
বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার মাতামুহুরি নদীর তীর থেকে এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, আরও দুজন পর্যটক নিখোঁজ আছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলা সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাজার পাড়ায় তাহের মল্লিকের জমি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে আলীকদম থানার এসআই শাহাদাৎ হোসাইন জানান। নিহত আনুমানিক ৩৫ বছরের শেখ জুবাইরুল ইসলাম নড়াইল জেলার লোহাগাড়া উপজেলার ধলইতলা পাঁচুড়িয়া গ্রামের শেখ হিদায়েতুল ইসলামেরর ছেলে। এসআই শাহাদাৎ হোসাইন বলেন, “গত দুদিনে মাতামুহুরি নদীর উজানে বিপুলসংখ্যক পর্যটক জড়ো হন। পাহাড়ে ভারি বৃষ্টি হলে হঠাৎ বড় ঢল সৃষ্টি হয়। আবার বৃষ্টি থামার আধাঘণ্টা, এক ঘণ্টার মধ্যেই পানিও দ্রুত নেমে যায়। হয়ত এই মুহূর্তে পড়ে গেছেন তারা। “মৃতদেহের পরনে কোনো পোশাক ছিল না, শুধুমাত্র দুই পায়ে অ্যাংলেট পাওয়া গেছে।” এসআই বলেন, “নদীর তীরে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা আলিকদম থানায় খবর দেন। পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আরও দুজন নিখোঁজ আছে বলে জানতে পেরেছি।” “শুনলাম, দুর্ঘটনাস্থলে আরও একদল পর্যটক গেছে। তারা ফিরে না আসা পর্যন্ত বিস্তারিত জানার সুযোগ নেই।” আলীকদম থানার ওসি মির্জা জহির উদ্দিন বলেন, “৯ জুন ৩৩ জন পর্যটকের একটা ট্যুর গ্রুপ দুইজন গাইড নিয়ে আলীকদম-থানচির মাঝখানে ক্রিস্টং পাহাড়ে বেড়াতে যায়। মূলত এই ৩৩ জনের দলের মধ্যে এই দুর্ঘটনাটা ঘটেছে।” যে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে সেটি বান্দরবান সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তে জন্য পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আব্দুলাহ আল মোমিনের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ফেইসবুক পেইজে বলা হয়েছে, একজন মানুষের জীবনের মূল্য সবচেয়ে বেশি। পর্যটকরা কোথায় যাবেন, প্রতি ১২ জনের জন্য গাইড নিশ্চিত করা হয়েছে কি-না সেজন্য উপজেলা প্রশাসনের তথ্য সহায়তা বুথে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। “কিছু অসাধু লোক রেজিস্ট্রেশন এবং গাইডসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করেই পর্যটকদের বিপজ্জনক ট্যুরিস্ট স্পটে নিয়ে যান। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” এ ব্যাপারে অমূল্য জীবন রক্ষা ও নিরাপদ পর্যটন নিশ্চিত করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সবার পরামর্শ চেয়ে ফেইসবুক পেইজে অনুরোধ করা হয়েছে।
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার মাতামুহুরি নদীর তীর থেকে এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, আরও দুজন পর্যটক নিখোঁজ আছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলা সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাজার পাড়ায় তাহের মল্লিকের জমি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে আলীকদম থানার এসআই শাহাদাৎ হোসাইন জানান। নিহত আনুমানিক ৩৫ বছরের শেখ জুবাইরুল ইসলাম নড়াইল জেলার লোহাগাড়া উপজেলার ধলইতলা পাঁচুড়িয়া গ্রামের শেখ হিদায়েতুল ইসলামেরর ছেলে। এসআই শাহাদাৎ হোসাইন বলেন, “গত দুদিনে মাতামুহুরি নদীর উজানে বিপুলসংখ্যক পর্যটক জড়ো হন। পাহাড়ে ভারি বৃষ্টি হলে হঠাৎ বড় ঢল সৃষ্টি হয়। আবার বৃষ্টি থামার আধাঘণ্টা, এক ঘণ্টার মধ্যেই পানিও দ্রুত নেমে যায়। হয়ত এই মুহূর্তে পড়ে গেছেন তারা। “মৃতদেহের পরনে কোনো পোশাক ছিল না, শুধুমাত্র দুই পায়ে অ্যাংলেট পাওয়া গেছে।” এসআই বলেন, “নদীর তীরে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা আলিকদম থানায় খবর দেন। পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আরও দুজন নিখোঁজ আছে বলে জানতে পেরেছি।” “শুনলাম, দুর্ঘটনাস্থলে আরও একদল পর্যটক গেছে। তারা ফিরে না আসা পর্যন্ত বিস্তারিত জানার সুযোগ নেই।” আলীকদম থানার ওসি মির্জা জহির উদ্দিন বলেন, “৯ জুন ৩৩ জন পর্যটকের একটা ট্যুর গ্রুপ দুইজন গাইড নিয়ে আলীকদম-থানচির মাঝখানে ক্রিস্টং পাহাড়ে বেড়াতে যায়। মূলত এই ৩৩ জনের দলের মধ্যে এই দুর্ঘটনাটা ঘটেছে।” যে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে সেটি বান্দরবান সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তে জন্য পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আব্দুলাহ আল মোমিনের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ফেইসবুক পেইজে বলা হয়েছে, একজন মানুষের জীবনের মূল্য সবচেয়ে বেশি। পর্যটকরা কোথায় যাবেন, প্রতি ১২ জনের জন্য গাইড নিশ্চিত করা হয়েছে কি-না সেজন্য উপজেলা প্রশাসনের তথ্য সহায়তা বুথে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। “কিছু অসাধু লোক রেজিস্ট্রেশন এবং গাইডসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করেই পর্যটকদের বিপজ্জনক ট্যুরিস্ট স্পটে নিয়ে যান। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” এ ব্যাপারে অমূল্য জীবন রক্ষা ও নিরাপদ পর্যটন নিশ্চিত করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সবার পরামর্শ চেয়ে ফেইসবুক পেইজে অনুরোধ করা হয়েছে।