
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রস্তাবিত একটি কোম্পানীর কাছে জমি বিক্রি না করায় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর হুমকীর মুখে জীবনের নিরাপত্তায় এক ব্যক্তি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে । এমনকি তার ফসলি জমিতে আবাদও করতে পারছেন না। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের ধলিকুড়ি গ্রামে। এ ঘটনায় ভালুকা মডেল থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভালুকা উপজেলার ধলিকুড়ি গ্রামে ঢাকার জনৈক মোস্তফা কামাল কারখানা করার জন্য কিছু জমি ক্রয় করেন। জমিটির পাশেই রয়েছে আলী হোসেন নামে এক ব্যক্তির বসত বাড়ি ও ফসলি জমি এবং ওই বাড়িতে স্ত্রীসহ দুই ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে বসবাস করে কাঠমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কিন্তু কোম্পানীর পক্ষে এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আবুল মুনসুর, হারুন অর রশিদ, তারকিুল, পিয়াস, শান্ত, হাফিজুল, আবু হানিফ ও ফরহাদসহ কিছু প্রভাবশালী বাড়িসহ জমিটি ছেড়ে দেয়ার জন্য আলী হোসেনের উপর চাপ সৃষ্টি করে আসছেন। আলী হোসেন তার জমি না ছাড়ার কারণে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ভয়ভীতিসহ নানা ধরেণের হুমকী দিতে থাকেন। পরে আলী হোসেন বাদি হয়ে উল্লেখিত ব্যক্তিদের নামে ভালুকা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আলী হোসেন জানান, কোম্পানীর কাছে জমি বিক্রি না করার কারণে সাবেক মেম্বার আবুল মুনসুর গং রা তাকে হত্যাসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকী দিয়ে আসছেন। এমনকি ভিটেবাড়ি ছেড়ে চলে না গেলে যেকোন সময় বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলা হবে। ফলে এখন জীবনের ভয়ে তিনি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাছাড়া তার বাড়ির উপর দিয়ে জোড়পূর্বক কোম্পানীর সিমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। এদিকে বোরে আবাদের জন্য তার বীজতলার চারাগুলো গরু ছাগলে খেয়ে সাবাড় করছে কিন্তু ফসল আবাদ করতে পারছেন না। বর্তমানে তিনি স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েসহ পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনাতায় ভূগছেন। বাধ্য হয়ে তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন।
বিবাদী হারুর অর রশিদ জানান, আলী হোসেনের সাথে তাদের কোন বিরোধ নেই। রতন বাবু নামের এক ব্যক্তি স্থানীয় চাঁন মিয়ার কাছে থেকে জমি ক্রয় করে ঢাকার মোস্তফা কামালের কাছে বিক্রি করেছে । পরে যখন তার বাড়ির উপর দিয়ে সিমানাপ্রাচীর নির্মাণ শুরু করা হয়, তখন আলী হোসেনের পক্ষে তারা কথা বলেছেন। তাছাড়া অপর বিবাদী আবুল মুনসুরের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
রতন বাবু মুঠোফোনে জানান, তিনি কোম্পানীর কাছে জমি বিক্রি করে চলে এসেছেন। আলী হোসেনের সাথে তার কোন বিরোধ নেই।
ভালুকা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস,আই) সজিব মিয়া অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।