
আবারও চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস। তার প্রভাব পড়েছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে। করোনা পরীক্ষা করাতে রোগীরা হাসপাতালে আসতে শুরু করেছেন। এতে নড়েচড়ে বসেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। করোনা রোগীদের জন্য চালু করা হয়েছে আলাদা ওয়ার্ড। নেওয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১০ জুন থেকে হাসপাতালে এসে রোগীরা করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ২৬ জন করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন। এরমধ্যে পাঁচজনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। ৯ জুন গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুর গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির করোনা ধরা পড়ে। পরে তিনি আইসিইউতে ভর্তি থাকলেও এরইমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অ্যান্টিজেন্ট পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ওয়ান স্টপ সার্ভিসে পর্যাপ্ত কিট সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগেও করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন খান জানান, অ্যান্টিজেন্ট পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ আসা পাঁচজন রোগী আমাদের পরামর্শে বর্তমানে তাদের বাসায় আইশোলেশনে রয়েছেন। দুদিন আগে করোনা রোগীদের জন্য হাসপাতালের নতুন ভবনের আটতলায় ২০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়। তবে এখন পর্যন্ত ওয়ার্ডে কোনো করোনা রোগী ভর্তি নেই। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রোগীদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করাসহ রোগী ও তাদের স্বজনদের সচেতন করতেও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সচিব মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কিট সংকট ছিল। কিট সরবরাহের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জানিয়েছিলাম। গত শনিবার মেডিকেল কলেজে ৩০০ ও হাসপাতালে আরও ৬০০ কিট সরবরাহ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজিয়া হক বলেন, রোববার আরটি পিসিআর ল্যাবে চারজন ও গতকাল সোমবার সাতজনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে কারও করোনা শনাক্ত হয়নি।