
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সার্বিকভাবে প্রার্থীদের ৪২ শতাংশেরই করযোগ্য আয় নেই জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, অতীতে ক্ষমতায় থাকার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্রুত আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির প্রবণতা স্পষ্ট লক্ষ্য করা গেছে। গতকাল রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ ও টিআইবির পর্যবেক্ষণ প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানানো হয়। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনেও অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং দলের স্থানীয় নেতৃত্বের সমর্থনপুষ্ট। তিনি বলেন, দলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে দ্বিতীয় ধাপেও লড়ছেন বিএনপির স্থানীয় প্রার্থীরা। যদিও দলের নির্দেশ না মেনে বহিষ্কৃত হয়েছেন ৬৪ জন প্রার্থী। উপজেলা নির্বাচন দলীয় প্রতীকে রাজনৈতিক লড়াই হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে দলগত অবস্থান প্রায় শূন্য। মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের অংশগ্রহণের হার বেড়েছে প্রথম ধাপের তুলনায়। দ্বিতীয় ধাপের লড়াইয়ে চেয়ারম্যান পদে মন্ত্রী- এমপিদের স্বজন রয়েছেন ১৭ জন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ জাতীয় নির্বাচনের তুলনায়ও কম। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে নারী প্রার্থী আছেন মাত্র ২৪ জন। জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ব্যবসায়ী প্রার্থীদের দাপট বাড়ছে। ব্যবসায়ী প্রার্থীদের সংখ্যা চতুর্থ নির্বাচনের তুলনায় ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ শতাংশ, যোগ করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৭০.৫১ শতাংশই ব্যবসায়ী, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৮.৭৩ শতাংশ, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ২৯.২৬ শতাংশ ব্যবসাকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৫১.৬৩ শতাংশই নিজেকে গৃহিনী, গৃহস্থালির কাজকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন। গৃহিনী বা গৃহস্থালিকে পেশা হিসেবে দেখানো প্রার্থীদের সাড়ে ১৪.৫৫ শতাংশের আয় আসে ব্যবসা থেকে, কৃষি থেকে আয় আসে ১৬.২৫ শতাংশের আয় নেই ১০.৯২ শতাংশের, ৪৭ শতাংশ নিজেদের আয়ের কোনো স্বীকৃত উৎস দেখাননি। তিনি উল্লেখ করেন, সার্বিকভাবে প্রার্থীদের ৪২ শতাংশই আয় দেখিয়েছেন সাড়ে তিন লাখ টাকার নিচে অর্থাৎ করযোগ্য আয় নেই তাদের। সাড়ে ১৬ লাখ টাকার বেশি আয় দেখিয়েছেন মাত্র ১০ শতাংশ প্রার্থী। তিনি জানান, চেয়ারম্যান ও অন্যান্য প্রার্থীদের মাঝে উল্লেখযোগ্য আয় বৈষম্য লক্ষ্য করা গেছে। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রায় ২১ শতাংশ প্রার্থীদের আয় সাড়ে তিন লাখ টাকার নিচে, যেখানে অন্যান্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তা ৫৩ শতাংশ। একইভাবে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রায় ২৩.৬২ শতাংশ এর আয় সাড়ে ষোল লাখ টাকার ওপরে। অন্যান্য প্রার্থীর ক্ষেত্রে তা মাত্র ৩.২৫ শতাংশ। অর্থাৎ চেয়ারম্যান পদে অপেক্ষাকৃত ধনীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রায় ১৯৪ শতাংশ প্রার্থীর সম্পদ কোটি টাকার নিচে, বাকি প্রার্থীর সম্পদ কোটি টাকা বা তার বেশি। প্রায় ৩ গুণ হয়েছে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা। প্রায় ২৫ শতাংশ প্রার্থীর ঋণ অথবা দায় রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩১০.৯৪ কোটি টাকা ঋণ অথবা দায় রয়েছে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর। প্রার্থীদের ১৩.