
এলজিইডি ঢাকা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাচ্চু মিয়ার অদক্ষতায় এলজিইডি ঢাকা জেলা ডুবতে বসেছে। ঢাকা জেলার সকল প্রকার উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়নে নেমে এসেছে স্থবিরতা। দেখা দিয়েছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) এর টার্গেট পুরনে অনিশ্চিয়তা। এলজিইডির সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ ঢাকা জেলায় ৫টি উপজেলা এবং রাজধানীতে অনেক গুরত্বপূর্ণ উন্নয়ন কাজ চলমান। কাজ বাস্তবায়নে সিদ্ধান্তের অভাব এবং ঠিকাদারদেরকে নানা ধরনের হয়রানির কারণে সিংহভাগ প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। জানা গেছে, গুরত্বপূর্ণ পল্লি সড়কে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রত্যাশা, কাউন্দিয়া, মোল্লারহাট, নলাম, বান্দুরাসহ বড় বড় সেতু নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ। মুখ থুবড়ে পড়েছে ঢাকা মহানগরীতে দৃষ্টিনন্দন সরকারি প্রাথমিক স্কুলের কাজ। ভূমি অধিগ্রহণের কাজের অগ্রগতি না হওয়াতে ঝুলে আছে কেরানীগঞ্জ উপজেলায় ৩টি ৪ লেন সড়কের উন্নয়নমূলক কাজ।
পিপিআর অনুযায়ী, যেখানে ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে দরপত্র মূল্যয়ন করার কথা সেখানে তিনি ২-৩ মাসেও কোন দরপত্র মূল্যয়ন করতে পারেন না বা করেন না। দরপত্র মূল্যয়নের ক্ষেত্রেও কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে যোগ্য ঠিকাদারকে বাদ দিয়ে তার পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দেন। দীর্ঘদিন দরপত্র মূল্যয়ন না করে ফেলে রাখার পর যে ঠিকাদার তার চাহিদামত টাকা দেয় তখন সেই ঠিকাদারকে তিনি কাজ দেন। এনিয়ে বেশ কয়েকবার ঠিকাদারদের সাথে তার তর্কবিতর্ক হয়েছে। গুরত্বপূর্ণ সেতু প্রকল্পের ২টি দরপত্রসহ বেশকিছু প্রকল্পের দরপত্র দীর্ঘদিন যাবত মূল্যয়নের জন্য তার কাছে পড়ে রয়েছে। প্রকল্প পরিচলাকরা বারবার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও তিনি মূল্যয়ন করছেন না। ৬০ কোটি টাকার একটি কাজ সর্বনিম্ন দরদাতাকে না দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অন্য ঠিকাদারকে দেয়ার চেষ্টা করছেন শুনে ভূক্তভুগী ঠিকাদার হুমকি দিয়েছেন যে তাকে বাদ দিয়ে অন্যজনকে দিলে তিনি মামলা করবেন এবং দুদকে যাবেন। বাচ্চু মিয়া সারা দিন অফিস করেন না। কখনও মাঠপর্যায়ের চলমান কাজ পরিদর্শন করেন না। তিনি সন্ধ্যার পর অফিসে ঢোকেন। কিছু সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত অফিসে থাকেন। সারাদিন তিনি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন নেতাদের পিছনে ঘুরে বেড়ান।
আওয়ামী লীগ আমলে তিনি গাজিপুর, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জসহ গুরত্বপূর্ণ জায়গায় চাকরি করেন। সর্বশেষ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবের কন্ঠস্বর নকল করে তৎকালীন এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীকে ফোন করে নেত্রকোনা জেলাতে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে ১৭-০২-২০২২ তারিখে পোস্টিং নেন। পরবর্তীতে প্রধান প্রকৌশলীর সাথে মূখ্যসচিবের দেখা হলে আলাপচারীতায় মূখ্যসচিব জানান, তিনি বাচ্চু মিয়া নামের কাউকে চেনেন না এবং তিনি কখনো তার পোস্টিংয়ের জন্য কোন ফোন করেন নাই। ফলশ্রুতিতে প্রতারণা করে সরকারের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার কন্ঠ নকল করে পোস্টিং নেয়ার অপরাধে বাচ্চু মিয়াকে ৪-০৪-২০২২ তারিখে মাত্র ১.৫ মাসের মাথায় সদরদফতরে বদলি করেন প্রধান প্রকৌশলী। তিনি যেখানেই চাকরি করেছেন সেখানেই সহকর্মী বা অন্য সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে ঝামেলায় জড়িয়েছেন। গাজীপুরের কাপাসিয়ায় উপজেলা প্রকৌশলী থাকাকালীন সেখানকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ক্ষমতার দাপটে বদলি পর্যন্ত করিয়েছিলেন এই বাচ্চুমিয়া। ময়মনসিংহ জেলায় সিনিয়র সহকারি প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলীর উপর আক্রমন করেছিলেন। কিশোরগঞ্জ জেলায় সিনিয়র সহকারি প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় উপজেলা প্রকৌশলীদের সাথে হাতাহাতি করেছেন। আর প্রতিবার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এসব অপকর্ম করেও তিনি পার পেয়ে গেছেন। সর্বশেষ ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তিনি রাতারাতি দল পাল্টিয়ে বিএনপি বনে যান। বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়ান যে বিএনপি করার কারণে তাকে দেড় মাসের মাথায় বদলি করে ঢাকায় এনে ওএসডি করে রাখে এবং এই বলে ঢাকায় পোস্টিং নেন। তাকে ঢাকাতে কখনো ওএসডি করে রাখা হয়নি। নেত্রকোনা থেকে সদরদফতরে চলে আসার ২ মাসের মাথায় তাকে এলজিইডির গুরত্বপূর্ণ অডিট ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে পদায়ন করা হয়। সর্বশেষ অডিট ইউনিট থেকেই তিনি ঢাকা জেলাতে পোস্টিং করিয়ে নেন। এখন তিনি কোথাও বিএনপি, কোথায় জামাত-শিবির, কোথাও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের লোক দাবি করেন। বারবার রং বদলানো এই বহুরুপী কর্মকর্তা এলজিইডি ঢাকা জেলাতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন।
