
জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সাথে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তবে এই পরিকল্পনা শুধু কারিগরি বা প্রশাসনিক না হয়ে, তাতে স্থানীয় জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। গতকাল রোববার রাজধানীর পান্থপথে পানি ভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় লোকালি কেড অ্যাডাপটেশন ফ্রেমওয়ার্ক, প্রোগ্রামেটিক অ্যাপ্রোচ ফর ন্যাপ ইমপ্লিমেন্টেশন বিষয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়, সিইজিআইএস (ঈঊএওঝ) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (অউই)-এর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বাধীন অভিযোজন (খড়পধষষু খবফ অফধঢ়ঃধঃরড়হ) পন্থা অত্যন্ত কার্যকর। এতে স্থানীয় বাস্তবতা, চাহিদা ও সক্ষমতাকে গুরুত্ব দিয়ে টেকসই অভিযোজন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা এলএলএএফ কাঠামো ও ন্যাপ বাস্তবায়নে সমন্বিত ও অংশগ্রহণমূলক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ভবিষ্যতে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, সিইজিআইএস-এর নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব রোসলিনা পারভীন এবং এডিবির সিনিয়র ক্লাইমেট চেইঞ্জ অফিসার মৌসুমি পারভিন প্রমুখ।