
ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে ‘আত্মরক্ষার অংশ’ হিসেবে ‘প্রত্যুত্তরমূলক ব্যবস্থা’ নেয়ার অনুমতি দিয়েছেন। গতকাল বুধবার ভোরে ভারতের চালানো একাধিক প্রাণঘাতী হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) জরুরি বৈঠকের পর শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দেন, যাতে ‘নিরপরাধ পাকিস্তানি নাগরিকদের মৃত্যুর প্রতিশোধ’ নেয়া হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এতে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিন বছরের একটি শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪৬ জন। এনএসসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরপরাধ পাকিস্তানি নাগরিকদের মৃত্যু এবং পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তান আত্মরক্ষার অধিকার সংরক্ষণ করেযে কোনো সময়, যে কোনো স্থানে এবং যে কোনো উপায়ে। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ বিষয়ে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে যথাযথভাবে প্রত্যুত্তরমূলক ব্যবস্থা নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কোনো আগ্রাসনের মোকাবিলায় পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ প্রতিজ্ঞ।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে একটি প্রাণঘাতী হামলার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়। সে ঘটনায় ২০ জনের বেশি নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। ইসলামাবাদ বারবার এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে। ঘটনার পর থেকে উভয় দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় বিবৃতি দিচ্ছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং সর্বাত্মক সংঘর্ষের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।
পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) জরুরি বৈঠকের পর শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দেন, যাতে ‘নিরপরাধ পাকিস্তানি নাগরিকদের মৃত্যুর প্রতিশোধ’ নেয়া হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এতে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিন বছরের একটি শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪৬ জন। এনএসসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরপরাধ পাকিস্তানি নাগরিকদের মৃত্যু এবং পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তান আত্মরক্ষার অধিকার সংরক্ষণ করেযে কোনো সময়, যে কোনো স্থানে এবং যে কোনো উপায়ে। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ বিষয়ে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে যথাযথভাবে প্রত্যুত্তরমূলক ব্যবস্থা নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কোনো আগ্রাসনের মোকাবিলায় পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ প্রতিজ্ঞ।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে একটি প্রাণঘাতী হামলার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়। সে ঘটনায় ২০ জনের বেশি নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। ইসলামাবাদ বারবার এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে। ঘটনার পর থেকে উভয় দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় বিবৃতি দিচ্ছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং সর্বাত্মক সংঘর্ষের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।