১৩ শতাংশ বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত। ৫ বছরে একজন চেয়ারম্যানের আয় বেড়েছে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৯০০ শতাংশ, ১০ বছরে এই বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৩৩৬ শতাংশ। অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৬৬৬ শতাংশ স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৪০০ শতাংশ। আইনি সীমা বা ১০০ বিঘা বা ৩৩ একরের বেশি জমি আছে ৪ জন প্রার্থীর, যোগ করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। তিনি আরও উল্লেখ করেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচিত হননি, এমন প্রার্থীদের গত ৫ বছরের আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, অনির্বাচিতদের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। অর্থাৎ ক্ষমতায় থাকার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে শুধু তাদের নিজেদেরই নয়, স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের আয় ও সম্পদ বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। আবার যে সব জনপ্রতিনিধি দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় আছেন, তাদের আয় ও সম্পদ বেশি বৃদ্ধির প্রবণতাও স্পষ্ট।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৭০.৫১ শতাংশই ব্যবসায়ী, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৮.৭৩ শতাংশ, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ২৯.২৬ শতাংশ ব্যবসাকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৫১.৬৩ শতাংশই নিজেকে গৃহিনী, গৃহস্থালির কাজকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন। গৃহিনী বা গৃহস্থালিকে পেশা হিসেবে দেখানো প্রার্থীদের সাড়ে ১৪.৫৫ শতাংশের আয় আসে ব্যবসা থেকে, কৃষি থেকে আয় আসে ১৬.২৫ শতাংশের আয় নেই ১০.৯২ শতাংশের, ৪৭ শতাংশ নিজেদের আয়ের কোনো স্বীকৃত উৎস দেখাননি। তিনি উল্লেখ করেন, সার্বিকভাবে প্রার্থীদের ৪২ শতাংশই আয় দেখিয়েছেন সাড়ে তিন লাখ টাকার নিচে অর্থাৎ করযোগ্য আয় নেই তাদের। সাড়ে ১৬ লাখ টাকার বেশি আয় দেখিয়েছেন মাত্র ১০ শতাংশ প্রার্থী। তিনি জানান, চেয়ারম্যান ও অন্যান্য প্রার্থীদের মাঝে উল্লেখযোগ্য আয় বৈষম্য লক্ষ্য করা গেছে। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রায় ২১ শতাংশ প্রার্থীদের আয় সাড়ে তিন লাখ টাকার নিচে, যেখানে অন্যান্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তা ৫৩ শতাংশ। একইভাবে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রায় ২৩.৬২ শতাংশ এর আয় সাড়ে ষোল লাখ টাকার ওপরে। অন্যান্য প্রার্থীর ক্ষেত্রে তা মাত্র ৩.২৫ শতাংশ। অর্থাৎ চেয়ারম্যান পদে অপেক্ষাকৃত ধনীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রায় ১৯৪ শতাংশ প্রার্থীর সম্পদ কোটি টাকার নিচে, বাকি প্রার্থীর সম্পদ কোটি টাকা বা তার বেশি। প্রায় ৩ গুণ হয়েছে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা। প্রায় ২৫ শতাংশ প্রার্থীর ঋণ অথবা দায় রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩১০.৯৪ কোটি টাকা ঋণ অথবা দায় রয়েছে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর। প্রার্থীদের ১৩.১৩ শতাংশ বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত। ৫ বছরে একজন চেয়ারম্যানের আয় বেড়েছে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৯০০ শতাংশ, ১০ বছরে এই বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৩৩৬ শতাংশ। অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৬৬৬ শতাংশ স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৪০০ শতাংশ। আইনি সীমা বা ১০০ বিঘা বা ৩৩ একরের বেশি জমি আছে ৪ জন প্রার্থীর, যোগ করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। তিনি আরও উল্লেখ করেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচিত হননি, এমন প্রার্থীদের গত ৫ বছরের আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, অনির্বাচিতদের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। অর্থাৎ ক্ষমতায় থাকার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে শুধু তাদের নিজেদেরই নয়, স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের আয় ও সম্পদ বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। আবার যে সব জনপ্রতিনিধি দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় আছেন, তাদের আয় ও সম্পদ বেশি বৃদ্ধির প্রবণতাও স্পষ্ট।