
* দেশে বর্তমানে ভোটার রয়েছে ১২ কোটি ৪৪ লাখ, এর মধ্যে ১৮ থেকে ২৯ তরুণ ভোটার
* ডিসেম্বরকে সামনে রেখে নির্বাচনের প্রস্তুতি, রাজনৈতিক মহলে চলছে ভোটের হিসাব-নিকাশ
দেশের রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ইতোমধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের মোট ভোটারের প্রায় ৩০ শতাংশই হচ্ছে তরুণ। বিষয়টি বুঝতে পারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিশাল জনগোষ্ঠীর ভোটাধিকার নিশ্চিত না করা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক উভয়দিক থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হালনাগাদকৃত নতুন ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে ভোটার তালিকা আইন এবং ভোটার তালিকা বিধিমালায় সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে ইসি।
দেশের রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ এবং প্রভাব দিন দিন বাড়ছে। নির্বাচন কমিশনও (ইসি) বুঝতে পারছে, এ বিশাল জনগোষ্ঠীর ভোটাধিকার নিশ্চিত না করা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক উভয়দিক থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হালনাগাদকৃত নতুন ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে ভোটার তালিকা আইন এবং ভোটার তালিকা বিধিমালায় সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে ইসি। তবে ইসি কর্মকর্তারা জানান, তরুণদের ভোট গণনার বাইরে রেখে নির্বাচন আয়োজন রাজনৈতিকভাবেও চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। কারণ এই শ্রেণির ভোটারদের একটি বড় অংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় এবং তারা রাজনৈতিক প্রচারণায় বড় ভূমিকা রাখে। এ প্রেক্ষাপটে ইসি ভোটার তালিকা আইন ও বিধিমালায় সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে বছরের যেকোনো সময় খসড়া ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের ক্ষমতা কমিশন হাতে পায়। সংশোধনী অনুমোদিত হলে নতুন ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের পথ সুগম হবে। আইন সংশোধন হলে প্রতিবছর ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পাশাপাশি বছরের যে কোনো সময়ে হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা পাবে সংস্থাটি।
জানা গেছে, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন (ইসি) বয়স ভিত্তিক একটি ভোটার তালিকা করেছে। এক্ষেত্রে ত্রয়োদশ নির্বাচনে তরুণদের ভোট সরকার গঠনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এবার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছে প্রায় পৌনে চার কোটি তরুণ ভোটার। যা মোট ভোটারের প্রায় ৩০ শতাংশ হবে। কেউ কেউ বলছেন, এ তরুণ ভোটাররা আগামী সংসদ নির্বাচন কোন দল সরকার গঠন করবে, তা ঠিক করে দিবে।
ইসি সূত্র জানায়, দেশে বর্তমানে ভোটার রয়েছে ১২ কোটি ৪৪ লাখ। এর মধ্যে এর মধ্যে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সের ভোটারদের তরুণ ধরা হয়েছে। যাদের সংখ্যা তিন কোটি পাঁচ লাখের সঙ্গে আরও চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে যুক্ত হবে আরও প্রায় ৫৭ লাখের বেশি। এতে মোট তরুণ ভোটার সংখ্যা দাঁড়াবে পৌনে চার কোটির কাছাকাছি। যা মোট ভোটারের ৩০ শতাংশ।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান ভোটার তালিকায় ৩০ থেকে ৩৩ বছরের মধ্যে ভোটার রয়েছে এক কোটি ৫১ হাজার। এর পরের অবস্থানে ৩৪ থেকে ৪১ বছরের মধ্যে ভোটার দুই কোটি ৫৩ লাখ ভোটার। এ ছাড়া ৪২ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত ভোটার রয়েছে চার কোটি। ৬০ বছরের ওপরে রয়েছে এক কোটি ৮৬ লাখ ভোটার। চলতি বছরের ডিসেম্বরকে সামনে রেখে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক মহলে চলছে ভোটের হিসাব-নিকাশ। গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে ভোটার ছিল ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৩৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় কোটি সাত লাখ ৭১ হাজার ৭২০ জন এবং নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৯ জন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৮৪৮ জন ছিল। এবার ভোটার তালিকা হালনাগাদের পর প্রায় ১৩ কোটি ভোটার ভোট দিতে পারবেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। তবে এর মধ্যে প্রায় এক কোটি প্রবাসী ভোটার যাদের ভোট নিশ্চিত করতে প্রক্সি ভোট গ্রহণ করার পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, এটি এখনো চূড়ান্ত পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। ভোটার তালিকা আইন ও বিধিমালা সংশোধনের বিষয়টি আগামী কমিশন সভায় চূড়ান্ত হবে। তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি যেন তফশিল ঘোষণার আগেও যারা ১৮ বছর পূর্ণ করবেন, তারা যেন ভোট দিতে পারে। এজন্য ভোটার নিবন্ধন আইনে সংশোধন আনার