
সরকারবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত যুগপৎ ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের আলোচনা-পর্যালোচনা নিয়ে বিশেষ বৈঠক করবে বিএনপি। আজ শনিবার বিকালে অনুষ্ঠেয় এ বৈঠকে গত ১২ মে থেকে অনুষ্ঠিত লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকের আলোচনা ও পরামর্শ তুলে ধরা হবে। বিএনপির উচ্চপর্যায়ের সূত্রে এতথ্য জানা গেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সূত্রগুলো বলছে, ইতোমধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটসহ ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যেসব আলোচনা ও পরামর্শ এসেছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করবে বিএনপি। বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সিনিয়র কয়েকজন নেতাও যুক্ত হতে পারেন। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, এটার দায়িত্ব লিয়াজোঁ কমিটিকে দেয়া আছে। তারা যখন স্থায়ী কমিটিকে জানাবে তখন আমরা বলতে পারবো।
সূত্র জানায়, লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকগুলোতে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দলের মধ্যে আলোচনা করে পরামর্শ ও পর্যালোচনা নিয়ে মতামত দেয়া হবে। যুগপতে যুক্ত দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে-পরের পরিস্থিতি নিয়ে যুগপতে যুক্ত দলগুলোর নেতারা আলোচনা করেছেন। এরমধ্যে জামায়াতঘেঁষা দলগুলো, যাদের মধ্যে কোনও কোনও দল বিলুপ্ত ২০ দলীয় জোটে ছিল, তারা আগামী দিনের আন্দোলনে জামায়াতকেও যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে। অন্যদিকে যুগপতে যুক্ত একটি শক্তিশালী পক্ষ মত দিয়েছে, অন্তরালে জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করলেও যুগপতে যেন দলটিকে যুক্ত করা না হয়। গত ১২, ১৩, ১৫ ও ১৬ মে অনুষ্ঠিত লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে জামায়াত প্রসঙ্গে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তবে গণতন্ত্র মঞ্চের এক নেতা বলেন, বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট, তারা জামায়াতকে সঙ্গে রাখবে। তবে কোন চরিত্রে রাখবে, সেটি স্পষ্ট করেনি। তবে ১৪ মে জামায়াতের উচ্চপর্যায়ের একজন দায়িত্বশীল বলেছিলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এখন বুঝতে পেরেছেন জামায়াতকে দূরে সরিয়ে রাখা কৌশলগত দিক থেকে সঠিক হয়নি। এখন যুগপৎ চলবে, এক মঞ্চে না এলেও রিলেশন বেটার হবে।
স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যের ভাষ্য, তারা মনে করছেন ইতোমধ্যে তারেক রহমান একটি নীতিগত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। তবে সেটি এখনই তিনি সামনে আনতে চাইছেন না। এক্ষেত্রে নতুন করে বৈঠক হলে তার মনোভাব স্পষ্ট হতে পারে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা। ইতোমধ্যে ১২দলীয় জোটের নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিমও বলেছেন, জামায়াতকে যুগপতে নিতে বিএনপিকে পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তবে উচ্চপর্যায়ের একজন দায়িত্বশীল সুত্র জানান, গণতন্ত্র মঞ্চ, গণফোরাম ও এনডিএমের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা বিএনপিকে দেয়া হয়েছে। গণতন্ত্র মঞ্চের এক নেতা বলেন, আন্দোলনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া যেন আরও গণতান্ত্রিক হয়, সেটি বিএনপিকে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আবারও বিএনপির সঙ্গে বৈঠক হতে পারে বলেও জানান তিনি। জানতে চাইলে মঞ্চের অন্যতম নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমরা ৭ জানুয়ারির আগে ও পরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। ডামি নির্বাচন, পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছি। আমাদের ঐক্যের জায়গা বেশি। তবে ভবিষ্যৎ আন্দোলন গড়ে তুলবার ক্ষেত্রে আরও পর্যালোচনা প্রয়োজন, যেন দুর্বলতা কাটিয়ে ভবিষ্যৎ আন্দোলন গড়ে তোলা সহজ হয়। সাইফুল হক আরও বলেন, আন্দোলন পুনর্গঠন নিয়ে আমরা আরও বসবো। তারপর হয়তো আগামী দিনের জন্য আমরা কিছু হাজির করবো।
বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একাধিক দায়িত্বশীল জানান, বিদ্যমান যুগপতে যুক্ত দলগুলোর মধ্যে সমন্বয় রাখা, জামায়াতকে আন্দোলনে রাখা এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী এই দলটি থেকে ক্ষমতাসীনরা যেন কোনও রাজনৈতিক সুবিধা নিতে না পারে, সেদিক বিবেচনায় রেখে আগামী দিনের কৌশল ঠিক করা হবে। এক্ষেত্রে বিএনপির নেতৃত্ব নতুন পথের সন্ধান করছেন। ফলে আগামী দিনের কর্মসূচির ক্ষেত্রে দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটকেও ইস্যু হিসেবে সামনে রাখার সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানান এই দায়িত্বশীলরা। তবে সম্ভাব্য কর্মসূচির লক্ষ্য মধ্যবর্তী নির্বাচন কিনা, এ নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলেনি। তবে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির অন্যতম এক শীর্ষনেতা উল্লেখ করেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের বিষয়ে কোনও কথা হয়নি। যখনই রাজনৈতিক আলোচনা হবে তখনই সামনে আসবে। এটা আলাদা করে ব্যাখ্যা করার কিছু নেই।
এ বিষয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদককে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা আমাদের বৈঠকে জোট ও দেশের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেছি। এখনও কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়নি। রিভিউ করছি। মতবিনিময় করছি। উল্লেখ্য, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ১২ মে ১২ দলীয় জোট ও এলডিপির সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও মো. শাহজাহান। ১৩ মে (সোমবার) জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, লেবার পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। ১৪ মে বিকালে গণঅধিকার পরিষদ (নুরুল হক নুর) ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এবং ১৫ মে গণতন্ত্র মঞ্চ, গণফোরাম-পিপলস পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ১৬ মে এনডিপি, গণঅধিকার পরিষদ ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করেন নজরুল ইসলাম খান ও বরকতউল্লাহ বুলু।
