
দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি জাতীয় সনদ তৈরির দিকে অগ্রসর হতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ মন্তব্য করেছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি জাতীয় সনদ তৈরির দিকে অগ্রসর হতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ মন্তব্য করেছেন। গতকাল সোমবার সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বর্ধিত আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ মন্তব্য করেন বলে কমিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা দু-একদিনের মধ্যে শেষ করে শিগগিরই দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করবে কমিশন। প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব বিষয়ে মতভিন্নতা থাকবে, দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় সেসব বিষয়ে ঐকমত্যের লক্ষ্যে অগ্রসর হতে পারবেন বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, অনেক রক্ত ও প্রাণের বিনিময়ে আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যাদের আত্মদানে এ সুযোগ তৈরি হয়েছে তাদের প্রতি আমাদের দায় আছে। এ দায় শুধু জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নয় বরং বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক শক্তি, সুশীল সমাজ এবং সামাজিক শক্তিশালীগুলোরও রয়েছে। এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে আলোচনায় দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আজাদ, এহসান মাহবুব যোবায়েরসহ ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলে আরো উপস্থিত ছিলেন সাইফুল আলম খান মিলন, মতিউর রহমান আকন্দ, নুরুল ইসলাম বুলবুল, মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, আইনজীবী শিশির মোহাম্মদ মনির ও সরকার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের জানান, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে বা ঐকমত্য হয়নি, কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এ ধরনের বিষয় এক করে কোন পদ্ধতিতে তা আইনগত ভিত্তি পাবে, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে খুব স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, তারা গণভোট চান। জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, গণভোটের মাধ্যমে আমাদের জুলাই চার্টার (জুলাই সনদ) হোক, ন্যাশনাল চার্টার (জাতীয় সনদ) হোক এবং চার্টারের বাইরেও যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকে, সেটাকে অন্তর্ভুক্ত করে জামায়াতে ইসলামী গণভোট চায়।