নওগাঁয় গৃহকর্মী থেকে সফল হাঁসচাষি খাতিজা

আপলোড সময় : ০৪-০৫-২০২৫ ০৯:৫৮:৪২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৪-০৫-২০২৫ ০৯:৫৮:৪২ অপরাহ্ন
পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
গ্রামের মেঠা সরুপথ। পথের দুধারে উঁচু বৃক্ষরাজির সমারোহ। সড়কের দুপাশের গাছের ছায়া আটকে দিয়েছে বৈশাখের তীব্র রোদের দাপট। সড়কের দুপাশ ধরে মনজুড়ানো সোনালী ধানের ক্ষেত। নির্জন সড়কের বৃক্ষরাজির ছায়াতলে ক্লান্ত শ্রমিকরা জুড়িয়ে নিচ্ছেন নিজেদের। এই অপরুপ সড়ক ধরে সামনে এগোতেই চোখে পড়ল এক ঝাঁক হাঁস নিয়ে বসে আছেন খাতিজা ও রাশেদুল নামে এক দম্পতি। আর নির্জন সড়কের পাশের খাদের জলে হাঁস ডাকার শব্দ ও তাদের কলকলানিতে যেন মুখরিত হয়ে পড়েছে এলাকার পরিবেশ। আলাপচারিতায় খাতিজা জানান, স্বামী রাশেদুল ইসলাম ও দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার বাদপুঁইয়া মৌজায় বসবাস করেন। দুই বছর আগেও তিনি মানুষের বাড়িতে গৃহপরিচালিকার কাজ করতেন। স্বামী রাশেদুল অন্যের জমিতে কৃষিমজুর হিসাবে শ্রম দিতেন। এর পাশাপাশি বাড়িতে ২/৪টি হাঁস-মুরগী পালন করা হতো।
অন্যের বাড়িতে সারাদিন হাঁড়ভাঙ্গা কাজ করেও মালিকের মন যোগানো যেতনা। সামান্য কিছু হলেই নানারকম কটু কথা শুনতে হতো। তাই কাজ করতে করতেই অল্প অল্প করে কিছু টাকা জমাতে থাকি এবং কিছু একটা করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। কিছু একটা করার তাগিদ থেকেই গতবছর ৫শত ক্যামবেল জাতের হাঁসের বাচ্চা ক্রয় করে লালন পালন শুরু করি। ৫শ’ হাঁস এক বছর ধরে পালন করতে  দুই লাখ টাকা খরচ হয় এবং আড়াই লাখ টাকার হাঁস ও ডিম বিক্রয় করি। প্রথম বারের মতো উদ্যোগ গ্রহণ করায় অনেক কিছু বুঝতে না পারার কারণে হাঁসের উৎপাদন খরচ বেশী পড়ে। এ বছর আবার ৫শত হাঁসের বাচ্চা ক্রয় করে লালন-পালন শুরু করেছি। প্রথম বছর হাঁস পালন করতে গিয়ে যেসকল ভুল-ভ্রান্তি ছিলো সেখান থেকে শিক্ষা নেয়ায় এবার হাঁসের উৎপাদন খরচ কম পড়বে বলে মনে করছি। আলাপচারিতায় খাতিজা আরো জানান, হাঁস পালন কাজে স্বামী তাকে সহায়তা করে। দিনের একটা বড় সময় মাঠে বা পুকুরে হাঁস ছেঁড়ে দেয়া হয়। এতে হাঁসের খাবারের খরচ কমে যায় এবং উৎপাদন খরচ কমে।
বর্তমানে স্বামী রাশেদুল ৩বিঘা জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করছে আর পাশাপাশি আমাকে হাঁস পালনে সহায়তা করছে। তিনি জানান, হাঁস চাষের ঝুঁকি হলো অনেক সময় হাঁসের কলেরা ও প্লেগ রোগ হয় এবং হাঁস মারা যায়, উৎপাদিত হাঁস ও ডিমের দাম সঠিকভাবে পাওয়া যায়না, কখনও কখনও হাঁসের টিকার সংকট দেখা দেয়। হাঁস চাষের খরচ যোগাতে অনেক সময় ঋণদেনাও করতে হয়। খাজিতা জানান, প্রথম বছর হাঁস পালন থেকে যে শিক্ষা অর্জন করেছি এ বছর তা কাজে লাগিয়ে উৎপাদন খরচ কমাতে পারবো। এছাড়াও আগের বছর উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস থেকে কোন সহায়তা না পেলেও এ বছর পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এ বছর হাঁস পালন করে সফলতা আসলে আগামী বছর ১হাজার থেকে এক হাজার দুইশত হাঁস পালনের পরিকল্পনা রয়েছে।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : djanata123@gmail.com, ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net