
* গত সাত মাসে দেশে বন্ধ হয়েছে ৭৭ লাখ সিমকার্ড বা মোবাইল ফোন সংযোগ।
* সামপ্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণেও অনেক ব্যবহারকারী বন্ধ রেখেছে তাদের সিমকার্ড।
* একই সময়ে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখ কমেছে।
দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ইন্টারনেট এবং মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে গেছে। গত সাত মাসে দেশে বন্ধ হয়েছে ৭৭ লাখ সিমকার্ড বা মোবাইল ফোন সংযোগ। মূলত বিগত সরকারের অনেক নেতা-কর্মীর চলে যাওয়া এবং দেশে সামপ্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণেও অনেক ব্যবহারকারী বন্ধ রেখেছে তাদের সিমকার্ড। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে মোবাইল কোম্পানিগুলোর ৭৭ লাখ গ্রাহক কমেছে। একই সময়ে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখ কমেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মোট মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৮ কোটি ৬৫ লাখে নেমে এসেছে, যা ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ছিল ১৯ কোটি ৪২ লাখ। একইভাবে গত বছরের জুলাইয়ে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৪ কোটি ১০ লাখ থেকে কমে গত জানুয়ারি শেষে ১৩ কোটিতে দাঁড়ায়।
সূত্র জানায়, দেশে কর্মরত মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক হারিয়েছে বাংলালিংক। এর পরিমাণ ৪৫ লাখ। বিগত ২০২৪ সালের জুলাই মাসে দেশে বাংলালিংক ব্যবহারকারী ছিল ৪ কোটি ৩৫ লাখ। ওই সংখ্যা গত জানুয়ারিতে কমে ৩ কোটি ৯০ লাখে দাঁড়ায়। গ্রামীণফোন হারিয়েছে ৭ লাখ ব্যবহারকারী। ফলে ওই অপারেটরের মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৫২ লাখ থেকে কমে ৮ কোটি ৪৫ লাখে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে রবি হারিয়েছে ২৫ লাখ ব্যবহারকারী। ফলে ওই অপারেটরের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ কোটি ৮৯ লাখ থেকে কমে জানুয়ারিতে দাঁড়ায় ৫ কোটি ৬৫ লাখ।
সূত্র আরো জানায়, সামপ্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে অথবা অর্থনৈতিক কারণেও অনেক ব্যবহারকারী বন্ধ করে দিয়েছে তাদের সিমকার্ড। আর সিম ব্যবহারকারীর ক্রমহ্রাসমান সংখ্যা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলার আশঙ্কা রয়েছে। ইন্টারনেট এবং মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা রাজনৈতিক না অর্থনৈতিক অথবা উভয় কারণে কমেছেি না তা বিশ্লেষণ করে বের করা প্রয়োজন। কারণ গ্রাহক সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকলে এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী পড়বে। বাধাগ্রস্ত হবে অপারেটরদের রাজস্ব ঘাটতি, ডিজিটাল বিভাজন বৃদ্ধি এবং ডিজিটাল রূপান্তর। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য করনীতি পুনর্বিবেচনা করাও জরুরি। বর্তমানে প্রতি ১ টাকার বিপরীতে ৫৬ পয়সা সরাসরি সরকারের কোষাগারে কর হিসেবে চলে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে গ্রাহকের ব্যয় হ্রাসে সহায়তা করবে এমন নীতি প্রবর্তন করা প্রয়োজন। তাছাড়া অপারেটরদের মাঝে ইকুইপমেন্ট (সরঞ্জাম) ভাগাভাগি, স্পেকট্রাম খরচ হ্রাস এবং কোনো অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করছে না এমন অপ্রয়োজনীয় সেবার খাত (সার্ভিস লেয়ার) অপসারণ করার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি অপারেটরদের ফাইবার এবং সাইট নির্মাণসহ নিজস্ব নেটওয়ার্ক স্থাপন করার অনুমতি দিতে হবে, কিন্তু বিদ্যমান বিধিমালার অধীনে করা সম্ভব নয়।
