
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল আযহার ১৯৮ তম জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতিমূলক সভায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান।
তিন আরও বলেন, ঈদুল আজহার এই জামাতে ইমামতি করবেন মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিবারের মতো এবারও শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে ২ টি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। থাকবে বোম ডিস্পোজাল ইউনিট, শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যক্তিগত গেইট তোরণ নির্মাণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রেওয়াজ অনুযায়ী জামাত শুরুর আগে মুসল্লিদের সংকেত দিতে শর্টগানের ছয়টি ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হবে। তিনটি জামাত শুরুর পাঁচমিনিট আগে, দুইটি তিন মিনিট আগে এবং জামাত শুরুর ১ মিনিট আগে একটি গুলি ছোঁড়া হবে। এছাড়াও পুরো ঈদগাহ মাঠ থাকবে সিসি ক্যামেরার আওতায়। ড্রোন ও ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হবে। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ ও র্যাবের জন্য অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হবে ওয়াচ টাওয়ার, প্রস্তুত থাকবে বহুসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক এবং মেডিকেল টিম।
প্রস্তুতি সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল ইসলাম তালুকদার, ইমরানুল ইসলাম, সেনাবাহিনী ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোস্তাফিজ, এন এস আইয়ের সহকারী মো. আলী আকবর হোসেন তামিম, জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমীর রমজান আলী, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি রুহুল হোসাইন, শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের ইমাম মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইকরাম হোসেনসহ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।