কথা ভাবা হচ্ছে। এতে ভোটার হওয়ার শেষ সময় হতে ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের ভূমিকা তুলে ধরেছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে তরুণরা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের জন্য এক নতুন ইতিহাস গড়েছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের আন্দোলনে সামনের সারিতে ছিলেন তারা। একইসঙ্গে আন্দোলনে নেমে যারা মারা গেছেন ও আহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই তরুণ। সুতরাং আগামীতে বাংলাদেশে ফের যেন কোনো ফ্যাসিস্ট সরকারের উত্থান না ঘটে, সেজন্য তরুণদের ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে সংস্কার ও রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তনে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।
কমিশন সূত্র জানায়, ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ এর ৩ ধারার উপধারা (জ) এবং ১১ ধারার ১ উপধারায় সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে। সংশোধনীতে এমন ভাষা সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যাতে নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন অনুযায়ী ভোটার যোগ্যতা অর্জনের তারিখ এবং তালিকা সংশোধনের সময়সীমা নির্ধারণ করতে পারে।
প্রস্তাবিত সংশোধনীর মূল বিষয়গুলো: ধারা ৩(জ): ভোটার যোগ্যতা অর্জনের তারিখ হিসেবে ১ জানুয়ারির পরিবর্তে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত অন্য তারিখ নির্ধারণের সুযোগ থাকছে। ধারা ১১(১): ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ সময়সীমা ছাড়াও কমিশনের বিবেচনায় ‘উপযুক্ত সময়’ উল্লেখ করে নমনীয়তা আনার প্রস্তাব রয়েছে। নির্বাচন কমিশন আগামী ডিসেম্বরকে টার্গেট করলেও সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে অস্পষ্টতা রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যে একাধিকবার বলেছেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে নিয়ে পরের বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তবে সেটা ঠিক কোন মাসে হবে এ ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে সরকারের পক্ষ থেকে আজও বলা হয়নি। বিভিন্ন মহল থেকে এই সরকারকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় রাখার দাবি ওঠায় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আরও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
* ডিসেম্বরকে সামনে রেখে নির্বাচনের প্রস্তুতি, রাজনৈতিক মহলে চলছে ভোটের হিসাব-নিকাশ
দেশের রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ইতোমধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের মোট ভোটারের প্রায় ৩০ শতাংশই হচ্ছে তরুণ। বিষয়টি বুঝতে পারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিশাল জনগোষ্ঠীর ভোটাধিকার নিশ্চিত না করা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক উভয়দিক থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হালনাগাদকৃত নতুন ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে ভোটার তালিকা আইন এবং ভোটার তালিকা বিধিমালায় সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে ইসি।
দেশের রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ এবং প্রভাব দিন দিন বাড়ছে। নির্বাচন কমিশনও (ইসি) বুঝতে পারছে, এ বিশাল জনগোষ্ঠীর ভোটাধিকার নিশ্চিত না করা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক উভয়দিক থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হালনাগাদকৃত নতুন ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে ভোটার তালিকা আইন এবং ভোটার তালিকা বিধিমালায় সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে ইসি। তবে ইসি কর্মকর্তারা জানান, তরুণদের ভোট গণনার বাইরে রেখে নির্বাচন আয়োজন রাজনৈতিকভাবেও চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। কারণ এই শ্রেণির ভোটারদের একটি বড় অংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় এবং তারা রাজনৈতিক প্রচারণায় বড় ভূমিকা রাখে। এ প্রেক্ষাপটে ইসি ভোটার তালিকা আইন ও বিধিমালায় সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে বছরের যেকোনো সময় খসড়া ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের ক্ষমতা কমিশন হাতে পায়। সংশোধনী অনুমোদিত হলে নতুন ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের পথ সুগম হবে। আইন সংশোধন হলে প্রতিবছর ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পাশাপাশি বছরের যে কোনো সময়ে হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা পাবে সংস্থাটি।
