ডেঙ্গুর উৎস নির্মূলে ব্যবস্থা নেয়া দরকার

আপলোড সময় : ২০-০৫-২০২৪ ১০:১৮:৫০ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২০-০৫-২০২৪ ১০:১৮:৫০ অপরাহ্ন


ডেঙ্গু প্রতিনিয়ত ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। এতে জনজীবনে শুরু হয়েছে হতাশা। কোনো সঠিক পদক্ষেপ পাচ্ছে না জনসাধারণ।  দেশে প্রতিবছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, মৃত্যুহার বেড়ে চলেছে। মৃত্যুর এই উচ্চ হার বিশ্বের আর কোথাও নেই। অভিযোগ উঠেছে, সমস্যা মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। দেশব্যাপী জোরদার প্রতিরোধ কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। চিকিৎসার ক্ষেত্রেও অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। পত্রপত্রিকা থেকে জানা যায়,  দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার দশমিক ৫। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ব্রাজিলে। ব্রাজিলেও মৃত্যুহার এত না। করোনা মহামারি শুরুর পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৪২৮। এর মধ্যে মারা যান ১০৫ জন। মৃতের হার ছিল শূন্য দশমিক ৩৭। পরের বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। এর মধ্যে মারা যান ২৮১ জন। এ বছর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে যায়। একই সঙ্গে বাড়ে মৃত্যুহার। ২০২২ সালে মৃত্যুহার ছিল শূন্য দশমিক ৪৫। ২০২৩ সালে ডেঙ্গুর সব রেকর্ড ভেঙে যায়। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ২৭ জন। এর মধ্যে মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন। মৃত্যুহার বেড়ে হয় শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ। ২০২৪ সালে জানুয়ারি থেকে ৫ মে পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৮৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৭ জন। মৃত্যুহার ১ দশমিক ১৮, এর অর্থ ১০০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে তাদের মধ্যে ১ জন মারা যাচ্ছেন।
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, একবার আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তি দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে জটিলতা বেশি হয়। ঢাকা শহরে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়া রোগী অনেক বেড়ে গেছে। জ¦র হওয়ার পরও অনেকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। হাসপাতালে রোগী আসছে অনেক দেরিতে, অথবা পরিস্থিতি অনেক জটিল হওয়ার পর। গত বছর ডেঙ্গুতে ঢাকা শহরে মারা গিয়েছিলেন ৯৮০ জন। ঢাকা শহরের বাইরে মারা গিয়েছিলেন ৭২৫ জন। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, প্রতিকূল পরিবেশেও এডিস মশা বেঁচে থাকার সক্ষমতা অর্জন করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এডিসের উৎপাত কতটা বেড়েছে তা বহুল আলোচিত। অপরিকল্পিত নগরায়ণসহ বিভিন্ন কারণে এডিসের উৎপাত বেড়েছে। জানা যায়, এডিস মশা দেশের প্রতিকূল জলবায়ুর সঙ্গে টিকে থাকার সক্ষমতাও অর্জন করতে শুরু করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এডিসের উৎপাত শুধু বর্ষাকালে নয়, বছরজুড়েই থাকবে। কাজেই ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে সারা বছর মশক নিধনসহ অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। যেভাবেই হোক ডেঙ্গুর উৎস পুরোপুরি নির্মূল করতে হবে।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net