
রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরের বিভিন্ন এলাকায় আলু উত্তোলন শুরু হওয়ায় জেলার হাটবাজারগুলো আলুর দাম কমতে শুরু করেছে। প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ টাকা কেজি করে। আর এক কেজি আলু উৎপাদন করতে কৃষকদের খরচ হয়েছে ২২ টাকা। সেই সাথে বেড়েছে হিমাগার ভাড়া। এতে করে লোকসানের মধ্যে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের।
রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় এবার আলুর চাষ হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৩৯ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রারা চেয়ে প্রায় ৩শ’ হেক্টর বেশি। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ২৮ লাখ মেট্রিক টন। যা গতবারের চেয়ে কয়েক হাজার মেট্রিক টন বেশি। তবে হিমাগার ভাড়া কমানোর জন্য গত এক সপ্তাহ ধরে রংপুর নগরীতে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে বিভিন্ন কৃষক সংগঠন। সংগঠনের নেতারা মানববন্ধন, বিক্ষোভ, ঘেরাও ও জনসভা করে হিমাগারে প্রতি কেজি আলু ১ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করার জন্য। তবে সেই দাবি বাস্তবায়ন না করে কোল্ডস্টোর মালিক এসোসিয়েশনের সাথে কথা বলে প্রতি কেজি আলুর স্টোর ভাড়া ৬.৭৫ টাকা নির্ধারণ করে কৃষি বিপনণ অধিদপ্তর বলছে এতে কৃষকের উপকার হবে।
কৃষকেরা জানান, আলু উৎপাদনের জন্য আমাদের জমি তৈরি, বীজ বপন, সেচ, কীটনাশক, শ্রমিকের মজুরি বাবদ এক কেজি আলু উৎপাদনে খরচ পড়ে ২২ থেকে ২৪ টাকা পর্যন্ত।
কিন্তু তাদের এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ টাকা দরে। তারা এমন পরিস্থিতির জন্য সরকারের অপরিকল্পিত বাজার ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন। রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ কল্যানী এলাকার কৃষক জাফর ইকবাল জানান, তার ৪ বিঘা জমিতে ৩ লাখ টাকা খরচ করে আলু চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তার ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু বাজারে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় তিনি হতাশ হয়েছেন।
এমন পরিস্থিতির জন্য সরকারের অপরিকল্পিত বাজার ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছে অর্থনীতীবিদরা তারা জানান, বাজার ও উৎপাদন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে আর সুবিধাভোগীরা লাভোবান হবে। এখন পুরো বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। আলুর বাম্পার ফলন হওয়ার পরেও কিন্তু কৃষক উৎপাদন খরচ তুলতে পারছে না। প্রতিবছর কৃষক সর্বস্বান্ত হচ্ছে।
রংপুর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহকারী শাকিল আকতার বলেন, যেহেতু এবার আলুর চাহিদার থেকে উৎপাদন বেশি, সেহেতু আমরা আমাদের রংপুর অঞ্চলের কৃষকদের সাথে ব্যবসায়ীদের একটা সংযোগ করে দেয়ার চেষ্টা করছি। আলু যেন দেশের বাইরে রপ্তানি করা যায়। সেটাও একটা পরিকল্পনা চলছে।
রংপুরের বিভিন্ন এলাকায় আলু উত্তোলন শুরু হওয়ায় জেলার হাটবাজারগুলো আলুর দাম কমতে শুরু করেছে। প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ টাকা কেজি করে। আর এক কেজি আলু উৎপাদন করতে কৃষকদের খরচ হয়েছে ২২ টাকা। সেই সাথে বেড়েছে হিমাগার ভাড়া। এতে করে লোকসানের মধ্যে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের।
রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় এবার আলুর চাষ হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৩৯ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রারা চেয়ে প্রায় ৩শ’ হেক্টর বেশি। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ২৮ লাখ মেট্রিক টন। যা গতবারের চেয়ে কয়েক হাজার মেট্রিক টন বেশি। তবে হিমাগার ভাড়া কমানোর জন্য গত এক সপ্তাহ ধরে রংপুর নগরীতে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে বিভিন্ন কৃষক সংগঠন। সংগঠনের নেতারা মানববন্ধন, বিক্ষোভ, ঘেরাও ও জনসভা করে হিমাগারে প্রতি কেজি আলু ১ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করার জন্য। তবে সেই দাবি বাস্তবায়ন না করে কোল্ডস্টোর মালিক এসোসিয়েশনের সাথে কথা বলে প্রতি কেজি আলুর স্টোর ভাড়া ৬.৭৫ টাকা নির্ধারণ করে কৃষি বিপনণ অধিদপ্তর বলছে এতে কৃষকের উপকার হবে।
কৃষকেরা জানান, আলু উৎপাদনের জন্য আমাদের জমি তৈরি, বীজ বপন, সেচ, কীটনাশক, শ্রমিকের মজুরি বাবদ এক কেজি আলু উৎপাদনে খরচ পড়ে ২২ থেকে ২৪ টাকা পর্যন্ত।
কিন্তু তাদের এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ টাকা দরে। তারা এমন পরিস্থিতির জন্য সরকারের অপরিকল্পিত বাজার ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন। রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ কল্যানী এলাকার কৃষক জাফর ইকবাল জানান, তার ৪ বিঘা জমিতে ৩ লাখ টাকা খরচ করে আলু চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তার ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু বাজারে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় তিনি হতাশ হয়েছেন।
এমন পরিস্থিতির জন্য সরকারের অপরিকল্পিত বাজার ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছে অর্থনীতীবিদরা তারা জানান, বাজার ও উৎপাদন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে আর সুবিধাভোগীরা লাভোবান হবে। এখন পুরো বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। আলুর বাম্পার ফলন হওয়ার পরেও কিন্তু কৃষক উৎপাদন খরচ তুলতে পারছে না। প্রতিবছর কৃষক সর্বস্বান্ত হচ্ছে।
রংপুর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহকারী শাকিল আকতার বলেন, যেহেতু এবার আলুর চাহিদার থেকে উৎপাদন বেশি, সেহেতু আমরা আমাদের রংপুর অঞ্চলের কৃষকদের সাথে ব্যবসায়ীদের একটা সংযোগ করে দেয়ার চেষ্টা করছি। আলু যেন দেশের বাইরে রপ্তানি করা যায়। সেটাও একটা পরিকল্পনা চলছে।