জানা গেছে, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন (ইসি) বয়স ভিত্তিক একটি ভোটার তালিকা করেছে। এক্ষেত্রে ত্রয়োদশ নির্বাচনে তরুণদের ভোট সরকার গঠনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এবার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছে প্রায় পৌনে চার কোটি তরুণ ভোটার। যা মোট ভোটারের প্রায় ৩০ শতাংশ হবে। কেউ কেউ বলছেন, এ তরুণ ভোটাররা আগামী সংসদ নির্বাচন কোন দল সরকার গঠন করবে, তা ঠিক করে দিবে।
ইসি সূত্র জানায়, দেশে বর্তমানে ভোটার রয়েছে ১২ কোটি ৪৪ লাখ। এর মধ্যে এর মধ্যে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সের ভোটারদের তরুণ ধরা হয়েছে। যাদের সংখ্যা তিন কোটি পাঁচ লাখের সঙ্গে আরও চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে যুক্ত হবে আরও প্রায় ৫৭ লাখের বেশি। এতে মোট তরুণ ভোটার সংখ্যা দাঁড়াবে পৌনে চার কোটির কাছাকাছি। যা মোট ভোটারের ৩০ শতাংশ।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান ভোটার তালিকায় ৩০ থেকে ৩৩ বছরের মধ্যে ভোটার রয়েছে এক কোটি ৫১ হাজার। এর পরের অবস্থানে ৩৪ থেকে ৪১ বছরের মধ্যে ভোটার দুই কোটি ৫৩ লাখ ভোটার। এ ছাড়া ৪২ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত ভোটার রয়েছে চার কোটি। ৬০ বছরের ওপরে রয়েছে এক কোটি ৮৬ লাখ ভোটার। চলতি বছরের ডিসেম্বরকে সামনে রেখে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক মহলে চলছে ভোটের হিসাব-নিকাশ। গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে ভোটার ছিল ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৩৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় কোটি সাত লাখ ৭১ হাজার ৭২০ জন এবং নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৯ জন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৮৪৮ জন ছিল। এবার ভোটার তালিকা হালনাগাদের পর প্রায় ১৩ কোটি ভোটার ভোট দিতে পারবেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। তবে এর মধ্যে প্রায় এক কোটি প্রবাসী ভোটার যাদের ভোট নিশ্চিত করতে প্রক্সি ভোট গ্রহণ করার পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, এটি এখনো চূড়ান্ত পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। ভোটার তালিকা আইন ও বিধিমালা সংশোধনের বিষয়টি আগামী কমিশন সভায় চূড়ান্ত হবে। তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি যেন তফশিল ঘোষণার আগেও যারা ১৮ বছর পূর্ণ করবেন, তারা যেন ভোট দিতে পারে। এজন্য ভোটার নিবন্ধন আইনে সংশোধন আনার কথা ভাবা হচ্ছে। এতে ভোটার হওয়ার শেষ সময় হতে ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের ভূমিকা তুলে ধরেছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে তরুণরা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের জন্য এক নতুন ইতিহাস গড়েছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের আন্দোলনে সামনের সারিতে ছিলেন তারা। একইসঙ্গে আন্দোলনে নেমে যারা মারা গেছেন ও আহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই তরুণ। সুতরাং আগামীতে বাংলাদেশে ফের যেন কোনো ফ্যাসিস্ট সরকারের উত্থান না ঘটে, সেজন্য তরুণদের ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে সংস্কার ও রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তনে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।
কমিশন সূত্র জানায়, ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ এর ৩ ধারার উপধারা (জ) এবং ১১ ধারার ১ উপধারায় সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে। সংশোধনীতে এমন ভাষা সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যাতে নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন অনুযায়ী ভোটার যোগ্যতা অর্জনের তারিখ এবং তালিকা সংশোধনের সময়সীমা নির্ধারণ করতে পারে।
প্রস্তাবিত সংশোধনীর মূল বিষয়গুলো: ধারা ৩(জ): ভোটার যোগ্যতা অর্জনের তারিখ হিসেবে ১ জানুয়ারির পরিবর্তে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত অন্য তারিখ নির্ধারণের সুযোগ থাকছে। ধারা ১১(১): ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ সময়সীমা ছাড়াও কমিশনের বিবেচনায় ‘উপযুক্ত সময়’ উল্লেখ করে নমনীয়তা আনার প্রস্তাব রয়েছে। নির্বাচন কমিশন আগামী ডিসেম্বরকে টার্গেট করলেও সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে অস্পষ্টতা রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যে একাধিকবার বলেছেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে নিয়ে পরের বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তবে সেটা ঠিক কোন মাসে হবে এ ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে সরকারের পক্ষ থেকে আজও বলা হয়নি। বিভিন্ন মহল থেকে এই সরকারকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় রাখার দাবি ওঠায় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আরও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।