গাজার উত্তরাঞ্চলেও ইসরাইলের তাণ্ডব

আপলোড সময় : ১৮-০৫-২০২৪ ০২:০১:১২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৮-০৫-২০২৪ ০২:০১:১২ অপরাহ্ন
জনতা ডেস্ক
গাজা উপত্যকার উত্তর অংশেও হামলা জোরদার করে তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। গত  বৃহস্পতিবার থেকে এ হামলা শুরু হয়েছে বলে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলের নামে নেতানিয়াহু বাহিনী রাফার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের উত্তর গাজায় ভয়াবহ যুদ্ধে নেমেছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বেসামরিকদের জীবন। ইসরাইলি হামলা থেকে জীবন বাঁচাতে গাজার বহু বাসিন্দা আশ্রয় নেয় রাফায়। শহরটি হয়ে ওঠে গাজার বাসিন্দাদের লাইফলাইন।
কিন্তু সেখানেও ইসরাইলি সেনারা ব্যাপক হামলা শুরু করলে অশান্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এমনকি, এ নিয়ে মার্কিন সরকারেরও তোপের মুখে পড়ে ইসরাইল। এবার নেতানিয়াহু সরকার রাফার আগ্রাসন মন্থর রেখে ফের উত্তর গাজায় হামলা শুরু করেছে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা হামাস নির্মূলের জন্য প্রস্তুত। হামাসের সুড়ঙ্গ এবং হামাস যোদ্ধাদের ধ্বংস করতে রাফায় হামলা চালানো হচ্ছে। এরই মধ্যে হামাসের কয়েকটি সুড়ঙ্গ ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছি।’ তবে এর জবাবে হামাসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে হামাস ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের রক্ষা করবে।’ এদিকে, ইসরাইলি হামলায় গাজা উপত্যকায় গেল ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
এদিকে মধ্যে উত্তর গাজায় ইসরাইলের হামলায় একটি সম্ভান্ত পরিবারের ২৬ সদস্য নিহত হয়েছেন। গাজার উত্তরে জাবালিয়া শহরের মাঝ দিয়ে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের দিকে দুটি রাস্তা চলে গেছে। যার একটি আস-সিক্কা স্ট্রিট যা একটি রেলপথের পাশ ঘেঁষে গেছে। রেলপথটি ইসরাইল সৃষ্টিরও আগে গাজা অতিক্রম করত ব্যবহার হতো। রাস্তাটি গাজাকে ইরাক, তুরস্ক, মিশর ও সৌদি আরবের পবিত্র শহর মক্কার সাথে সংযুক্ত ছিল। আস-সিক্কা স্ট্রিটের সমান্তরালে আরেকটি ছোট রাস্তা রয়েছে যা আসালিয়া নামে পরিচিত। যা পাশেই বসবাসকারী সম্ভ্রান্ত আসালিয়া পরিবারের নামে নামকরণ করা হয়েছে। গত সপ্তাহের শেষের দিকে আস-সিক্কা স্ট্রিটে ব্যাপক হামলা চালায় ইসরাইল। তাতে আসালিয়া পরিবারের ২৬ জন সদস্য নিহত হন এবং রাস্তার পাশে তাদের ছয়টি বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। হামলার সময় আসালিয়া পরিবারের যারা বাড়িতে ছিলেন তাদের বেশিরভাগই নিহত হয়েছেন। পরিবারের অন্যতম সদস্য ইব্রাহিম আসালিয়া ২০০৬ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গণমাধ্যম বিষয়ের প্রভাষক তিনি। ইব্রাহিম আসালিয়া আল জাজিরাকে বলেছেন, ইসরাইল জাবালিয়ার আস-সিকা স্ট্রিট এলাকায় ব্যাপক বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে। আমাদের পরিবারের জন্য দোয়া করুন। ইব্রাহিম আসালিয়া জানান, কয়েক মাসের সামরিক অভিযানের পর গাজার উত্তর থেকে ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়। এর ফলে এই অঞ্চলে মানুষের জীবনধারা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছিল। এর মধ্যেই হঠাতই বোমা হামলা চালানো হয়। ইব্রাহিম বলেন, সম্প্রতি তার পরিবার তাকে জানায় যে, জাবালিয়ায় দোকানগুলো আবারও খুলতে শুরু করে এবং আটা থেকে ছাগলের মাংসের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমতে শুরু করে। কিন্তু সম্প্রতি উত্তর গাজায় আবারও হামলা শুরু করে ইসরাইল। ফলে আসালিয়া পরিবারের যেসব সদস্য এখনও বেঁচে আছে তারা জাবালিয়া থেকে পালানোর চেষ্টা করছে।

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net