
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে ঢাকা সিটি করপোরেশনসহ সকল স্থানীয় নির্বাচন হোক। তাহলে ইশরাক ভাইয়ের মত যোগ্য ব্যক্তিরা তুলনামূলক লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে প্রতিযোগিতা করে গ্রহণযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। গত সোমবার মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেইজে দেয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা লিখেন।
সারজিস তার পোস্টে লিখেছেন, জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় নির্বাচন হলে আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে জনগণ এবং দেশ উপকৃত হবে। তিনি লিখেন, বর্তমানে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসগুলোতে জনপ্রতিনিধির অভাবে যে সেবাগুলো বিঘ্নিত হচ্ছে, জনগণ সেই সেবাগুলো আবার পেতে শুরু করবে। সারজিস আরও লিখেন, জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে এই স্থানীয় নির্বাচন সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশের লিটমাস টেস্ট হতে পারে। যেমন- নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার বিভাগ। স্বচ্ছ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এগুলো কতটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে সেই লিটমাস টেস্ট হতে পারে। অতঃপর, প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, বিয়োজন হতে পারে। সরাসরি জাতীয় নির্বাচন হলে যদি অপ্রত্যাশিত কিছু বিষয় পরিলক্ষিত হয় তাহলে সেগুলো সংশোধনের আর সুযোগ থাকবে না। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
তিনি পোস্টে উল্লেখ করেন, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে মার্কা দিয়ে কিংবা সিলেকশন প্রক্রিয়ায় নমিনেশন দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মাইম্যানকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে জনপ্রতিনিধি করা হয়। কিন্তু এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় সেই স্থানীয় নির্বাচন হলে মাইম্যান নয় বরং জনগণের রায়ে জনগণের ম্যান জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার অধিক সম্ভাবনা থাকে।
এনসিপির এই নেতা আরও লিখেন, বিএনপি এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। তাদের কর্মী থেকে শুরু করে সমর্থনও সবচেয়ে বেশি। তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। তবে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টা হবে সেটি হচ্ছে, তাদের একাধিক প্রতিনিধির মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় মানুষটি নির্বাচিত হবে। চাঁদাবাজ, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, সিন্ডিকেটের অংশীদার, তেলবাজরা জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসার সুযোগ পাবে না। আশাকরি এ বিষয়ে তাদের দ্বিমত থাকবে না।
সর্বশেষ বিশেষ দ্রষ্টব্য উল্লেখ করে সারজিস লিখেছেন, স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলছি বলে এখানে যেন জাতীয় নির্বাচন পিছানোর ষড়যন্ত্র খোঁজা না হয়। প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেয়া হোক। সেটা নিয়ে আমাদের আপত্তি থাকবে না।