
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে দেশে অসংখ্য। এইসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষা বিস্তারে অবদান রেখে যাচ্ছে, সে সংবাদ সুখকর। দেশের অগণিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে হাতেগোনা কিছু স্কুল-কলেজ পাঠপ্রক্রিয়া, শিক্ষার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও দেশগঠনে শিক্ষার ভূমিকা নিয়ে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে এবং ক্রমাগতভাবে অসাধারণ ফল অর্জনে সক্ষম হচ্ছে। এগুলো স্বতন্ত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই সব স্কুল-কলেজ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভীড়ে বিপ্লবাত্মক ভূমিকা পালন করে দেশ ও জাতির দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। তাদের চিন্তা-চেতনার প্রতিফলন ও অর্জন বিস্ময়কর। দেশের সৃষ্টিশীল শিক্ষাঙ্গন বলতে এই স্বতন্ত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বোঝায়। মেধা লালনে অনন্য ডেমরার সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ সেই ধারার। সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ গত শতকের শেষ দশকে আবির্ভূত হয়। প্রতিষ্ঠানটি বিকাশের ধারায় উপনীত হয় একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকে। ২০১২ সালে এসএসসিতে ঢাকা বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করার পর এই প্রতিষ্ঠানকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অবশ্য তার আগে ২০০৫ সালে এইচএসসি পর্যায়ে ৩য় স্থান অধিকার করার পর প্রতিষ্ঠানের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। এরপর পিইসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসিতে একের পর এক সাফল্য আসতে থাকে, যা অদ্যাবধি চলমান। ২০১৫ সালে এসএসসিতে ঢাকা বোর্ডে প্রথম স্থান অধিকার করে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ ২০০৭ সালে শতভাগ পাসের ভিত্তিতে এইচএসসিতে ঢাকা বোর্ডে অর্জিত হয় প্রথম স্থান। পিইসি থেকে এইচএসসি পর্যন্ত অসংখ্য সাধারণ গ্রেড ও মেধা বৃত্তি আসতে থাকে ক্রমাগতভাবে । প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা চিন্তাশীলতায় অত্যন্ত আধুনিক। তার বিরামহীন চিন্তা কী করে প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের মানমণ্ডিত করে তোলা যায়। সুতরাং ভালো রেজাল্টের মধ্যে তিনি তার গতিবিধি সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি ভাবলেন দেশময় সামসুল হক খান স্কুল কলেজের একটি গন্ডি কী করে তৈরি করা যায় । সেটা সম্ভবও হয়েছে। চেষ্টা চলতে থাকে কাক্সিক্ষত উচ্চশিক্ষা অঙ্গনে শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দেয়ার। বর্তমানে ঢাকা সরকারি মেডিকেল কলেজসহ দেশের সব সরকারি মেডিকেল কলেজ, বুয়েট ও বিখ্যাত প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাবি ও নামকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের বলয় তৈরি হয়ে গেছে । ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রতিষ্ঠানের ১৭৪ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। ইতোমধ্যে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিসিএস দিয়ে কর কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার, সরকারি ডাক্তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও দেশ-বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষক হয়েছেন। সমন্বিত প্রচেষ্টা, অভিভাবকদের সাথে নিয়মিত মতবিনিময় সভা, নানা দৃষ্টিভঙ্গিতে শিক্ষার্থীদের পরিচর্যা করা- এইসব দায়িত্ব সুনিপুণভাবে পালনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠান বিকশিত হয়েছে, শিক্ষার্থীরা খুঁজে পেয়েছে তাদের স্বপ্নের ঠিকানা। বড়কথা হলো, প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের সবসময় মানসিকভাবে বিনোদন দিতে চেয়েছে, চেয়েছে তাদের ব্যক্তিত্ব ও প্রতিভার স্বীকৃতি দিতে। সেই উদ্দেশ্য প্রতিষ্ঠান ১৫টি ক্লাব উন্মুক্ত করেছে, সহশিক্ষার নিয়মিত অনুশীলন চলছে ক্লাবগুলোয়। