হাইকোর্টের আদেশ থাকা সত্ত্বেও ক্ষতিপূরণের বদলে বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট

আপলোড সময় : ১৫-০৫-২০২৪ ১২:২৩:১৬ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৫-০৫-২০২৪ ১২:২৩:১৬ অপরাহ্ন
রাজধানীর মুগদাপাড়া এলাকায় তিন পুরুষের বাড়ী ভাঙ্গার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশ থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে বাড়ি ভাঙচুর, বাড়ি মালিককে মারধর ও কোটি টাকার সম্পদ লুটপাট করেছে দৃর্বৃত্তরা। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী বাড়ী মালিকরা।
অভিযোগে জানা গেছে, মুগদাপাড়া থেকে মান্ডা যাওয়ার সড়কের প্রসস্তকরণের জন্য তিন শতাধিক ব্যক্তি মালিকানাধীন বাড়ি ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। কাউকে কোন নোটিশ না দিয়ে বাড়ির আংশিক অংশও ভেঙ্গে ফেলেছে। সেখানে কাউন্সিলর সিরাজুল ভাট্টি জোড়-জবরদস্তি করে তার বাহিনী দিয়ে দফায় দফায় বাড়ি ভাঙচুর করেছে। প্রতিবাদ করলেই বাড়ি মালিককেও হুমকি দিচ্ছে কাউন্সিলর ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী।
এ প্রসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক জহিরুল আলম দেওয়ান জানান, তিন পুরুষের বাড়ি ভাঙ্গার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশ রয়েছে। কিন্তু তারা হাইকোর্টের আদেশের তোয়াক্কা না করে কোন ক্ষতিপূরণ না দিয়ে বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে বাধা দিতে গেলে কাউন্সিলরের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা তাকে মারধর করেছে। রাজউকের তৈরি করা ড্যাপ-এর নকশা অনুযায়ী মুগদা বিশ^রোড থেকে শুরু করে মান্ডার হায়দার আলী স্কুল পর্যন্ত সড়কটি ৪০ফুট প্রশস্ত করার কাজ শুরু করে। কিন্তু অতি উৎসাহী কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম, মতিউর রহমান, মাহবুবুর রহমান ও মোশাররফ হোসেন খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনীর অর্ধ শতাধিক সদস্য বাড়ি ভাঙচুর করেছে। তাদের হাইকোর্টের আদেশনামা দেখালেও তারা ভাঙচুর করে ১০ লাখ টাকা দামের বেকারি সামগ্রী বানানোর মেশিন, ১০ হাজার ইট, খামারের দুই শতাধিক হাঁস-মুরগী, ১০টি সিসি টিভি ক্যামেরা, আলমারিতে রাখা স্বর্ণালঙ্কার ও ১০ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ভিডিও করতে থাকা তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনটিও ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, গত বছরের ৬ এপ্রিল মঙ্গলবার মুগদার উচ্ছেদ অভিযানের উপর স্থিতিবস্থা জারি করেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও মোহাম্মদ আহসানউল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সাথে কেন উচ্ছেদের আগে জমির মূল্য ও ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না। তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা আছে। এমতাবস্থায় গত ২৮ এপ্রিল রোববার বিকেলে সিটি করপোরেশনের দুই ম্যাজিস্ট্রেটকে হাইকোর্টের আদেশনামা দেখানোর পর বুলডোজারসহ শ্রমিকরা সেখান থেকে চলে যায়। এ সময় কাউন্সিলর সিরাজুল ও তার বাহিনীর সদস্যরা প্লান পাশ করা ও ড্যাপের আওতামুক্ত তার বাড়ী ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়। এ সময় তাদের বাধা দিলে কাউন্সিলরের সহযোগি সন্ত্রাসীরা তাকে ব্যাপক মারধর করে এবং তার কাছে থাকা ১০ হাজার টাকাসহ মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম ভাট্টি জানান, এটা সরকারী জায়গা হওয়ায় সিটি করপোরেশনের সড়ক তৈরি করতে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। যারা দাবি করছে ব্যক্তি মালিকানা বাড়ি ভাঙা হচ্ছে তারা ইচ্ছা করলে সিটি করপোরেশন ও রাজউকের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। আমার কোন লোক লুটপাট করেনি এসব তাদের বানানো। এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই বলে জানান তিনি।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net