তাসকিন আহমেদের সময়টা কঠিন যাচ্ছে। ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করছেন এই পেসার। তবে এই লড়াই শেষ হচ্ছে শীঘ্রই। সুখবর দিলেন তাসকিন নিজেই। আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজেই দলে ফিরতে পারেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বোলিং লাইনের প্রথম সারির মুখ এই পেসার। ইনজুরি থেকে ফেরার লড়াইয়ে তাসকিন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। প্রতিদিনই সময় দিচ্ছেন মিরপুরে। সার্জারির জন্য লন্ডন গেলেও সেটা করতে হয়নি তাকে। মেজর অপারেশন ছাড়াই সুস্থ হয়ে ফেরার আনন্দটা তাসকিনকে উদ্যমী করে তুলেছে। আশাবাদী হয়ে উঠছেন। গত বৃহস্পতিবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তাসকিন। সেখানেই তাসকিন বলেন, ‘রিহ্যাবিলিটেশন চলতেছে। বোর্ড থেকে আমাদের জাতীয় দলের ট্রেনার, ফিজিও এবং ইংল্যান্ডে আমি যে বিশেষজ্ঞ দেখিয়েছি তারা সবাই মিলে যে প্রোগ্রাম সেট করেছে, এগুলো রিহ্যাবিলিটেশনেরই পার্ট। আজকে নিয়ে প্রায় ৫টা সেশন গেল এবং শর্ট রানে বোলিংও শুরু করেছি।’ শ্রীলঙ্কা সিরিজেই ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে তাসকিন আরো বলেন, ‘কবে ফিরব নিশ্চিত করে বলাটা তো কঠিন। কিন্তু যেটা আমাদের লক্ষ্য ইনশাল্লাহ সামনের সিরিজ থেকে জুনের প্রথম দিকে আশা করা যাচ্ছে। যদি কোনো সমস্যা না থাকে। এভাবে চলতে থাকলে আমি খুশি আলহামদুলিল্লাহ। এখনো কোনো অভিযোগ নেই। যদি এভাবে সুন্দর স্মুথ যায় তাহলে তো ভালো, আশা করছি শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে ফেরা সম্ভব।’ ফেরা না ফেরা ম্যানেজমেন্টের হাতে। তা ছাড়া নির্দিষ্ট করে ফেরার দিনক্ষণও বলা যায় না। তাসকিন এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছেন না। তার নজর সুস্থ হওয়ার দিকে, ‘কোনো ইনজু্রি হলে নির্দিষ্ট করে তারিখ বলা কঠিন। আল্লাহ না করুক কোনো সমস্যা হলে তখন হয়তো ম্যানেজমেন্ট থেকে একটা সিদ্ধান্ত নেবে কি করা যায়। আশা করছি কোনো সমস্যা হবে না, যেহেতু এখান থেকে ভালো সুখবর দিছিল যে সার্জারি ছাড়া রিহ্যাবিলিটেশনে সুস্থ হয়ে যাওয়া সম্ভব।’ একই সঙ্গে তাসকিন জানালেন, পেসারদের সঙ্গীই ইনজুরি। বাস্তবতা মেনে নিয়েই পথ চলতে হবে, ‘পেসারদের ক্ষেত্রে যেখানে কোনো ব্যথা নেই, সেখানেও স্ক্যান করলে কিছু না কিছু আসবে। আসলে সারা শরীরেই স্ক্যান করলে ছেড়াফাঁড়া পাওয়া যাবে। দুই পায়েই একই সমস্যা আছে। কিন্তু বা পায়ে আসছে। কারণ, ল্যান্ডিং পা। ৬ সপ্তাহ পর বলা যাবে, অলরেডি আড়াই সপ্তাহ গেছে।’