
ইরানে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন কি ইসরায়ালের চলমান ‘প্রচেষ্টার’ (ইরানে হামলা) অংশ?- ফক্স নিউজের এক সাক্ষাৎকারে এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে। প্রশ্নের উত্তরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এটি (ইরানে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন) অবশ্যই ফলাফল হতে পারে, কারণ ইরানি শাসনব্যবস্থা খুবই দুর্বল।’ খবর বিবিসি’র।
নেতানিয়াহু দাবি করেন, বর্তমান ইরানি শাসনব্যবস্থার ওপর ‘জনসমর্থন নেই’। ইরানের ৮০ শতাংশ মানুষ বর্তমান সরকারকে ‘উৎখাত’ করতে চায় বলেও দাবি তার। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পারস্যবাসী এবং ইহুদি জনগণের মধ্যে একটি প্রাচীন বন্ধুত্ব ছিল। এই সময়ে পদক্ষেপ নেয়ার, জেগে ওঠার সিদ্ধান্ত ইরানি জনগণের।’ এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার সাম্প্রতিক ইসরায়েলি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-সিবিএস নিউজের কাছে এমন দাবি করেছেন তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা। প্রতিবেদন মতে, একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে, খামেনিকে হত্যা করার সুযোগ ছিল ইসরায়েলের। তবে ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে জানিয়েছিলেন এটি ‘ভালো কোনো ধারণা’ নয়। ওই মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, গত সপ্তাহে ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলার পর নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্পের মধ্যে কথোপকথন হয়। ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি প্রথম জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে গত রোববার সন্ধ্যায় ফক্স নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সরাসরি রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত বা অস্বীকারও করেননি নেতানিয়াহু।