
শহরের একদিকে কাঠ ফাঁটা রোদ, একই সময়ে আরেক প্রান্তে ঝুম বৃষ্টি। শুধু শহর নয়, একই দিন কিংবা একই সময়ে দেশের একদিকে বয়ে যায় তাপপ্রবাহ আর অন্যদিকে বজ্রবৃষ্টি। আবহাওয়ার এই দ্বিমুখী আচরণ গত কয়েকবছর ধরেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৈশ্বিক বায়ু প্রবাহ তো বটেই সেইসঙ্গে মনুষ্যসৃষ্টি পরিবেশ দূষণ এর জন্য অতিমাত্রায় দায়ী।
আবহাওয়াবিদদের মতে, এবার গ্রীষ্ম মৌসুম কাটবে এই মেঘ, এই রোদ্দুর খেলার মধ্য দিয়ে। আরেকটু পরিষ্কার করে বললে, এবার গ্রীষ্ম মৌসুম কাটতে পারে স্বস্তিতে। গেল বছর তাপমাত্রা বেড়ে যে রেকর্ড ভেঙেছিল সেটার লক্ষণ নেই এবার।
এবার একটু আগে-ভাগেই বিদায় নিয়েছে শীত। এক সময় মাঘ জুড়ে যে হাঁড় কাঁপানো শীত থাকতো এবার তা ছিল না। শীত বিদায় না নিতেই শুরু হয়ে গেছে গরম, বেড়েছে তাপমাত্রা। পুরো বসন্ত জুড়েই উচ্চ তাপমাত্রা ছিল দেশের সর্বত্র। ধারণা করা হচ্ছিল, গ্রীষ্ম মৌসুমে এবার গেল বছরের পরিস্থিতি ছাড়িয়ে যাবে। গেল বছর দেশে তাপমাত্রা যা ছিল তা ৭৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত টানা ৩৫ দিন ছিল তাপপ্রবাহ। শুধু বাংলাদেশ নয় গত বছর ছিলো ইতিহাসের সর্বোচ্চ উষ্ণ বছর। চলতি বছরের শুরুই হলো উষ্ণতা দিয়ে। জানুয়ারি মাস যতটা উষ্ণ ছিল, তাও গেল বছরের চেয়ে কম নয়।
বিগত বছরগুলোতে গরমের রেকর্ড ভাঙার পর এবারের গ্রীষ্মকাল কেমন যাবে-এ নিয়ে সকলের প্রশ্ন ছিল। যদিও এরই মধ্যে গ্রীষ্মকাল শুরু হয়ে গেছে। তবে এখনো গেল বছরের মতো গরমের তীব্রতা অনুভব করা যায়নি। আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, গরমের সঙ্গে প্রকৃতির অনেক বিষয় জড়িত। যেমন বৃষ্টিপাত বেশি হলে তাপমাত্রা কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত কমে যায়। তখন স্বাভাবিকভাবেই গরম কম অনুভূত হয়।
আবহাওয়া অধিদফতরের হিসাবে উষ্ণতম মাস এপ্রিল। এ মাসে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর মে মাস হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় উষ্ণ মাস। গতবছর তাপমাত্রা ছিল ৭৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ১৯৪৮ সাল থেকে এত দীর্ঘ সময় ধরে তাপ প্রবাহ বয়ে যেতে দেখা যায়নি, যা ২০২৪ সালে ছিল। ওই বছর ১ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত টানা ৩৫ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।
গ্রীষ্মের এই উষ্ণতা কালবৈশাখী ঝড়ে প্রশমিত করে। কিন্তু গেল বছর এই ঝড়ের সংখ্যাও ছিল কম। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য মতে, এপ্রিল মাসে নয়দিন এবং মে মাসে ১৩ দিন কালবৈশাখী ঝড় হয়। গত বছর এপ্রিল-মে দুই মাস মিলিয়ে ঝড়ের সংখ্যা ছিল ছয়টি। আবহাওয়াবিদরাও বলছেন, গত কয়েক বছর ধরেই কালবৈশাখীর সংখ্যা কম। এ কারণে তাপপ্রবাহ বাড়ছে।