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান মেলা, রমরমা শিক্ষা সপ্তাহ অনুষ্ঠিত ও উদযাপিত হয়। শিক্ষার্থীরা সহশিক্ষার আনন্দ বিনোদন স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করে এবং তাতে অংশগ্রহণ করে। ক্রীড়া-সংস্কৃতির বিনোদন শিক্ষার্থীদের নিজের মতো করে বড় হওয়ার বাসনা বাড়িয়ে দেয়। গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ক্লাব ফেস্টিভ্যালে আগত অতিথিবৃন্দ এই ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষাকে পাশ্চাত্য শিক্ষাচিন্তার প্রতিফলন বলো অভিহিত করেছেন। শিক্ষার্থীদের সৃষ্টিশীল ও বিচিত্র বোধে অনুরাগী করতে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে প্রকাশিত হতে শুরু করেছে ত্রৈমাসিক ক্যাম্পাস জার্নাল। শত শত ছাত্র-ছাত্রী ক্যাম্পাস জার্নালে লিখছে। জ্ঞানমূলক কুইজের উত্তর দিয়ে পুরস্কার জিতে নিচ্ছে। ২৩ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বকাপ ফুটবলের মডেলে গরহর ডড়ৎষফ ঈঁঢ় ঋড়ড়ঃনধষষ। শিশুরা বিপুল ভালোলাগা নিয়ে এই ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ করেছে।
প্রতিষ্ঠানের বিকাশ, প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খল-সৌন্দর্য ও শিক্ষার্থীদের: জাগ্রত চেতনায় উন্নীত করা নিয়ে প্রবলপ্রাণ প্রিন্সিপাল মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা রীতিমতো সাধকের ধ্যানে নিমগ্ন। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আপনার ভাবনা কী? প্রিন্সিপাল বলেছেন, শিক্ষার্থীরা যত বড় হতে চায় তত বড় হওয়ার পথ দেখিয়ে দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার শিক্ষার্থীরা সাধারণ নয়, অসাধারণ মানুষ হবে। তারা হতাশ হবে না, উজ্জ¦ীবিত থাকবে, তারা জীবন ভালোবাসবে, ভালোবাসবে মানুষ। তারা দেশের জন্য, দশের জন্য নিবেদিত হবে। সন্দেহ নেই, প্রিন্সিপাল শিক্ষার্থীদের নিয়ে শ্রেষ্ঠ অভিব্যক্তি দিয়েছেন। অনন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পরতে পরতে তার পরিকল্পনার ছাপ স্পষ্ট। এই প্রতিষ্ঠানকে ভালোবেসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বরেণ্য মন্ত্রীগণ অতিথি হয়ে এখানে এসেছেন। এসেছেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সম্মানিত কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম (বার), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অন্যতম ডিরেক্টর জেনারেল মো. শহীদুল ইসলাম ও জাপানের হিতুতসুবাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইউনিকোরা। দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এই শিক্ষাঙ্গন সাধনার ফসল। সংশ্লিষ্ট সকলের প্রজ্ঞা, দক্ষতা ও আন্তরিকতার ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ । দেশে আরও শিক্ষাঙ্গন গড়ে এমন অভিনব চিন্তায় ভর করে।
প্রতিষ্ঠানের বিকাশ, প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খল-সৌন্দর্য ও শিক্ষার্থীদের: জাগ্রত চেতনায় উন্নীত করা নিয়ে প্রবলপ্রাণ প্রিন্সিপাল মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা রীতিমতো সাধকের ধ্যানে নিমগ্ন। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আপনার ভাবনা কী? প্রিন্সিপাল বলেছেন, শিক্ষার্থীরা যত বড় হতে চায় তত বড় হওয়ার পথ দেখিয়ে দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার শিক্ষার্থীরা সাধারণ নয়, অসাধারণ মানুষ হবে। তারা হতাশ হবে না, উজ্জ¦ীবিত থাকবে, তারা জীবন ভালোবাসবে, ভালোবাসবে মানুষ। তারা দেশের জন্য, দশের জন্য নিবেদিত হবে। সন্দেহ নেই, প্রিন্সিপাল শিক্ষার্থীদের নিয়ে শ্রেষ্ঠ অভিব্যক্তি দিয়েছেন। অনন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পরতে পরতে তার পরিকল্পনার ছাপ স্পষ্ট। এই প্রতিষ্ঠানকে ভালোবেসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বরেণ্য মন্ত্রীগণ অতিথি হয়ে এখানে এসেছেন। এসেছেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সম্মানিত কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম (বার), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অন্যতম ডিরেক্টর জেনারেল মো. শহীদুল ইসলাম ও জাপানের হিতুতসুবাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইউনিকোরা। দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এই শিক্ষাঙ্গন সাধনার ফসল। সংশ্লিষ্ট সকলের প্রজ্ঞা, দক্ষতা ও আন্তরিকতার ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ । দেশে আরও শিক্ষাঙ্গন গড়ে এমন অভিনব চিন্তায় ভর করে।