* সামপ্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণেও অনেক ব্যবহারকারী বন্ধ রেখেছে তাদের সিমকার্ড।
* একই সময়ে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখ কমেছে।
দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ইন্টারনেট এবং মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে গেছে। গত সাত মাসে দেশে বন্ধ হয়েছে ৭৭ লাখ সিমকার্ড বা মোবাইল ফোন সংযোগ। মূলত বিগত সরকারের অনেক নেতা-কর্মীর চলে যাওয়া এবং দেশে সামপ্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণেও অনেক ব্যবহারকারী বন্ধ রেখেছে তাদের সিমকার্ড। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে মোবাইল কোম্পানিগুলোর ৭৭ লাখ গ্রাহক কমেছে। একই সময়ে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখ কমেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মোট মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৮ কোটি ৬৫ লাখে নেমে এসেছে, যা ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ছিল ১৯ কোটি ৪২ লাখ। একইভাবে গত বছরের জুলাইয়ে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৪ কোটি ১০ লাখ থেকে কমে গত জানুয়ারি শেষে ১৩ কোটিতে দাঁড়ায়।
সূত্র জানায়, দেশে কর্মরত মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক হারিয়েছে বাংলালিংক। এর পরিমাণ ৪৫ লাখ। বিগত ২০২৪ সালের জুলাই মাসে দেশে বাংলালিংক ব্যবহারকারী ছিল ৪ কোটি ৩৫ লাখ। ওই সংখ্যা গত জানুয়ারিতে কমে ৩ কোটি ৯০ লাখে দাঁড়ায়। গ্রামীণফোন হারিয়েছে ৭ লাখ ব্যবহারকারী। ফলে ওই অপারেটরের মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৫২ লাখ থেকে কমে ৮ কোটি ৪৫ লাখে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে রবি হারিয়েছে ২৫ লাখ ব্যবহারকারী। ফলে ওই অপারেটরের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ কোটি ৮৯ লাখ থেকে কমে জানুয়ারিতে দাঁড়ায় ৫ কোটি ৬৫ লাখ।
সূত্র আরো জানায়, সামপ্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে অথবা অর্থনৈতিক কারণেও অনেক ব্যবহারকারী বন্ধ করে দিয়েছে তাদের সিমকার্ড। আর সিম ব্যবহারকারীর ক্রমহ্রাসমান সংখ্যা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলার আশঙ্কা রয়েছে। ইন্টারনেট এবং মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা রাজনৈতিক না অর্থনৈতিক অথবা উভয় কারণে কমেছেি না তা বিশ্লেষণ করে বের করা প্রয়োজন। কারণ গ্রাহক সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকলে এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী পড়বে। বাধাগ্রস্ত হবে অপারেটরদের রাজস্ব ঘাটতি, ডিজিটাল বিভাজন বৃদ্ধি এবং ডিজিটাল রূপান্তর। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য করনীতি পুনর্বিবেচনা করাও জরুরি। বর্তমানে প্রতি ১ টাকার বিপরীতে ৫৬ পয়সা সরাসরি সরকারের কোষাগারে কর হিসেবে চলে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে গ্রাহকের ব্যয় হ্রাসে সহায়তা করবে এমন নীতি প্রবর্তন করা প্রয়োজন। তাছাড়া অপারেটরদের মাঝে ইকুইপমেন্ট (সরঞ্জাম) ভাগাভাগি, স্পেকট্রাম খরচ হ্রাস এবং কোনো অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করছে না এমন অপ্রয়োজনীয় সেবার খাত (সার্ভিস লেয়ার) অপসারণ করার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি অপারেটরদের ফাইবার এবং সাইট নির্মাণসহ নিজস্ব নেটওয়ার্ক স্থাপন করার অনুমতি দিতে হবে, কিন্তু বিদ্যমান বিধিমালার অধীনে করা সম্ভব নয়।