
রাজধানীর ডেমরায় ব্যক্তি মালিকানাধীন বসতবাড়ি দখল অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ভাই-বোন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ৪ পরিবারের পক্ষে অভিযুক্ত সোহরাব গংদের বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় গত ৫ মে রাতে জিডি করেন (জিডি নং ২৮৪, ৫-৫-২০২৫) মিনহাজ ইফতেখার নামে এক ব্যবসায়ী। গত ৩ মে শুকরশী এলাকার ওয়াহিদুজ্জামান গংদের ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে সোহরাব গংদের মধ্যে অভিযুক্তরা হলেন, ওই এলাকার মৃত হামিদ ভূঁইয়ার ছেলে মো. মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া, মো. রফিক ভূঁইয়া, মো. আক্তার ভূঁইয়া, মো. সোহরাব ভূঁইয়া, মেয়ে হনুফা বেগম ওরফে শেফালী বেগম ও হাসিনা বেগম, রহিমা খাতুন ও সালমা খাতুনসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের মদদে অভিযুক্তরা সুকুরশী এলাকার ৫-৬ পরিবারসহ স্থানীয় শিল্প কারখানাও জিম্মি রাখার অপচেষ্টা করে। এক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হেনস্থাসহ আর্থিক সুবিধা নেয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে ওই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। শুকুরসি এলাকায় বসবাস না করায় তাদের খুঁজে পাওয়াও যায় না।
বসতবাড়ির মালিক ভুক্তভোগী হাজী ওয়াহিদুজ্জামান, মুরাদ, মিনহাজ ও শরীফ জানান, বিগত ১৯৭৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তদের মা মোছা. সিরিয়া বেগমের কাছ থেকে ওই বসতবাড়ি ক্রয় করেন তৎকালীন ব্যবসায়ী মৃত আফির উদ্দিন। এক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশে ১৯৭৮ সালের ২৩ মার্চ উক্ত না-বালক, না-বালিকা অভিযুক্তদের অভিভাবক নিযুক্ত হন তাদের মা সিরিয়া বেগম। পরবর্তীতে তিনি আইনি সক্ষমতায় আফির উদ্দিনের কাছে উক্ত বসতবাড়ি সহ অন্যান্য জমি বিক্রি করেন বিভিন্ন ক্রেতাদের কাছে।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান, অভিযুক্তরা পিতার মৃত্যু সনদ ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জাল জালিয়াতি করে তাদের মা-বাবার কাছ থেকে ক্রয়কৃত সম্পদের মালিকদের নানা কৌশলে হেনস্তা করে আর্থিক সুবিধা নেয়ার জন্য। আর তাদের জালিয়াতির বিষয়ে আদালতকে অবগত করা হয়েছে। তাই আদালত থেকে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার অনুমতি আনতে বারবার ব্যর্থ হয় তারা।
বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে ডেমরা থানার ওসি মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, সরেজমিন অভিযুক্তদের এলাকায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা বহিরাগত বলে জানতে পেরেছি। তাই ওই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত দিবে।