
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীদের ওপর ধর্ষণ, নির্যাতন, সাইবার বুলিং এবং শ্লীলতাহানির ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত শুক্রবার মধ্য রাতে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দফতর) সালেহ উদ্দিন সিফাত সই করা এক বিবৃতিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় দলটি। বিবৃতিতে বলা হয়, গত বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক কর্মীর দ্বারা হয়রানির শিকার হন। শাহবাগ থানায় গ্রেপ্তার থাকাবস্থায়ও অভিযুক্ত ব্যক্তি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভুক্তভোগী নারী সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। এরপরও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয় এবং মামলা প্রত্যাহারে ভুক্তভোগীকে নানাবিধ চাপ দেওয়া হয়; যা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক এবং নিন্দনীয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত শুক্রবার মাগুরায় একজন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এছাড়াও অনলাইনে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি’র নারী নেতৃবৃন্দ এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নারী নেতাকর্মীরা পতিত ফ্যাসিবাদীদের দ্বারা প্রতিনিয়ত সাইবার বুলিং ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি এসব সহিংসতা ও নিপীড়নের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এই ধরনের নিপীড়নের ঘটনা জনপরিসরে নারীদের নিরাপত্তাহীন অবস্থাকে তুলে ধরে উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়, বিগত ফ্যাসিবাদী শাসন বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং নারীদের রাজনৈতিক কর্তাসত্তাকে অস্বীকার করেছে। কিন্তু জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ফ্যাসিবাদী সরকার পতনে অনন্য ভূমিকা রাখার মধ্য দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক অভিব্যক্তির শক্ত জানান দিয়েছে। নারীর নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় এনসিপি সর্বদা বদ্ধপরিকর। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, নারীদের ওপর কোনোরকম সহিংসতা কিংবা নিপীড়ন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি বরদাশত করবে না। বিবৃতিতে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বলা হয়, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি নারীদের ওপর চলমান সহিংসতা ও নিপীড়নের ঘটনাগুলোয় দোষীদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনতে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে জোর দাবি জানায়। পাশাপাশি, জনপরিসর ও সাইবার স্পেসে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সক্রিয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানায়। আমরা মনে করি, নারীর প্রতি সহিংসতাকে কঠোরভাবে দমন করার মধ্য দিয়ে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।