
দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে ৫ থেকে ১৫ বছরের জন্য যুদ্ধবিরতির চুক্তি করার প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। এ সময় তারা তাদের অস্ত্র এক জায়গায় জমা রাখবে, নতুন অস্ত্র তৈরি করবে না। এমনকি সুড়ঙ্গ তৈরি থেকেও বিরত থাকবে। গত রোববার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল দাবি করেছে, গত সপ্তাহে হামাস মধ্যস্থতাকারী আরব দেশগুলোর কাছে এমন প্রস্তাব দেয়।
দুটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য হামাস যে যুদ্ধবিরতি চাইছে। এটি তারই অংশ হবে। এসবের বাইরেও হামাস গাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের একটি দলের কাছে হস্তান্তর করতেও রাজি আছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। মিসর গত মাসে যে প্রস্তাব দিয়েছিল, সেখানেও এ বিষয়টির উল্লেখ ছিল। এক আরব কূটনীতিক জানিয়েছেন, ইসরায়েলের ওপর সব ধরনের হামলা বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হামাসের কিছু কর্মকর্তা তাদের সব অস্ত্র একটি গুদামে রাখার প্রস্তাব দিয়েছে। যা সশস্ত্র রক্ষীরা পাহাড়া দেবে। তবে তারা গাজাকে নিরস্ত্রীকরণ করবে না। অর্থাৎ গাজা থেকে অস্ত্র অন্য কোনো দেশের হাতে তুলে দেবে না। যেমনটা ইসরায়েল দাবি করছে। অপরদিকে ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস পাঁচ বছর, বা ১০ বছর, আর সম্ভব হলে ১৫ বছরের জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি করতে চাইছে। এছাড়া হামাস কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে একসঙ্গে ইসরায়েলের সব জিম্মিকে (৫৯ জন) ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এরআগে তাদের সঙ্গে ইসরায়েলকে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি করতে হবে। সব সেনাকে গাজা থেকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। সঙ্গে গাজার সব সীমান্ত ক্রসিং খুলে দিতে হবে যেন মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে পারে। সবশেষে গাজা পুনর্গঠনের কাজ শুরু করতে হবে। হামাস এমন প্রস্তাব দিলেও দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গত শনিবার এটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, যদি হামাস সব জিম্মিকে মুক্তি দেয় তবুও তিনি যুদ্ধ বন্ধ করবেন না। কারণ এতে হামাস সেখানকার সরকারের নিয়ন্ত্রণে থেকে যাবে। যা তিনি মানবেন না। নেতানিয়াহু আরও জানান, কেউ কেউ তাকে বলছে হামাসের সঙ্গে চুক্তি করে আগে জিম্মিদের ছাড়িয়ে আনতে। এরপর তাদের ওপর আবার হামলা শুরু করতে। তবে হামাস যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক গ্যারান্টি চাইছে বলে জানান যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু। এ কারণে একবার যুদ্ধ বন্ধ করলে আর যুদ্ধ করা ফের সম্ভব হবে না।
দুটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য হামাস যে যুদ্ধবিরতি চাইছে। এটি তারই অংশ হবে। এসবের বাইরেও হামাস গাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের একটি দলের কাছে হস্তান্তর করতেও রাজি আছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। মিসর গত মাসে যে প্রস্তাব দিয়েছিল, সেখানেও এ বিষয়টির উল্লেখ ছিল। এক আরব কূটনীতিক জানিয়েছেন, ইসরায়েলের ওপর সব ধরনের হামলা বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হামাসের কিছু কর্মকর্তা তাদের সব অস্ত্র একটি গুদামে রাখার প্রস্তাব দিয়েছে। যা সশস্ত্র রক্ষীরা পাহাড়া দেবে। তবে তারা গাজাকে নিরস্ত্রীকরণ করবে না। অর্থাৎ গাজা থেকে অস্ত্র অন্য কোনো দেশের হাতে তুলে দেবে না। যেমনটা ইসরায়েল দাবি করছে। অপরদিকে ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস পাঁচ বছর, বা ১০ বছর, আর সম্ভব হলে ১৫ বছরের জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি করতে চাইছে। এছাড়া হামাস কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে একসঙ্গে ইসরায়েলের সব জিম্মিকে (৫৯ জন) ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এরআগে তাদের সঙ্গে ইসরায়েলকে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি করতে হবে। সব সেনাকে গাজা থেকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। সঙ্গে গাজার সব সীমান্ত ক্রসিং খুলে দিতে হবে যেন মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে পারে। সবশেষে গাজা পুনর্গঠনের কাজ শুরু করতে হবে। হামাস এমন প্রস্তাব দিলেও দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গত শনিবার এটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, যদি হামাস সব জিম্মিকে মুক্তি দেয় তবুও তিনি যুদ্ধ বন্ধ করবেন না। কারণ এতে হামাস সেখানকার সরকারের নিয়ন্ত্রণে থেকে যাবে। যা তিনি মানবেন না। নেতানিয়াহু আরও জানান, কেউ কেউ তাকে বলছে হামাসের সঙ্গে চুক্তি করে আগে জিম্মিদের ছাড়িয়ে আনতে। এরপর তাদের ওপর আবার হামলা শুরু করতে। তবে হামাস যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক গ্যারান্টি চাইছে বলে জানান যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু। এ কারণে একবার যুদ্ধ বন্ধ করলে আর যুদ্ধ করা ফের সম্ভব হবে না।