
সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় চলমান সহিংস সংঘর্ষ থেকে বাঁচতে লেবাননে পালাচ্ছেন দেশটির আলাউয়ি সম্প্রদায়ের সদস্যরা। এরই মধ্যে অন্তত ১০ হাজার আলাউয়ি প্রতিবেশী দেশটিতে প্রবেশ করেছেন। তারা দেশটির উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন।
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে গত কয়েকদিন ধরে ভয়াবহ সংঘাত চলছে। অসংখ্য হতাহতের খবর আসছে প্রতিদিন। ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে আলাউয়ি নামে একটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের পতনের পরও সিরিয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। আভ্যন্তরীণ সংঘাতের পাশাপাশি ইসরাইল নিয়মিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। গত সপ্তাহ থেকে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বাশার আল-আসাদের অনুগত সশস্ত্র যোদ্ধারা উপকূলীয় লাতাকিয়া প্রদেশে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। এতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সিরিয়ার নতুন সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। এরপর থেকে ওই অঞ্চলের আলাউয়ি সম্প্রদায়ের মানুষদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হচ্ছে। ব্রিটেনভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের তথ্য মতে, কয়েকদিনের সহিংসতায় ১ হাজার ৩০০ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৮০০ জনই বেসামরিক নাগরিক এবং বেশিরভাগই আলাউয়ি সম্প্রদায়ের। সিরিয়ার নতুন নেতা ও প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সরকারের দাবি, তারা আসাদপন্থি বাহিনীর আক্রমণের জবাব দিচ্ছে। পাশাপাশি সরকার নিরাপত্তা বাহিনীর বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে দেখছে। নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, আলাউয়ি সম্প্রদায়ের মানুষকে টার্গেট করে হত্যা শুরু হওয়ার পর নারকীয় পরিস্থিতি থেকে কোনো রকমে জীবন বাঁচাতে লেবাননে আশ্রয় নিচ্ছে সিরীয়রা। এরই মধ্যে কয়েক হাজার মানুষ লেবাননের উত্তরাঞ্চলে প্রবেশ করেছে। একজন লেবাননি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, প্রায় ১০ হাজার আলাওয়ি শরণার্থী সিরিয়া থেকে লেবাননে প্রবেশ করেছে। তারা ত্রিপোলি ও আশপাশের এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে, যা লেবাননের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে নাজুক করে তুলেছে। উত্তরের পরিস্থিতি যেকোনো মুহূর্তে বিস্ফোরক হয়ে উঠতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে গত কয়েকদিন ধরে ভয়াবহ সংঘাত চলছে। অসংখ্য হতাহতের খবর আসছে প্রতিদিন। ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে আলাউয়ি নামে একটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের পতনের পরও সিরিয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। আভ্যন্তরীণ সংঘাতের পাশাপাশি ইসরাইল নিয়মিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। গত সপ্তাহ থেকে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বাশার আল-আসাদের অনুগত সশস্ত্র যোদ্ধারা উপকূলীয় লাতাকিয়া প্রদেশে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। এতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সিরিয়ার নতুন সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। এরপর থেকে ওই অঞ্চলের আলাউয়ি সম্প্রদায়ের মানুষদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হচ্ছে। ব্রিটেনভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের তথ্য মতে, কয়েকদিনের সহিংসতায় ১ হাজার ৩০০ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৮০০ জনই বেসামরিক নাগরিক এবং বেশিরভাগই আলাউয়ি সম্প্রদায়ের। সিরিয়ার নতুন নেতা ও প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সরকারের দাবি, তারা আসাদপন্থি বাহিনীর আক্রমণের জবাব দিচ্ছে। পাশাপাশি সরকার নিরাপত্তা বাহিনীর বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে দেখছে। নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, আলাউয়ি সম্প্রদায়ের মানুষকে টার্গেট করে হত্যা শুরু হওয়ার পর নারকীয় পরিস্থিতি থেকে কোনো রকমে জীবন বাঁচাতে লেবাননে আশ্রয় নিচ্ছে সিরীয়রা। এরই মধ্যে কয়েক হাজার মানুষ লেবাননের উত্তরাঞ্চলে প্রবেশ করেছে। একজন লেবাননি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, প্রায় ১০ হাজার আলাওয়ি শরণার্থী সিরিয়া থেকে লেবাননে প্রবেশ করেছে। তারা ত্রিপোলি ও আশপাশের এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে, যা লেবাননের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে নাজুক করে তুলেছে। উত্তরের পরিস্থিতি যেকোনো মুহূর্তে বিস্ফোরক হয়ে উঠতে পারে।