এলজিইডি ঢাকা জেলার সর্বস্তরের কর্মচারী/কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারগণ এলজিআরডি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়ার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এসব অভিযোগের ব্যাপারে বাচ্চু মিয়াকে বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেন নাই।
পিপিআর অনুযায়ী, যেখানে ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে দরপত্র মূল্যয়ন করার কথা সেখানে তিনি ২-৩ মাসেও কোন দরপত্র মূল্যয়ন করতে পারেন না বা করেন না। দরপত্র মূল্যয়নের ক্ষেত্রেও কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে যোগ্য ঠিকাদারকে বাদ দিয়ে তার পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দেন। দীর্ঘদিন দরপত্র মূল্যয়ন না করে ফেলে রাখার পর যে ঠিকাদার তার চাহিদামত টাকা দেয় তখন সেই ঠিকাদারকে তিনি কাজ দেন। এনিয়ে বেশ কয়েকবার ঠিকাদারদের সাথে তার তর্কবিতর্ক হয়েছে। গুরত্বপূর্ণ সেতু প্রকল্পের ২টি দরপত্রসহ বেশকিছু প্রকল্পের দরপত্র দীর্ঘদিন যাবত মূল্যয়নের জন্য তার কাছে পড়ে রয়েছে। প্রকল্প পরিচলাকরা বারবার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও তিনি মূল্যয়ন করছেন না। ৬০ কোটি টাকার একটি কাজ সর্বনিম্ন দরদাতাকে না দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অন্য ঠিকাদারকে দেয়ার চেষ্টা করছেন শুনে ভূক্তভুগী ঠিকাদার হুমকি দিয়েছেন যে তাকে বাদ দিয়ে অন্যজনকে দিলে তিনি মামলা করবেন এবং দুদকে যাবেন। বাচ্চু মিয়া সারা দিন অফিস করেন না। কখনও মাঠপর্যায়ের চলমান কাজ পরিদর্শন করেন না। তিনি সন্ধ্যার পর অফিসে ঢোকেন। কিছু সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত অফিসে থাকেন। সারাদিন তিনি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন নেতাদের পিছনে ঘুরে বেড়ান।
আওয়ামী লীগ আমলে তিনি গাজিপুর, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জসহ গুরত্বপূর্ণ জায়গায় চাকরি করেন। সর্বশেষ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবের কন্ঠস্বর নকল করে তৎকালীন এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীকে ফোন করে নেত্রকোনা জেলাতে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে ১৭-০২-২০২২ তারিখে পোস্টিং নেন। পরবর্তীতে প্রধান প্রকৌশলীর সাথে মূখ্যসচিবের দেখা হলে আলাপচারীতায় মূখ্যসচিব জানান, তিনি বাচ্চু মিয়া নামের কাউকে চেনেন না এবং তিনি কখনো তার পোস্টিংয়ের জন্য কোন ফোন করেন নাই। ফলশ্রুতিতে প্রতারণা করে সরকারের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার কন্ঠ নকল করে পোস্টিং নেয়ার অপরাধে বাচ্চু মিয়াকে ৪-০৪-২০২২ তারিখে মাত্র ১.৫ মাসের মাথায় সদরদফতরে বদলি করেন প্রধান প্রকৌশলী। তিনি যেখানেই চাকরি করেছেন সেখানেই সহকর্মী বা অন্য সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে ঝামেলায় জড়িয়েছেন। গাজীপুরের কাপাসিয়ায় উপজেলা প্রকৌশলী থাকাকালীন সেখানকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ক্ষমতার দাপটে বদলি পর্যন্ত করিয়েছিলেন এই বাচ্চুমিয়া। ময়মনসিংহ জেলায় সিনিয়র সহকারি প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলীর উপর আক্রমন করেছিলেন। কিশোরগঞ্জ জেলায় সিনিয়র সহকারি প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় উপজেলা প্রকৌশলীদের সাথে হাতাহাতি করেছেন। আর প্রতিবার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এসব অপকর্ম করেও তিনি পার পেয়ে গেছেন। সর্বশেষ ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তিনি রাতারাতি দল পাল্টিয়ে বিএনপি বনে যান। বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়ান যে বিএনপি করার কারণে তাকে দেড় মাসের মাথায় বদলি করে ঢাকায় এনে ওএসডি করে রাখে এবং এই বলে ঢাকায় পোস্টিং নেন। তাকে ঢাকাতে কখনো ওএসডি করে রাখা হয়নি। নেত্রকোনা থেকে সদরদফতরে চলে আসার ২ মাসের মাথায় তাকে এলজিইডির গুরত্বপূর্ণ অডিট ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে পদায়ন করা হয়। সর্বশেষ অডিট ইউনিট থেকেই তিনি ঢাকা জেলাতে পোস্টিং করিয়ে নেন। এখন তিনি কোথাও বিএনপি, কোথায় জামাত-শিবির, কোথাও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের লোক দাবি করেন। বারবার রং বদলানো এই বহুরুপী কর্মকর্তা এলজিইডি ঢাকা জেলাতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন।
এলজিইডি ঢাকা জেলার সর্বস্তরের কর্মচারী/কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারগণ এলজিআরডি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়ার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এসব অভিযোগের ব্যাপারে বাচ্চু মিয়াকে বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেন নাই।