী ওঠানামা করে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, যাত্রীছাউনিগুলোর বেহাল হওয়ার বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। মিয়া বাজারে যে যাত্রীছাউনিটি রয়েছে, সেটি যাত্রীদের ব্যবহারের উপযোগী করা হচ্ছে। জেলা পরিষদের সহযোগিতা পেলে বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে দখলমুক্ত ও মেরামত করা হবে।
কুমিল্লা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী বলেন, আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।