
ঝটিকা মিছিলবিরোধী অভিযানে সাভারের আশুলিয়া ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপিসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকা মহাগর পুলিশের (ডিএমপির) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, রাজধানীতে মিছিলবিরোধী অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপিসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলম (৬৯), তুরাগ থানা ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম বাবু (৪৯), বংশাল থানা ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ওয়ারেজ সিকদার (৪৮), তুরাগ থানা যুবলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহেদ আলম (৪০), যুবলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সাবেক সদস্য শহীদুল হক চৌধুরী রানা (৫৪), স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সম্প্রতি যাত্রাবাড়ী এলাকায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল সমন্বয়কারী জাহিদুল ইসলাম তুষার (৩০) এবং তুরাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি মো. রেজাউল করিম (৪৭)। গ্রেপ্তার সাত জনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত বলেও জানান ডিসি। এদিকে আশুলিয়ায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের অংশ নেওয়ার অভিযোগে গত মঙ্গলবার ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবীর এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- ভাদাইল এলাকার ইব্রাহিম (১৮), নাজমুল খান (১৮),ইসমাইল হোসেন রনি (১৮), তুষার মিয়া (১৮) ও ইব্রাহিম (১৮)। এছাড়া পাবনারটেক এলাকার আবদুল্লাহ নয়ন। গত ২৬ এপ্রিল নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের শ্রীপুর এলাকায় ১০ জন ব্যক্তি আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল বের করেন। এর পরের দিন ২৭ এপ্রিল মিছিলের ৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, দুই ব্যক্তি ঝটিকা মিছিলের সামনে মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও করছেন। আওয়ামী লীগের ব্যানার চার জন স্লোগান দিচ্ছিলেন, তাদের পিছনে আরও চার জনকে দেখতে পাওয়া যায়।