
রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে অটোরিকশা চালকদের সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় সাগর মিয়া (২২) নামে এক পথচারী যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বিক্ষুব্ধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে কালশী মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ সাগরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে সড়কে গতকাল রোববার সকালে অবরোধ করে অটোরিকশাচালকরা রাস্তায় আগুন দিয়েছে। এতে সড়কের দুই দিকের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল রোববার মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন মোল্ল্যা বলেন, হাইকোর্টের আদেশের পর মিরপুর এলাকা থেকে অটোরিকশা বন্ধ করে দেয়া হয়। এর প্রতিবাদে অটোরিকশা চালকরা মিরপুর-১০ গোলচত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন এবং সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেন। তিনি বলেন, পুলিশ অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে প্রায় চার ঘণ্টা অপেক্ষার পর স্থানীয় সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে মিরপুর-১০ নম্বর চত্বরে থাকা চালকদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মিরপুর-১০ নম্বর থেকে সরে তারা হয়তো কালশীতে গিয়ে রাস্তায় আগুন দিয়েছে। বেলা সাড়ে চারটার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর চত্বর থেকে অটোরিকশাচালকদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এতে মিরপুর-১০ এলাকায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। গত ১৫ মে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না দেয়ার নির্দেশ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে না। এ বিষয়ে শুধু নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়, এগুলো চলতে যেন না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ২২ মহাসড়কে রিকশা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করুন।
গুলিবিদ্ধ সাগরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা রাকিবুল ইসলাম জানান, তাদের বাসা মিরপুর ১১ নম্বর সেকশন, বাউনিয়াবাদ এলাকায়। সেখানে একটি টেইলার্সে কাজ করেন সাগর। তারা দুজন গতকাল রোববার সকালে একটি কাজে উত্তরায় গিয়েছিলেন। গতকাল বিকেলে সেখান থেকে মিরপুরের বাসায় ফিরছিলেন। পথে কালশী মোড়ে এসে দেখেন পুলিশের সঙ্গে অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষ হচ্ছে। অটোরিকশা চালকদের দমাতে পুলিশ সেখানে গুলি চালাচ্ছিল। তখন সেই সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গেলে সাগরের গলা ও বাম কাঁধে ৪-৫টি গুলি লাগে। এসময় তিনি রাস্তায় পড়ে যান। পরে তাকে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, সাগর নামে ওই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার শাহজাহান বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে বিকাল ৪ টা ৩২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে সেখানে কোনো কাজ করা লাগেনি।
পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান বলেন, রাজধানীর কালশীতে আন্দোলনকারীরা সহিংস আন্দোলন করে। তারা কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। পুলিশ বক্সটি ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স। আমরা এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর অনুমতি চেয়ে গতকাল সকাল থেকেই মিরপুর-১ ও ১০ নম্বর এবং আগারগাঁও এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। এতে মিরপুরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। চার ঘণ্টা অবরোধের পর বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ একপাশ দিয়ে বাস ছেড়ে দিলে উত্তেজিত অটোরিকশাচালকরা লাঠি ও ইট দিয়ে বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুর করেন। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সির সাব্বির জানান, প্রায় চার ঘণ্টা অবরোধের কারণে সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। আড়াইটার দিকে একপাশ দিয়ে বাস চলাচল শুরু করলে তিনটি বাস ভাঙচুর করেন অটোরিকশাচালকরা। তবে পুলিশের বাধায় তারা সেখান থেকে সরে যান।
জানা গেছে, রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে সড়কে গতকাল রোববার সকালে অবরোধ করে অটোরিকশাচালকরা রাস্তায় আগুন দিয়েছে। এতে সড়কের দুই দিকের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল রোববার মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন মোল্ল্যা বলেন, হাইকোর্টের আদেশের পর মিরপুর এলাকা থেকে অটোরিকশা বন্ধ করে দেয়া হয়। এর প্রতিবাদে অটোরিকশা চালকরা মিরপুর-১০ গোলচত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন এবং সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেন। তিনি বলেন, পুলিশ অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে প্রায় চার ঘণ্টা অপেক্ষার পর স্থানীয় সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে মিরপুর-১০ নম্বর চত্বরে থাকা চালকদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মিরপুর-১০ নম্বর থেকে সরে তারা হয়তো কালশীতে গিয়ে রাস্তায় আগুন দিয়েছে। বেলা সাড়ে চারটার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর চত্বর থেকে অটোরিকশাচালকদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এতে মিরপুর-১০ এলাকায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। গত ১৫ মে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না দেয়ার নির্দেশ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে না। এ বিষয়ে শুধু নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়, এগুলো চলতে যেন না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ২২ মহাসড়কে রিকশা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করুন।
গুলিবিদ্ধ সাগরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা রাকিবুল ইসলাম জানান, তাদের বাসা মিরপুর ১১ নম্বর সেকশন, বাউনিয়াবাদ এলাকায়। সেখানে একটি টেইলার্সে কাজ করেন সাগর। তারা দুজন গতকাল রোববার সকালে একটি কাজে উত্তরায় গিয়েছিলেন। গতকাল বিকেলে সেখান থেকে মিরপুরের বাসায় ফিরছিলেন। পথে কালশী মোড়ে এসে দেখেন পুলিশের সঙ্গে অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষ হচ্ছে। অটোরিকশা চালকদের দমাতে পুলিশ সেখানে গুলি চালাচ্ছিল। তখন সেই সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গেলে সাগরের গলা ও বাম কাঁধে ৪-৫টি গুলি লাগে। এসময় তিনি রাস্তায় পড়ে যান। পরে তাকে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, সাগর নামে ওই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার শাহজাহান বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে বিকাল ৪ টা ৩২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে সেখানে কোনো কাজ করা লাগেনি।
পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান বলেন, রাজধানীর কালশীতে আন্দোলনকারীরা সহিংস আন্দোলন করে। তারা কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। পুলিশ বক্সটি ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স। আমরা এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর অনুমতি চেয়ে গতকাল সকাল থেকেই মিরপুর-১ ও ১০ নম্বর এবং আগারগাঁও এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। এতে মিরপুরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। চার ঘণ্টা অবরোধের পর বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ একপাশ দিয়ে বাস ছেড়ে দিলে উত্তেজিত অটোরিকশাচালকরা লাঠি ও ইট দিয়ে বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুর করেন। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সির সাব্বির জানান, প্রায় চার ঘণ্টা অবরোধের কারণে সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। আড়াইটার দিকে একপাশ দিয়ে বাস চলাচল শুরু করলে তিনটি বাস ভাঙচুর করেন অটোরিকশাচালকরা। তবে পুলিশের বাধায় তারা সেখান থেকে সরে যান।