তাপমাত্রা ও ঝড় নিয়ে গবেষণা করা আবহাওয়াবিদ ড. মুহম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এবার গরম অনেক কম। গত বছর টানা ৩৫ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। এবার এপ্রিল মাস স্বস্তিতে কাটছে। তাপপ্রবাহ থাকলেও এর তীব্রতা কম ছিল। মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ হয়নি। একদিন শুধু যশোরে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল। তিনি বলেন, মে মাসেও গরম থাকবে সহনীয় মাত্রায়। বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভরশীল গরমের অনুভূতি। বছরের মে মাসে গড়ে ১৩ দিন ঝড় হয়। এবার ধারণা করা হচ্ছে, মে মাসে ১৩ থেকে ১৪ দিন বজ্রঝড় হতে পারে। এমন হলে মে মাসে তীব্র গরম অনুভূত হবে না। মার্চ, এপ্রিল ও মে মাস প্রি মনসুন উল্লেখ করে এই আবহাওয়াবিদ আরও বলেন, যখন বৃষ্টি হয় না তখন সূর্যের তাপ বেড়ে যায়। আর এতে গরম অনুভূত হয় বেশি, বিশেষ করে যেসব এলাকায় বৃষ্টিপাত কম হয়।
আবহাওয়া অধিদফতরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস বলছে, আসছে মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে। তিন থেকে চারটি কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। সব মিলিয়ে মে মাসে ১৩টি ঝড় হওয়ার কথা, তার চেয়ে দুয়েকটি বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে পূর্বাভাস। এর বিপরীতে পাঁচ থেকে ছয়টি তাপপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে। তবে একইসঙ্গে একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে তাপপ্রবাহ আসছে মে মাস জুড়েই থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এর জন্য দায়ী গ্লোবাল ওয়ার্মিং ও পরিবেশ দূষণ। দূষণের কারণে আমাদের দেশে বজ্র মেঘ তৈরির প্রবণতা বেড়ে গেছে। বজ্রমেঘ বাড়লে এদের বিভাজন অর্থাৎ কোথায়, কখন বজ্র বৃষ্টি হতে পারে, তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশে ব্যতয় ঘটেছে। এর স্বাভাবিক পূর্বাভাসও সবসময় দেয়া সম্ভব হয় না।
আবহাওয়াবিদদের মতে, এবার গ্রীষ্ম মৌসুম কাটবে এই মেঘ, এই রোদ্দুর খেলার মধ্য দিয়ে। আরেকটু পরিষ্কার করে বললে, এবার গ্রীষ্ম মৌসুম কাটতে পারে স্বস্তিতে। গেল বছর তাপমাত্রা বেড়ে যে রেকর্ড ভেঙেছিল সেটার লক্ষণ নেই এবার।
এবার একটু আগে-ভাগেই বিদায় নিয়েছে শীত। এক সময় মাঘ জুড়ে যে হাঁড় কাঁপানো শীত থাকতো এবার তা ছিল না। শীত বিদায় না নিতেই শুরু হয়ে গেছে গরম, বেড়েছে তাপমাত্রা। পুরো বসন্ত জুড়েই উচ্চ তাপমাত্রা ছিল দেশের সর্বত্র। ধারণা করা হচ্ছিল, গ্রীষ্ম মৌসুমে এবার গেল বছরের পরিস্থিতি ছাড়িয়ে যাবে। গেল বছর দেশে তাপমাত্রা যা ছিল তা ৭৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত টানা ৩৫ দিন ছিল তাপপ্রবাহ। শুধু বাংলাদেশ নয় গত বছর ছিলো ইতিহাসের সর্বোচ্চ উষ্ণ বছর। চলতি বছরের শুরুই হলো উষ্ণতা দিয়ে। জানুয়ারি মাস যতটা উষ্ণ ছিল, তাও গেল বছরের চেয়ে কম নয়।
বিগত বছরগুলোতে গরমের রেকর্ড ভাঙার পর এবারের গ্রীষ্মকাল কেমন যাবে-এ নিয়ে সকলের প্রশ্ন ছিল। যদিও এরই মধ্যে গ্রীষ্মকাল শুরু হয়ে গেছে। তবে এখনো গেল বছরের মতো গরমের তীব্রতা অনুভব করা যায়নি। আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, গরমের সঙ্গে প্রকৃতির অনেক বিষয় জড়িত। যেমন বৃষ্টিপাত বেশি হলে তাপমাত্রা কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত কমে যায়। তখন স্বাভাবিকভাবেই গরম কম অনুভূত হয়।
