
সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ও শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে শিক্ষার গুণগত মানের বৈষম্য নিরসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। এ ছাড়া গুণগত পরিবর্তন ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার ইউজিসির আয়োজনে দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আহ্বান জানান তিনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সম্মেলনকক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) কার্যক্রম পরিবীক্ষণ ও প্রমাণক ব্যবস্থাপনা এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের খসড়া কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনা ও ফিডব্যাক প্রদান বিষয়ে এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছিল। ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। এ ছাড়া কর্মশালায় বক্তব্য দেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আলমগীর বলেন, দেশের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার অন্যান্য স্তরে শিক্ষার মানে বৈষম্য রয়েছে। শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। উচ্চশিক্ষায় অনেক ক্ষেত্রে যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে গৃহীত কার্যক্রম যথাসময়ে বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এর সুবিধা থেকে অংশীজনেরা বঞ্চিত হচ্ছেন এবং বিলম্বে বাস্তবায়িত হওয়ায় সরকারের ব্যয় বাড়ছে। তাই শিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন আনতে যুগোপযোগী পরিকল্পনা ও পদ্ধতিগত পরিবর্তন দরকার। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলা, যুগের চাহিদা পূরণে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিকস, বিগ ডাটাসহ ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে বলে ও জানান তিনি। চবি উপাচার্য অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুশাসন নিশ্চিত করতে এপিএ কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষা ও গবেষণায় সহযোগিতা বাড়াতে ইউজিসি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সংশ্লিষ্ট ফোকাল পয়েন্টদের এপিএ বাস্তবায়নে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক ও এপিএর ফোকাল পয়েন্ট বিষ্ণু মল্লিকের সঞ্চালনায় কর্মশালায় ইউজিসি, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএ কমিটির আহ্বায়ক, ফোকাল পয়েন্টসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।