
নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এএসএম জাহাঙ্গীর হোসেন মানিকের (মোটরসাইকেল) প্রধান সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলামকে হাতুড়িপেটা করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গত রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার ফাগুয়ারদিয়ার ইউনিয়নের সাতশৈল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আহত শহিদুল ইসলামকে দেখতে নাটোর সদর হাসপাতালে যান নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদা শারমীন নেলীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আহত মো. শহিদুল ইসলাম জানান, গতকাল সোমবার গভীর রাতে কালামসহ আনারস প্রতীকের ৭/৮ জন কর্মী তার বাড়িতে এসে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। এ সময় তারা শহিদুলের মাথা ও বুকে পিস্তল ধরে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে তার মাথা এবং শরীরে হাতুড়ি ও রড দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনি রক্তাত্ত জখম হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নাটোর হাসপাতালে ভর্তি করেন। মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এএসএম জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক বলেন, গতকাল (রোবাবর) নির্বাচনী প্রচারণার কাজ শেষ করে রাতে বাড়ি ফেরেন আমার প্রধান সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম।
রাত ৩টার দিকে আনারস প্রতীকের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার প্রধান সমন্বয়কারীর বাড়ির দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তার বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এতে তার মাথায় জখম হয়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি আরও জানান, নির্বাচন গণতান্ত্রিক অধিকার। এ নির্বাচনে একটি পক্ষ প্রতিপক্ষ ব্যক্তির ওপর হামলা করবে এটা জঘন্য কাজ। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ চাই। আমার প্রধান সমন্বয়কারীর ওপর যে হামলা করা হয়েছে। দোষীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার দাবি করছি। এ ঘটনায় ভোটারদের মাঝে একটা ভয় কাজ করছে। প্রশাসন এ বিষয়ে তৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করছি।
বাগাতিপাড়া থানার ওসি নান্নু খান বলেন, আনারস প্রতীকের সমর্থকরা মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মীকে মারধর করেছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।