৫ মে থেকে আন্দোলনে নামবেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা

আপলোড সময় : ০৪-০৫-২০২৫ ০৭:৫২:২৬ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৪-০৫-২০২৫ ০৭:৫২:২৬ অপরাহ্ন
১১তম গ্রেডে উন্নীত করার দাবি নিয়ে কর্মবিরতিসহ লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। আগামী ৫ মে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালনের মধ্য দিয়ে এই লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবেন তারা। সহকারী শিক্ষকরা বলছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সহকারী শিক্ষকদের যে ১২তম গ্রেড দিয়েছে তা আমরা মেনে নিতে পারছি না। সেজন্য তারা ১১তম গ্রেড এবং শতভাগ পদোন্নতি চান।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা আগামী সোমবার (৫ মে) থেকে কর্মবিরতিসহ আন্দোলন কর্মসূচি পালন শুরু করবেন। প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক ঐক্য পরিষদ ঘোষিত কর্মসূচিতে আগামী ৫ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হবে। ১৬ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত আরও এক ঘণ্টা বাড়িয়ে দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করবেন তারা। ২১ মে থেকে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। যা চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে দাবি না মেনে নিলে ২৫ থেকে লাগাতার পূর্নদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। তবে এই আন্দোলন কর্মসূচি পরীক্ষা কার্যক্রমের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত পরামর্শক কমিটি’ গঠন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই কমিটির প্রধান করা হয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদকে। ওই কমিটি গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শতাধিক সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দেয়। কমিটির সুপারিশে সহকারী শিক্ষক পদ বিলুপ্ত করে শুরুর পদ শিক্ষক করার সুপারিশ করে। সেখানে শিক্ষক হিসেবে শুরুতে বেতন গ্রেড হবে ১২তম আর মূল বেতন হবে ১১ হাজার ৩০০ টাকা এর সঙ্গে অন্যান্য সুবিধা যোগ হবে। এরপর দুই বছর পর চাকরি স্থায়ীকরণ ও আরও দুই বছর পর পদোন্নতি পেয়ে তারা সিনিয়র শিক্ষক হবেন। তখন তাদের বেতন গ্রেড হবে ১১তম। পাশাপাশি কমিটি প্রধান শিক্ষকদের ১১ গ্রেড থেকে বাড়িয়ে ১০ গ্রেড করার সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা বলছেন, ওই সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি, তাদের দাবির গুরুত্ব দেয়া হয়নি। তারা আরও বলছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত তাদেরকে হতাশ করেছে।
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বক্তব্য, তাদের যে ১২তম গ্রেড দেয়া হয়েছে তা তারা মেনে নিতে পারছেন না। তারা ন্যূনতম ১১তম গ্রেড চান। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি চান। এই দাবি নিয়েই মাঠে নামছেন তারা।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net