আবহাওয়া অধিদফতরের হিসাবে উষ্ণতম মাস এপ্রিল। এ মাসে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর মে মাস হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় উষ্ণ মাস। গতবছর তাপমাত্রা ছিল ৭৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ১৯৪৮ সাল থেকে এত দীর্ঘ সময় ধরে তাপ প্রবাহ বয়ে যেতে দেখা যায়নি, যা ২০২৪ সালে ছিল। ওই বছর ১ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত টানা ৩৫ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।
গ্রীষ্মের এই উষ্ণতা কালবৈশাখী ঝড়ে প্রশমিত করে। কিন্তু গেল বছর এই ঝড়ের সংখ্যাও ছিল কম। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য মতে, এপ্রিল মাসে নয়দিন এবং মে মাসে ১৩ দিন কালবৈশাখী ঝড় হয়। গত বছর এপ্রিল-মে দুই মাস মিলিয়ে ঝড়ের সংখ্যা ছিল ছয়টি। আবহাওয়াবিদরাও বলছেন, গত কয়েক বছর ধরেই কালবৈশাখীর সংখ্যা কম। এ কারণে তাপপ্রবাহ বাড়ছে।
তাপমাত্রা ও ঝড় নিয়ে গবেষণা করা আবহাওয়াবিদ ড. মুহম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এবার গরম অনেক কম। গত বছর টানা ৩৫ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। এবার এপ্রিল মাস স্বস্তিতে কাটছে। তাপপ্রবাহ থাকলেও এর তীব্রতা কম ছিল। মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ হয়নি। একদিন শুধু যশোরে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল। তিনি বলেন, মে মাসেও গরম থাকবে সহনীয় মাত্রায়। বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভরশীল গরমের অনুভূতি। বছরের মে মাসে গড়ে ১৩ দিন ঝড় হয়। এবার ধারণা করা হচ্ছে, মে মাসে ১৩ থেকে ১৪ দিন বজ্রঝড় হতে পারে। এমন হলে মে মাসে তীব্র গরম অনুভূত হবে না। মার্চ, এপ্রিল ও মে মাস প্রি মনসুন উল্লেখ করে এই আবহাওয়াবিদ আরও বলেন, যখন বৃষ্টি হয় না তখন সূর্যের তাপ বেড়ে যায়। আর এতে গরম অনুভূত হয় বেশি, বিশেষ করে যেসব এলাকায় বৃষ্টিপাত কম হয়।
আবহাওয়া অধিদফতরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস বলছে, আসছে মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে। তিন থেকে চারটি কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। সব মিলিয়ে মে মাসে ১৩টি ঝড় হওয়ার কথা, তার চেয়ে দুয়েকটি বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে পূর্বাভাস। এর বিপরীতে পাঁচ থেকে ছয়টি তাপপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে। তবে একইসঙ্গে একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে তাপপ্রবাহ আসছে মে মাস জুড়েই থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এর জন্য দায়ী গ্লোবাল ওয়ার্মিং ও পরিবেশ দূষণ। দূষণের কারণে আমাদের দেশে বজ্র মেঘ তৈরির প্রবণতা বেড়ে গেছে। বজ্রমেঘ বাড়লে এদের বিভাজন অর্থাৎ কোথায়, কখন বজ্র বৃষ্টি হতে পারে, তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশে ব্যতয় ঘটেছে। এর স্বাভাবিক পূর্বাভাসও সবসময় দেয়া সম্ভব হয় না।