
মধ্য নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় এক রাতে কমপক্ষে ৫৬ জন নিহত হয়েছে। গত শনিবার ‘বেনু’ রাজ্যের গভর্নরের কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে। মূলত জমি ব্যবহারের প্রতিযোগিতা দীর্ঘদিন ধরে কিছু অঞ্চলে মুসলিম পশুপালক এবং খ্রিস্টান কৃষকদের মধ্যে উত্তেজনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর জানিয়েছে, দেশটিতে অনেক পশুপালক মুসলিম ফুলানি জাতিগোষ্ঠীর এবং অনেক কৃষক খ্রিস্টান। ফলে মধ্যাঞ্চলের আক্রমণগুলো প্রায়শই ধর্মীয় বা জাতিগত মাত্রায় পৌঁছে যায়। এই মাসের শুরুতেও পার্শ্ববর্তী ‘মালভূমি’ রাজ্যে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের দুটি হামলায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। বেনু’র গভর্নরের মিডিয়া উপদেষ্টা সলোমন ইওরপেভ আলিয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর এএফপিকে বলেন, শনিবারের হামলায় শেষ গণনা অনুসারে, মৃতের সংখ্যা ৫৬ জনে পৌঁছেছে। অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত এই হামলাগুলো ঘটে। এর ফলে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। নাইজেরিয়ার সরকারি মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা সপ্তাহান্তে জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীও মালভূমি রাজ্য পরিদর্শন করছেন।গবেষণা সংস্থা এসবিএম ইন্টেলিজেন্সের মতে, ২০১৯ সাল থেকে সংঘর্ষের ফলে দেশটির মন্ধ্যাঞ্চলে অঞ্চলে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং ২২ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। সাম্প্রতিক দশকগুলোতে ভূমি দখল, স্থানীয় ‘আদিবাসী’ এবং বহিরাগত বলে বিবেচিত ব্যক্তিদের মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশিং দুর্বল থাকায় নির্বিচারে প্রতিশোধমূলক আক্রমণ ঠেকানো অসম্ভব হয়ে যায়। বেনু রাজ্যসহ বিস্তৃত মধ্যাঞ্চলজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন এবং বসতির সম্প্রসারণের কারণে কৃষক ও পশুপালকদের ব্যবহৃত জমি চাপের মুখে পড়ছে। এটি ক্রমবর্ধমান সীমিত স্থানে মারাত্মক প্রতিযোগিতার জন্ম দিচ্ছে।