হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও নিজের নিরাপত্তা চেয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আশি ও নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও অভিনেত্রী দিতির কন্যা লামিয়া চৌধুরী। কয়েক দিন আগে নিজের জমি দখলে বাধা দেওয়ায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের নিজ বাড়িতে প্রায় ৪০জন সন্ত্রাসী লামিয়ার ওপরে হামলা করেন। শেষে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে ঢাকায় ফেরেন বলে দাবি করেছেন দিতিকন্যা লামিয়া চৌধুরী। এ পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি অনুরোধ রাখলেন তিনি। গত সোমবার নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লামিয়া। তাতে তিনি বলেন, “শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি ) আমার মায়ের (প্রয়াত চিত্রনায়িকা পারভিন সুলতানা দিতি) গ্রামের বাড়ি, সোনারগাঁওতে আমাদের পারিবারিক জমি দখল করার উদ্দেশ্য নিয়ে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আমার ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। লাঠি, দেশীয় অস্ত্র এবং ইট-পাথর নিয়ে তারা আমার ওপর নির্মম আঘাত হানে, যার ফলে আমি গুরুতর আহত হয়েছি এবং ইমিডিয়েট সার্জারি করা লাগবে।” লামিয়ার ওপরে হামলার ঘটনাটিকে কেউ কেউ রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে দাবি লামিয়ার। তার ভাষায়, “আমি গভীর দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, কিছু ব্যক্তি এই ঘটনাটিকে রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা করছেন এবং আমাকে রাজনীতির সঙ্গে জড়ানোর অপচেষ্টা করছেন। স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমার বাবা, প্রয়াত চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী এবং মা, প্রয়াত চিত্রনায়িকা পারভিন সুলতানা দিতি, কেউই কখনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তারা ছিলেন সংস্কৃতির মানুষ, আমিও তাদের আদর্শেই চলেছি এবং চলব।” প্রধান উপদেষ্টার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে লামিয়া চৌধুরী বলেন, “এই হামলা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়, এটি সম্পূর্ণভাবে জমি দখল ও আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছে। আমি এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি এবং দাঁড়িয়ে থাকব। আমি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিনীত অনুরোধ করছি, দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।” সবশেষে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে দিতিকন্যা বলেন, “আমার এবং আমার পরিবারবর্গের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত প্রোটেকশন চাই।”