সূত্র জানায়, লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকগুলোতে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দলের মধ্যে আলোচনা করে পরামর্শ ও পর্যালোচনা নিয়ে মতামত দেয়া হবে। যুগপতে যুক্ত দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে-পরের পরিস্থিতি নিয়ে যুগপতে যুক্ত দলগুলোর নেতারা আলোচনা করেছেন। এরমধ্যে জামায়াতঘেঁষা দলগুলো, যাদের মধ্যে কোনও কোনও দল বিলুপ্ত ২০ দলীয় জোটে ছিল, তারা আগামী দিনের আন্দোলনে জামায়াতকেও যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে। অন্যদিকে যুগপতে যুক্ত একটি শক্তিশালী পক্ষ মত দিয়েছে, অন্তরালে জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করলেও যুগপতে যেন দলটিকে যুক্ত করা না হয়। গত ১২, ১৩, ১৫ ও ১৬ মে অনুষ্ঠিত লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে জামায়াত প্রসঙ্গে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তবে গণতন্ত্র মঞ্চের এক নেতা বলেন, বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট, তারা জামায়াতকে সঙ্গে রাখবে। তবে কোন চরিত্রে রাখবে, সেটি স্পষ্ট করেনি। তবে ১৪ মে জামায়াতের উচ্চপর্যায়ের একজন দায়িত্বশীল বলেছিলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এখন বুঝতে পেরেছেন জামায়াতকে দূরে সরিয়ে রাখা কৌশলগত দিক থেকে সঠিক হয়নি। এখন যুগপৎ চলবে, এক মঞ্চে না এলেও রিলেশন বেটার হবে।
স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যের ভাষ্য, তারা মনে করছেন ইতোমধ্যে তারেক রহমান একটি নীতিগত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। তবে সেটি এখনই তিনি সামনে আনতে চাইছেন না। এক্ষেত্রে নতুন করে বৈঠক হলে তার মনোভাব স্পষ্ট হতে পারে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা। ইতোমধ্যে ১২দলীয় জোটের নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিমও বলেছেন, জামায়াতকে যুগপতে নিতে বিএনপিকে পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তবে উচ্চপর্যায়ের একজন দায়িত্বশীল সুত্র জানান, গণতন্ত্র মঞ্চ, গণফোরাম ও এনডিএমের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা বিএনপিকে দেয়া হয়েছে। গণতন্ত্র মঞ্চের এক নেতা বলেন, আন্দোলনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া যেন আরও গণতান্ত্রিক হয়, সেটি বিএনপিকে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আবারও বিএনপির সঙ্গে বৈঠক হতে পারে বলেও জানান তিনি। জানতে চাইলে মঞ্চের অন্যতম নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমরা ৭ জানুয়ারির আগে ও পরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। ডামি নির্বাচন, পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছি। আমাদের ঐক্যের জায়গা বেশি। তবে ভবিষ্যৎ আন্দোলন গড়ে তুলবার ক্ষেত্রে আরও পর্যালোচনা প্রয়োজন, যেন দুর্বলতা কাটিয়ে ভবিষ্যৎ আন্দোলন গড়ে তোলা সহজ হয়। সাইফুল হক আরও বলেন, আন্দোলন পুনর্গঠন নিয়ে আমরা আরও বসবো। তারপর হয়তো আগামী দিনের জন্য আমরা কিছু হাজির করবো।
বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একাধিক দায়িত্বশীল জানান, বিদ্যমান যুগপতে যুক্ত দলগুলোর মধ্যে সমন্বয় রাখা, জামায়াতকে আন্দোলনে রাখা এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী এই দলটি থেকে ক্ষমতাসীনরা যেন কোনও রাজনৈতিক সুবিধা নিতে না পারে, সেদিক বিবেচনায় রেখে আগামী দিনের কৌশল ঠিক করা হবে। এক্ষেত্রে বিএনপির নেতৃত্ব নতুন পথের সন্ধান করছেন। ফলে আগামী দিনের কর্মসূচির ক্ষেত্রে দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটকেও ইস্যু হিসেবে সামনে রাখার সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানান এই দায়িত্বশীলরা। তবে সম্ভাব্য কর্মসূচির লক্ষ্য মধ্যবর্তী নির্বাচন কিনা, এ নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলেনি। তবে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির অন্যতম এক শীর্ষনেতা উল্লেখ করেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের বিষয়ে কোনও কথা হয়নি। যখনই রাজনৈতিক আলোচনা হবে তখনই সামনে আসবে। এটা আলাদা করে ব্যাখ্যা করার কিছু নেই।
এ বিষয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদককে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা আমাদের বৈঠকে জোট ও দেশের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেছি। এখনও কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়নি। রিভিউ করছি। মতবিনিময় করছি। উল্লেখ্য, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ১২ মে ১২ দলীয় জোট ও এলডিপির সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও মো. শাহজাহান। ১৩ মে (সোমবার) জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, লেবার পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। ১৪ মে বিকালে গণঅধিকার পরিষদ (নুরুল হক নুর) ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এবং ১৫ মে গণতন্ত্র মঞ্চ, গণফোরাম-পিপলস পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ১৬ মে এনডিপি, গণঅধিকার পরিষদ ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করেন নজরুল ইসলাম খান ও বরকতউল্লাহ বুলু।